দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

মোবারক আহমদ খান, উদ্ভাবক, সোনালি ব্যাগ : অগ্রগতি হচ্ছে, তবে ধীরগতিতে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকীকরণে কেন দেরি হচ্ছে- প্রতিনিয়ত আমাকে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আমি বলব, অগ্রগতি হচ্ছে না, তা নয়। এটা হচ্ছে, তবে কিছুটা ধীরগতিতে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী একটি চায়না কোম্পানি মেশিন তৈরিতে রাজি হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এ মেশিন আসতে পারে। আশা করছি, মেশিন পেলে প্রতিদিন এক থেকে দুই লাখ পিস সোনালি ব্যাগ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করব আমরা। বর্তমানে ১৫শ থেকে ২০০০ পিস সোনালি ব্যাগ উৎপাদন করতে পারছি। কিন্তু সেটা হাতের সাহায্যে করতে হচ্ছে।
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারি গত দেড় বছরে আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে। আমার সমস্ত সময়ের মধ্যে এটা একটা গ্যাপ। এছাড়া কোনো নতুন পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনতে সাধারণ ক্রেতা পণ্যটিকে গ্রহণের বিষয় থাকে। মার্কেটিং করতে হয়। পণ্যের দাম নির্ধারণে বিষয় থাকে। তাছাড়া সোনালি ব্যাগ প্রতিযোগিতা করছে পলিথিন ব্যাগের সঙ্গে। যার মার্কেট ভ্যালু সারাবিশ্বে ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সেখানে আমার এ ক্ষুদ্র ব্যাগটি প্রবেশ করা সহজ নয়। কারণ, যারা পলিথিনের ব্যবসা করছে, তারা সহজেই আমার এ ব্যাগ মার্কেটে প্রবেশ করতে দেবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের কোনো বিজ্ঞানী কিছু আবিষ্কার করলে তার ওপরে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা কম থাকে। এজন্য শুধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করলে হবে না, এটা আমাদের বিজ্ঞানীদেরও দোষ। কারণ, আমরা সেই বিশ্বাসের জায়গাটা এখনো হয়তো তৈরি করতে পারিনি।
সোনালি ব্যাগ পরিপূর্ণভাবে বাজারে দেখতে চাইলে নিজের পৃথক ব্যবস্থাপনা ও তহবিলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এর আলাদা বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি কোয়ালিটি কন্ট্রোলস ও গবেষণার দরকার। সোনালি ব্যাগ ম্যানেজমেন্ট এটা দেখবে। লেজুড়বৃত্তিক অরগানাইজেশন হলে অনেক দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া থাকে। এ অবস্থায় প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে সরকার অবশ্যই তা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কথাও চলছে।
সবশেষে বলব, সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকীকরণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ টন ফিল্ম তৈরি করার মতন সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। ব্যাগ বানানোর জন্য যে অটোমেটিক মেশিন তা স্বাভাবিক পলিথিন তৈরির মেশিনের মতো নয়। এটা হবে কাগজের ঠোঙা তৈরির মেশিনের মতো। আবার সাধারণ গøু হলেও হবে না। এজন্য আমরা পাট থেকে বায়োডিগ্রেডেবল গøু তৈরি করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়