দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

কলিম উদ্দিন মিলন : তৃণমূলে দ্বন্দ্ব নেই প্রতিযোগিতা আছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির সিলেট বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন বলেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষামতার বাইরে থেকে বিএনপির তৃণমূলে নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। এখানে পদ-পদবির জন্য প্রতিযোগিতা রয়েছে। এটাকে দ্ব›দ্ব বলা যাবে না। তবে সব দ্বিধাদ্ব›দ্ব ভেঙে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নতুন কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে আমরা দুই বছর আগে থেকেই দল গোছানোর কাজ করেছি। ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যারা রাজপথে আছেন, মামলা-হামলার শিকার, বিতর্কিত নয়, ত্যাগী ও দলের প্রতি ‘কমিটেড’ নেতারাই নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ত্যাগী নেতাদের খুঁজে পেতে মাঠের রাজনীতিতে কে কতটা সক্রিয় সে বিষয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মিলন বলেন, বিশেষ করে রাজপথের সক্রিয় যেসব নেতা নানা কারণে কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন তাদের পদায়ন করা হবে। এছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে যেসব ত্যাগী নেতা স্থান পাননি তাদের বিএনপির কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মূলত রাজপথের শক্তি বাড়ানোর টার্গেটে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এমনকি ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
কলিম উদ্দিন মিলন বলেন, জেলা কমিটিগুলো গোছানোর সময় ওই জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয় করছি। উপজেলা বা থানা পর্যায়েও আমরা হস্তক্ষেপ করি না। কর্মিসভাগুলোও স্থানীয় নেতারা করছেন। তবে কোথাও কোনো ঝামেলা হলে আমরা সাংগঠনিক টিম গিয়ে সমাধান করছি। তিনি বলেন, সিলেটে প্রতিটি জেলায় উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটিগুলো গোছানোর কাজ শেষ।
সিলেট বিভাগে তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল সব রাজনৈতিক দলেই থাকে। বিএনপির মতো দল যেখানে এত বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে, নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হয়রানি, সেখানে দ্ব›দ্ব-হতাশা থাকবেই। এগুলো খুব সূ²ভাবে হ্যান্ডল করি। কখনো নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর আঁচ পেলে তাদের নিয়ে মুখোমুখি বসি। সমঝোতা করে বুঝিয়ে কোন্দল মিটাই। কখনো নিজস্ব বলয় করার চেষ্টাও করিনি। সবাই জানে, আমি দলের জন্য কাজ করি। ফলে সব জেলায় সবাই আমার কাজে সহায়তা করে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আশা করছি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের আগেই সব জেলার কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়