বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

বন কর্মকর্তা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ : উখিয়া

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জসিম আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে : উখিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের চাপায় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার ঘটনায় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার পৃথক অভিযানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকা এবং উখিয়ার কোটবাজার এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়াট জানান।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন- উখিয়ার হরিণমারা এলাকার মো. কামাল উদ্দিন (৩৯) এবং তুতুরবিল এলাকার হেলাল উদ্দিন (২৭)। কামাল উদ্দিনের পরিকল্পনাতেই বন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।
নিহত সাজ্জাদুজ্জামান একজন সাহসী ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন উল্লেখ করে র‌্যাবের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, গত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তিনি বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। এসব অভিযানে ৫টি মাটি কাটার ড্রেজারসহ কয়েকটি ডাম্পার আটক করেন এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন আইনে কয়েকটি মামলা করেন। এসব কারণে তিনি অপরাধী চক্রের চক্ষুশূলে পরিণত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, অপরাধীরা তাকে শায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করেন। গত ২৯ মার্চ তিনি আবারো অভিযানে যান এবং পাহাড়ের মাটি বোঝাই অবস্থায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ড্রাইভার কামালের একটি ডাম্পার আটক করেন। এ সময় কামালসহ চারজনের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলাও করেন। ফলে কামালসহ অন্যরা তার ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন এবং তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১ মার্চ রাতে চালক বাপ্পি ড্রাইভার কামালসহ দুইজন হেল্পারকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের মাটি কাটতে যায়। অন্যদিকে সৈয়দ আলম বন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি করতে স্থানীয় বাজারে অপেক্ষা করতে থাকেন। বাপ্পি ও কামাল মাটি বোঝাই ডাম্পার নিয়ে ফেরত আসার সময় পথে উল্টো দিক থেকে বন কর্মকর্তার মোটরসাইকেলটি আসতে দেখে। তখন ডাম্পারের ড্রাইভার বাপ্পির পাশে বসে থাকা কামাল পরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়ি না থামিয়ে মোটরসাইকেলটি চাপা দেয়। এতে আরোহী সাজ্জাদ ও তার সহযোগী ঘটনাস্থলেই ডাম্পারের চাপায় মাথায় আঘাত পেয়ে সাজ্জাদ মৃত্যুবরণ করেন এবং তার সহকর্মী মোহাম্মদ আলী আহত হন।
এ ঘটনায় উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১০ জন এবং অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব অধিনায়ক জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল মো. বাপ্পী (২৩) ও ১ এপ্রিল ছৈয়দ করিমকে (৩৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়