প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আলমগীর কবীর, যশোর থেকে : তীব্র দাবদাহে পুড়ছে যশোর। গতকাল শনিবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস গতকাল শনিবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ২৫ শতাংশ ছিল বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, তীব্র গরমে ঘরে বাহিরে কোথাও যেন মিলছে না স্বস্তি। দাবদাহে জনশূন্য হয়ে পড়েছে যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছেন না। ব্যস্ত এলাকাগুলোতে মানুষ এবং যানবাহন কোনোটিরই উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এদিকে যশোর-নড়াইল সড়কে কুসুমপুর এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তায় পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে যশোর শহরের বড়বাজারসংলগ্ন দড়াটানা মোড়, বকুলতলা, গরীব শাহ সড়ক, জেল রোডসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে এসব সড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। সড়কে দু-একটি ইজিবাইক, রিকশা থাকলেও যাত্রীর অপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছেন চালকরা। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে ইজিবাইক রেখে যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন ইজিবাইকচালক লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘সকালে ৭টার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। ৯টা পর্যন্ত মোটামুটি ভাড়া টেনেছি, তারপর থেকে আর ভাড়া হয় না। রাস্তায় লোকজনই নেই, তা যাত্রী পাবো কীভাবে।
শহরের জিরো পয়েন্টে রাস্তার উপর রিকশা রেখে জর্জ কোর্টের প্রাচীরের গায়ে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রিকশাচালক জমির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহর পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এত গরমে মানুষ বের হবে কি করে, আমরা পেটের দায়ে বের হয়েও যাত্রী পাচ্ছি না। ভাড়ার রিকশা চালাই, মহাজনকে দেয়ার মতো টাকা এখনো হয়নি। নিজের আয় তো দূরের কথা।’
শহরের বড় বাজারের কাঁচা বাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক কম। মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘বাজার করতে হবে এজন্য বের হয়েছি। অন্যথায় এ গরমে বাড়ি থেকে বের হতাম না। রোদে শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে।’
শহরের দড়াটানা হাসপাতাল মোড়ে পথচারী রনি হোসেন বলেন, ‘বাসায় অসুস্থ রোগী আছে, তার জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়েছি। রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে দুই মিনিট ফার্মেসিতে এসেছি, এখন মোটরসাইকেলের উপর বসা যাচ্ছে না। রোদে আগুন হয়ে গেছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।