রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

দিল্লির মসনদে কে বসছেন অপেক্ষা ৪৭ দিনের

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ আজ শুরু হচ্ছে। এদিন দেশটির ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। ৪৪ দিন ধরে এই ভোট উৎসব চলবে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের মতো এবারো সাতটি ধাপে ভোট হবে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে। ভোট শেষ হওয়ার আরো তিন দিন পর অর্থাৎ ৪৭তম দিনে ফলাফল বেরোবে। অর্থাৎ আগামী ৪ জুন জানা যাবে, দিল্লির মসনদে কে বসতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ১৬ মার্চ লোকসভা এবং চারটি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
দেশটির ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আজ সকাল ৭টায়। এ বছর সাত দফায় প্রথম আজ, দ্বিতীয় ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় ৭ মে, চতুর্থ ১৩ মে, ২০ মে পঞ্চম, ২৫ মে ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় ১ জুন ভোট হবে। ভোট গণনা হবে আগামী ৪ জুন।
আজ নির্ধারিত নির্বাচনের প্রথম ধাপের মূল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো হলো- উত্তরপ্রদেশ, আসাম, ছত্তিশগড়, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়–, মণিপুর, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ। সবমিলিয়ে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। আজ শুক্রবারের ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোট হবে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভারতের সিইসি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কর্মী সমন্বিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩ হাজার ৪০০টি কোম্পানির সমন্বয়ে ৭ ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও রাজ্য পুলিশ কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের সময় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য দেড় কোটি নির্বাচনকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারা নয়, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসনে জয়ী দল বা জোট দ্বারা নির্বাচিত হন এবং এটিই এই নির্বাচনের বিষয়। সংসদের নিম্নকক্ষের ৫৪৫ সদস্যের মধ্যে ৫৪৩ জনকে বেছে নেয়া, যাকে লোকসভা বলা হয়। সরকার গঠনের জন্য, একটি দল বা জোটের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয় ২৭২। গত নির্বাচনে, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার মিত্ররা সহজেই এটিকে সুরক্ষিত করেছিল। গতবার তারা পেয়েছিল মোট ৩৫৩টি আসন। এবারো নির্বাচনপূর্ববর্তী সবকটি জরিপে বিজেপি ও তার মিত্রদের জয়ী দেখানো হয়েছে। জরিপের ফলাফল মিলে গেলে, একথা বলা যায়, ভারতে আবারো গেরুয়া ঝড় আসন্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রবিন জেফরি ভারতীয়

