গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে সেমিতে পিএসজি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগে গতকাল বার্সেলোনাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে গতকাল জোড়া গোল করেছেন তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ানো এমবাপ্পে। এছাড়া গোল করেছেন ওসমানে ডেম্বেলে ও ভিটিনরা। এদিকে বার্সেলোনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন রাফিনহা। টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ইউরোপসেরার প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিলেও টিকেট পেয়েছে ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের। আর সেটি সম্ভব হয়েছে গতকাল পিএসজির কাছে বার্সার হারের কারণে।
কাতালোনিয়ায় নিজ মাঠে গতকাল রাফিনহার গোলে ১২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ২৯ মিনিটে রোনাল্ডো আরাউজোর লাল কার্ড পিএসজির ভাগ্য বদলে দেয়। প্রথম লেগে ৩-২ গোলের জয়ে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত আর নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। ওসমানে ডেম্বেলে ও ভিটিনরা পিএসজির হয়ে সমতা ফেরান। এরপর এমবাপ্পে শেষ কাজটুকু করেছেন। ফরাসি এই তরুণের জোড়া গোলে ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো শেষ চার নিশ্চিত করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। আরো একবার সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, যাদের সঙ্গে গ্রুপপর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে পিএসজি। বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে দলকে শক্তিশালী করার পরেও কখনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে পারেনি পিএসজি। কিন্তু বেশ কয়েকবারই তারা নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সারির ক্লাবগুলোকে পিছনে ফেলেছে। ২০১৫ সালে এই এনরিকের অধীনে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিল। এনরিকের বিশ্বাস তার পিএসজি ঠিকই এবার ঘুরে দাঁড়াবে। নক আউট পর্বে প্রথম লেগে পরাজয়ের পর কখনো পিএসজি ফিরে আসতে পারেনি। এবার সেটাও যখন হয়েছে তখন সবকিছুই সম্ভব।
পাঁচবারের বিজয়ী বার্সেলোনা ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু ব্র্যাডলি বারকোলাকে আটকাতে গিয়ে আরাউজোর লাল কার্ড বার্সাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সফরকারী পিএসজি বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে ম্যাচ শুরু করলেও এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ১৬ বছর বয়সি লামিন ইয়ামাল নুনো মেনডেজকে কাটিয়ে পোস্টের কাছে ক্রস করেন। সেই বল জালে জড়াতে ভুল করেননি রাফিনহা। দুই লেগ মিলিয়ে রাফিনহার এটি তৃতীয় গোল। পিএসজির ফরোয়ার্ডরা হয়তো স্কোরশিটে ঠিকই নাম লিখিয়েছেন, কিন্তু দলটির ভাগ্য বদলে দিয়েছেন বারকোলা। এই উইঙ্গারের বাড়ানো পাসে এমবাপ্পের শট বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান রুখে দেন। এরপর বারকোলাকে রুখতে ফাউল করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আরাউজো। উরুগুইয়ান এই সেন্টার-ব্যাক বারকোলাকে পিছনে থেকে ফাউল করলে বার্সা ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
৪০ মিনিটে বারকোলার আরো একটি ক্রস থেকে ডেম্বেলে পিএসজিকে প্রথম গোল উপহার দেন। আরাউজোর লাল কার্ডে বার্সেলোনা বাধ্য হয়ে ইয়ামালের স্থানে ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেজকে মাঠে নামায়। এ কারণে বার্সার আক্রমণভাগে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। এই সুযোগে পিএসজি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয়। ৫৪ মিনিটে ভিটিনহা কোনাকুনি শটে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে দেন। ইকে গুনডোগানের শট বারে লেগে ফেরত আসে, উত্তেজিত বার্সা কোচ জাভিকে টাচলাইনে অশোভন আচরণের জন্য স্ট্যান্ডে পাঠানো হয়। মাঠের ভিতরও কাতালান খেলোয়াড়রা ধীরে ধীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় হুয়াও ক্যান্সেলোর বিপক্ষে পেনাল্টি আদায় করে নেয় ডেম্বেলে। প্রথম লেগে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকা এমবাপ্পে স্পট কিক থেকে কোনো ভুল করেননি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মৌসুমে এটি তার ৪০তম গোল। মৌসুম শেষে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেলে রিয়াল মাদ্রিদে এমবাপ্পের যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। গুনডোগানের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়ে গেলে বার্সেলোনার আরো এক ব্যাকরুম স্টাফকে টাচলাইন থেকে স্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দেন রেফারি। ৮৯ মিনিটে টার স্টেগানের ডাবল সেভ সত্ত্বেও এমবাপ্পে ঠিকই গোল আদায় করে নেন।
এদিকে লিগের অন্য ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডর্টমুন্ড। স্পেনে প্রথম লেগের ম্যাচে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল ডর্টমুন্ড। গতকাল ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইডুনা পার্কে বিরতির আগে জুলিয়ান ব্র্যান্ডেট ও ইয়ান মাস্তেনের গোলে ২-০ ব্যবধান গড়ে স্বাগতিকরা। সফরকারী কোচ দিয়েগো সিমিওনে ম্যাচে ফিরে আসার তাগিদে বিরতির পর তিনটি পরিবর্তন করেও সফল হতে পারেননি। এর মধ্যে বদলি হিসেবে সবচেয়ে সফল ছিলেন অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। ম্যাটস হামেলসের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফিরে অ্যাতলেটিকো। এরপর আর্জেন্টাইন কোরেয়ার গোলে অ্যাতলেটিকো আবারো এগিয়ে যায়। কিন্তু ৭১ থেকে ৭৪ মিনিট অর্থাৎ তিন মিনিটের মধ্যে নিকলাস ফুয়েলকক্রুগ ও মার্সেল সাবিটাইজারের দ্রুত দুই গোলে বুন্দেসলিগার ক্লাবটির জয় নিশ্চিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়