পররাষ্ট্রমন্ত্রী : সোমবার ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

আগের সংবাদ

গরমে যেভাবে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশাখ মাসের আগেই বাড়তে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। ধীরে ধীরে তা বেড়েই চলছে। এদিকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উল্টো মে মাসেও তাপমাত্রার পারদ বাড়তি থাকবে বলে জানিয়েছে। এদিকে তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। তীব্র তাপদহন থেকে রক্ষা পেতে খোঁজ চলছে বিভিন্ন পন্থার।
এপ্রিল ও মে উষ্ণতম মাস। অন্য মাসগুলোর তুলনায় এই দুই মাসে গরম একটু বেশি থাকে; কিন্তু এবার মার্চ মাসের শেষের দিকেই গরমের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বাইরে সূর্যের প্রখর উত্তাপ, ঘরের ভেতরেও গুমোট অবস্থা। আবার মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এই কষ্ট থেকে কিছুটা স্বস্তি কীভাবে মিলবে- সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিন্ময় দাস ভোরের কাগজকে বলেন, এই গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। পানিশূন্যতার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ পানিশূন্যতার ফলে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। এই পানিশূন্যতা রোধে পানি, স্যালাইন, শরবত প্রভৃতির পাশাপাশি পানি রয়েছে এমন সবজি ও ফল খাওয়া উচিত- যা শরীরের গরমের ভাব কমাতে সাহায্য করবে। তবে গরম থেকে ক্ষণিকের স্বস্তি পেতে রাস্তার ধারে বিক্রি করা ঠাণ্ডা শরবত পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই ঠাণ্ডা শরবত খাওয়া খুবই বিপদজ্জনক। আমাদের শ্বাসনালীর উপরের দিকে কিছু ব্যাক্টেরিয়া থাকে যেগুলো ঠাণ্ডা কিছুর স্পর্শে এলে জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি বিপদজ্জনক। তাই রাস্তার ধারে বিক্রি করা এসব ঠাণ্ডা পানীয় পান করা উচিত নয়।
সূর্যের আলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা বেশি। তাই দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে, সেই সময় বিশেষ করে বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রয়োজন না থাকলে বাইরে বের না হওয়া ভালো। বের হওয়ার প্রয়োজন হলে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পেতে ছাতা ব্যবহার করা উচিত। একই সঙ্গে পোশাকের বিষয়টিও বিবেচনা করা প্রয়োজন। গরমে ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড় পরা উচিত। কারণ এ ধরনের কাপড় তাপ শোষণ করে দ্রুত এবং বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে, ফলে গরম কম লাগে।
পানীয়র পাশাপাশি খাবারের ব্যাপারেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. চিন্ময় দাস। তিনি বলেন, তীব্র গরমে ভাজাপোড়া ও মশলা জাতীয় খাবার, জাঙ্ক ফুড শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। অতিরিক্ত গরমে যদি কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ঝিমঝিম ভাব কিংবা মাথা ঘুরে পড়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এগুলো হিটস্ট্রোকের লক্ষণ। হিটস্ট্রোকেও কারো কারো মৃত্যু হয় বলে জানান এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়