মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যেন কোনোভাবেই থামছে না মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শামসুদ্দিনের। তিনি উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ গ্রামের মৃত ইন্তাজউদ্দিন মোল্লার পুত্র এবং সরকার অনুমোদিত বিবাহ রেজিস্টার (কাজী)।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমদক্ষিণ গ্রামের দক্ষিণ পাড়া সবুর খানের বাড়ি থেকে মো. ইয়াকুব আলীর বাড়ি পর্যন্ত সরকারি অনুদানে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মিত হয়। এতে ওই এলাকার বহু মানুষের চলাচলের পথ সুগম হয়। এদিকে গত ১৫ এপ্রিল শামসুদ্দিন ও তার পুত্র ফারুক সংঘবদ্ধ কতিপয় লোকজন নিয়ে রাস্তার মাঝপথে একটি টং ঘর নির্মাণ ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ওই রাস্তাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেয়। তার আপন ভাইসহ এলাকার লোকজন নিষেধ করলেও তিনি কারোর কথা শুনেননি।
এতে চলাচলে পুরোপুরি বিপাকে পড়েছে ওই রাস্তা ব্যবহারকারী লোকজনরা।
শামসুদ্দিনের আপন ভাই মো. ইয়াকুব মোল্লা বলেন, আমার ভাই হয়েও আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ঘর তুলে বন্ধ করায় আমরা কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এ বিষয়ে তিনি ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
এ প্রসঙ্গে ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁঁইয়া বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের সময়ও শামসুদ্দিন সাহেব বাধা দিয়েছিলেন। রাস্তাটি এলাকাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকারি বরাদ্দে নির্মিত হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে ঘর নির্মাণ জঘন্য অপরাধ। বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে খাসেরচর মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় অনিয়ম ও ক্ষমতা অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে। তবুও তার অন্যায় কর্মকাণ্ড যেন দিনদিন বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কাজী শামসুদ্দিনের মোবাইলফোনে বারবার ফোন করেও তা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সর্বোপরি জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। তাই বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।