গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

বারের সামনেই চার মদ্যপ নারীর চুলোচুলি, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে মদ পান করে কয়েকজন নারী মিলে আরেক নারীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন। এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায় মারধরের সময় তিন নারী মিলে আরেক নারীর শাড়ি খুলে ফেলেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত রবিবার রাতে মারামারির ঘটনায় গ্রেপ্তার নারীদের মদ পানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। সেলেব্রিটা বার নারীদের কাছে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে গোয়েন্দা পুলিশ। হারুন বলেন, নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। মদ পানের জন্য কোনো পুরুষ বা নারীর লাইসেন্স থাকলে তারা বার থেকে কিনে মদ পান করতে পারেন। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু পহেলা বৈশাখের রাতে গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় তারা মদ পান করেছেন। তাদের কারো কাছে কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারো কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করতে পারে না। এমনকি এই নারীদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছেন- যা পান করে তারা মাতাল ও বেসামাল হয়েছেন। এই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে জড়ালেন। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান আরো বলেন, এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারবেন না। অভিভাবকদের উচিত তাদের মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। যে নারীকে তারা মেরেছে তিনিও মাতাল ছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা

হয়েছে। যে বার লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে ডিবি।
ভুক্তভোগী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যাই। খাওয়ার একপর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে এক সঙ্গে টয়েলেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে। তারা রাস্তার মধ্যে আমার শাড়ি খুলে ফেলে মারধর করে।
গুলশান পুলিশ জানায়, কয়েকজন সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা নারীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় চিৎকার-চেচামেচিও করছিলেন নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অনেকে ওই দৃশ্য ভিডিও করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়