৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, আগুন পোহাতে দগ্ধ বৃদ্ধা : শীতার্তরা পুরনো কাপড়ের দোকানে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্র ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় শীতার্ত মানুষ অসহায়। তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে কয়েক দিনপর সূর্যের দেখা মিলল চুয়াডাঙ্গায়। শীতার্ত মানুষ তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগুন তাপাতে গিয়ে এক বৃদ্ধা দগ্ধ হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সূর্য উঠার পর সাধারণ মানুষ বাইরে বের হন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকছে জেলার তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলায়। কয়েকদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
শীতার্ত মানুষ শীত থেকে বাঁচতে চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে অস্থায়ী পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। শীত থেকে রক্ষা পেতে ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া মানুষ পেটের তাগিতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছেন।
পুরাতন জ্যাকেট, সোয়েটারসহ অন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন সাধারণ মানুষ। জ্যাকেট ও সোয়েটারগুলো ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও টুপি, হাত মোজা, পা মোজা কিনছেন। নি¤œ আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ পুরাতন কাপড় কিনছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশুরা বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় ৩ গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ৪৯ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ জন শিশু চিকিৎসা নেয়। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক, নার্সসহ দায়িত্বরতদের।
শুক্রবার সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়পুটিমারি গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নিহারণ নেছা নামে এক বৃদ্ধা আগুন তাপাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, সর্বনি¤œ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্য প্রবাহ কয়েক দিন থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশুরা বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়