গণমাধ্যমকে বলেছেন, এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদি প্রচারে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। নির্বাচনটি ভারতের হলেও এটি মোদি, মোদি, মোদিময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রদীপ তানেজা এসবিএস নিউজকে বলেছেন, মৌলিক স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো বিষয়গুলোর জন্য আর্থসামাজিক সূচকগুলো মোদির অধীনে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে আমূল উন্নতি দেখেনি। তবে মোদিকে পরিকাঠামোতে জোরালোভাবে বিনিয়োগ করায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার, টয়লেট, বিদ্যুৎ এবং সরাসরি নগদ সহায়তা করায় দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয়। এর ফলে ভারতের সামষ্টিক-অর্থনৈতিক সূচকগুলো খুব ভালো দেখাচ্ছে।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মনোজ যোশী বলেছেন, বিজেপি হিন্দুত্বকে অস্ত্র বানিয়েছে। তারা যা করেছে তা হলো ধর্মকে রাজনৈতিক সংঘবদ্ধতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। বিজেপি ভারতের ঐতিহ্যগত জাতপাতের পার্থক্যগুলোও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। মোদি এবং বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য ইন্ডিয়া নামে দুই ডজনেরও বেশি বিরোধী দলের একটি জোট হয়েছে। এতে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দল এবং আঞ্চলিক দলগুলো রয়েছে। কিন্তু এতে রাহুল গান্ধী থাকলেও এই জোটের পক্ষে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা ঠিক করেনি তারা। আর এটাকেই বিজেপি পুঁজি করে বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি খুবই জনপ্রিয় এবং তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হন, তাহলে বিকল্প কে হবে?
বিশ্লেষকরা বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে এই নির্বাচনে ৪শটি আসন জয়ের লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিজেপির এত আসন লাভের নিশ্চয়তা নেই। তবে জরিপকারী সংস্থাগুলো বলছে বিজেপি ও তার মিত্ররা চারশ পার হবে। আগামী ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বিজেপি তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়িয়ে সংসদে ফিরতে পারলে মোদি সরকার যুক্তি দেবে যে, তার সমস্ত নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য অপ্রতিরোধ্য ‘ম্যান্ডেট’ রয়েছে।
এদিকে, নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১০২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪২টি নির্বাচনী এলাকা যেখানে তিন বা ততোধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামের একটি সংস্থা ১ হাজার ৬১৮ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দাবি করেছে, আজ ভোট হওয়া প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬২৫ জন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৬ শতাংশ বা ২৫২ প্রার্থীর ফৌজদারি মামলায় নাম রয়েছে, ১০ শতাংশ বা ১৬১ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে। বিশ্লেষণে কিছু উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, সাত প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে এবং ১৯ জন খুনের চেষ্টার মামলায় জড়িত। উপরন্তু, ১৮ জন প্রার্থী ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ এর অধীনে ধর্ষণের অভিযোগের মুখোমুখি একজন প্রার্থীসহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধসংক্রান্ত মামলা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া ৩৫ জন প্রার্থীকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আজ ভোট হওয়া প্রথম দফায় ১০২টি আসনের মধ্যে ৪১ শতাংশ নির্বাচনী এলাকাকে ‘রেড অ্যালার্ট’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে এসব আসনে একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এবার সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন। অনেক ভোটকেন্দ্র হবে অতি দুর্গম। কোনোগুলো সুউচ্চ হিমালয়ের তুষারঘেরা পর্বতের কোলে, আবার গা পোড়ানো উষ্ণতার রাজস্থানের মরুর বুকেও চলবে ভোটগ্রহণ। এমনকি দ্বীপপুঞ্জগুলোও বাদ যাবে না। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা দুলাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ। ভারতজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক যেমন- কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের যে তিন রাজ্যে সাত দফায়ই ভোট নেয়া হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফা ভোটের তালিকায় আছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার নির্বাচন হচ্ছে লোকসভার তিনটি আসনে। আসন তিনটি হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসন। ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে। বামফ্রন্ট ছিল শূন্য। পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৮১ জন। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ জন। রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ হাজার ৮৩৭ জন। ভোট নির্বিঘœ করতে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকছে ১১ হাজার রাজ্য পুলিশ। প্রথম দফার এই তিন আসনের নির্বাচনে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবারো বিজেপি আশাবাদী, এই তিনটি আসনেই আবার তারা জিততে চলেছে। কারণ, এখনো উত্তরবঙ্গে বিজেপি শক্তিশালী। এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার তাদের জনমত জরিপে ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রথম পর্বের তিনটি আসনেই জিততে চলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল বলেছে, এই রাজ্যের মানুষ এখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে। এবার তারা এই তিন আসনে ধর্মান্ধ বিজেপিকে পরাস্ত ইন্ডিয়া জোটের হাত শক্তিশালী করবে। এদিকে, ভোট শুরুর দুদিন আগে গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল ও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ এর অন্যতম দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। একে প্রথাগত ‘ইশতেহার’ বলতে চাইছে না তৃণমূল। বলা হচ্ছে ‘দিদির শপথ’। কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গঠন করলে এই প্রতিশ্রæতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘মোদির নিশ্চয়তা’ নামে দলের ইশতেহার গুরুত্ব পাচ্ছে। বিজেপির এই প্রচারের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ‘দিদির শপথ’ সামনে আনল তৃণমূল। এতে বিজেপির বিভিন্ন প্রকল্পের বিকল্প প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও সাত দফায় ভোট হবে এবারের নির্বাচনে। সে হিসাবে ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরপ্রদেশে ৮ আসন, বিহারের চার আসনে ভোট নেয়া হবে। তবে, মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসভা আসনের রাজ্য হলেও সেখানে ভোট নেয়া হচ্ছে ৫ দফায়। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়–র ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এরপর রয়েছে বিজেপির ক্ষমতাকেন্দ্র রাজস্থান, সেখানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি আসনে এদিন নির্বাচন হবে। ভোট হবে পূর্ব ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই। এসবের মধ্যে রয়েছে অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরা । এছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাত বিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনেই ভোট হবে শুক্রবার। ওই রাজ্যের একাধিক গোষ্ঠী ও সংগঠন ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। আসামের পাঁচ আসন ডিব্রুগড়, জোড়হাট, কাজিরাঙ্গা, লখিমপুর ও সনিৎপুরে ভোট হবে শুক্রবার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়