রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

বোট ক্লাবে ভাঙচুর : ‘পলাতক’ পরীকে হাজির হওয়ার সমন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগী জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনি ও তার সহযোগী জিমি আদালতে হাজির হননি। তাই ‘পলাতক’ থাকার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী। এরপর ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ২৫ জুন পরীমনিকে আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বোট ক্লাবের ঘটনার পর দেশবাসী আমাকে ভুল বুঝেছিল। কিন্তু এখন আপনারা দেখলেন ওই ঘটনার তদন্তে পরীমনিই দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আশা করি রায়ের দিন বিষয়টি আবারো প্রমাণিত হবে। এছাড়া বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, মামলার এজাহারে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভীতি প্রদর্শনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল। চার্জশিটে শুধু হত্যাচেষ্টার অভিযোগ বাদে অন্য অভিযোগগুলো উঠে এসেছে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। আসামি পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি নির্দোষ বলে তদন্তে উঠে আসে।
যা ঘটেছিল বোট ক্লাবে : মামলার তদন্তে উঠে আসে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ক্লাবে গিয়ে প্রথমে পরীমনি একটি এক লিটারের ব্লæ লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমনি এবং তার সঙ্গে থাকা জিমি ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের মদ পান করে খালি করে ফেলেন। এরপর আরেকটি বোতল অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। আড্ডার একপর্যায়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে পরীমনির পরচিয় করিয়ে দেন অমি। পরে নাসির চলে যেতে চাইলে পরীমনি ডেকে আরেকটু থেকে গল্প করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমনি ওয়েটারকে আরো এক লিটারের তিনটি ব্লæ লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমনিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লæ লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমনি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লæ লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেয়া যাবে না। কিন্তু পরীমনি জোর করে ঐ বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। তখন পরীমনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গøাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরের এদিক ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমনিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন নাসির। এতে পরীমনি আরো ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। এ সময় একটি গøাস নাসির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং বোট ক্লাব ত্যাগ করেন। এরপর পান করা দুই বোতল ব্লæ লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই পরীমনি ও তার দুই সঙ্গী ক্লাব থেকে চলে যান। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গøাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। তাই ২০২১ সালের ৬ জুলাই বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়