কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গতকাল মোহামেডান স্পোর্র্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৬ উইকেটে বিশাল জয় পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২২৭ রানের পুঁজি গড়ে মোহামেডান। বৃষ্টির কারণে ডিএলএস মেথডে তা কমিয়ে আনা হয় ১৫৮ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শাইনপুকুরের জয়ের নায়ক নাহিদ রানা। বল হাতে তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১৩০ রানের বিশাল ব্যাবধানে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাদার্স ইউনিয়নকে ৩৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় গাজী গ্রুপ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গাজী গ্রুপের জয়ের নায়ক হাবিবুর রহমান। ব্যাট হাতে তিনি খেলেন সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস। দিনের অন্য ম্যাচে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ৫ রানের শ্বাসরূদ্ধকর জয় পায় রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। বৃষ্টির কারণে রূপগঞ্জ টাইগারের দেয়া ২৯৮ রানের লক্ষ্য কমিয়ে আনা হয় ২৬৬ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৬০ রানেই নির্ধারিত ওভার শেষ করে ফেলে সিটি ক্লাব। রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয়ের নায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ব্যাট হাতে ৮১ রানের ইনিংস হাঁকানোর পাশাপাশি বল হাতে দুটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল মুখোমুখি হয় মোহামেডান-শাইনপুকুর। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নাহিদ রানার ফাইফারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে মোহামেডান। তাড়া করতে নেমে ২৭.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ১০ রাউন্ড শেষে শাইনপুকুরের এটি সপ্তম জয়, অন্যদিকে সমান রাউন্ডে মোহামেডানের তৃতীয় হার। মোহামেডানের রান তাড়া করতে নেমে সঠিক পথেই চলছিল শাইনপুকুরের ইনিংস। ২৪.৩ ওভারে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা। বৃষ্টি গেলে শাইনপুকুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ বলে ৩৬ রান। মোহামেডানের এলোমেলো বোলিংয়ে ১৪ বল আগেই জিতে যায় শাইনপুকুর। খেলা মাঠে না গড়ালেও ফল হতো একই। আকবর আলী ২৭ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে তানজীদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া জিসান আলম ২৬, মার্শাল আইয়ুব ৩০ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, নাঈম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেন ১টি করে উইকেট। এর আগে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ৩১ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন ফর্মে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন ইমরুল কায়েস। ফিফটির পর ৫৬ রানে ইমরুল আউট হলে ভাঙে জুটি। মিরাজও ফেরেন ২৯ রানে। মাঝে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড় দলটি। এরপর ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান আবু হায়দার রনি-আরিফুল হক। দুজনে ফিফটির জুটিতে দলীয় সংগ্রহ দুইশ পার করেন। রনি ৫১ ও আরিফুল ৩০ রান করেন।
শেষে নাঈম হাসান ১২ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। শাইনপুকুরের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন রানা। তিনি ৪৫ রান দিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার নেন। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া ২ উইকেট পান হাসান মুরাদ।
এদিকে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৫ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। শুরুতে ব্যাট করে শামসুর রহমান শুভর সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৯৭ রান করে রূপগঞ্জ। বৃষ্টিতে ৪১ ওভারে ২৬৬ রানের লক্ষ্য পায় রূপগঞ্জ। ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ব্যাট হাতে ৯২ বলে ৮১ ও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রূপগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১০ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেছে মোহামেডান। সমান জয় নিয়ে তিনে আছে শাইনপুকুর। ১০ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে সাতে থেকে সুপার লিগের লড়াইয়ে আছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এক জয় কম নিয়ে তাদের পরেই আছে ব্রাদার্স। ১০ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পাওয়া রূপগঞ্জ উঠে এসেছে দশে, সমান জয় নিয়ে তাদের উপরে সিটি ক্লাব।