বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

পালমার ম্যাজিকে বড় জয় চেলসির

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল এভারটনের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে চেলসি। দ্য ব্লুজদের হয়ে গতকাল চারটি গোল করেছেন কোল পালমার। ফলে প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ডকে ছুঁয়ে ফেলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। টুর্নামেন্টে তার মোট গোল সর্বোচ্চ ২০টি। এভারটনের বিপক্ষে গতকাল একটি প্যানাল্টি নিয়ে মাঠে বিবাদে জড়ায় চেলসির খেলোয়াড়রা। প্রিমিয়ার লিগে চেলসি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। ৩১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়-এ অবস্থান করছে পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচের ২৯ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন পালমার। ৪৪তম মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের গোলে ৪-০ গোলের ব্যবধান দিয়ে বিরতিতে যায় চেলসি। ৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান পালমার। ২০ গোল নিয়ে এবারের লিগের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের তালিকায় শীর্ষে আর্লিং হলান্ডকে স্পর্শ করেন ২৪ বছর বয়সি ফুটবলার। এই গোলটির আগেই ঘটে একটি বিতর্কিত ঘটনা। এভারটনের বক্সে ননি মাদুয়েকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বল হাতে নিয়ে পেনাল্টি নিতে উদ্যত হন মাদুয়েকে নিজেই। তখন এগিয়ে গিয়ে বল চান পালমার। দল থেকে পেনাল্টি নেয়ার দায়িত্ব তারই। কিন্তু পালমারকে বল দিচ্ছিলেন না মাদুয়েকে। পালমার বারবার বল চাওয়ার পরও তা নিজের কাছে রেখে দেন তিনি। পাশেই ছিলেন চেলসি অধিনায়ক কনর গ্যালাগার। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন মাদুয়েকেকে। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে বল একরকম কেড়েই নেন গ্যালাগার। বলটি পালমারের হাতে তুলে দেন তিনি। এ সময় দূরে থেকে হুট করে ছুটে আসেন নিকোলাস জ্যাকসন। পালমারের হাত থেকে বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তাকে বেশ জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন পালমার। মাদুয়েকে, জ্যাকসন ও পালমারের একটা ত্রিমুখী লড়াই জমে যায় পেনাল্টি নেয়ার জন্য। গ্যালাগার তখন মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। জ্যাকসনকে সরিয়ে দেন তিনি। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান তিনি মাদুয়েকের সামনে। এরপর স্পটে বল বসিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচে নিজের চতুর্থ গোল করেন পালমার। শেষ সময়ে আরও একটি গোল করে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। কিন্তু ম্যাচের পর মূল আলোচনা ওই পেনাল্টির ঘটনা ঘিরেই। চেলসি কোচ পচেত্তিনোও কোনো রাখঢাক না রেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেন।
তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘ফুটবলাররা ও স্টাফরা, সবাই জানে যে, পেনাল্টি নেয়ার দায়িত্ব কোল পালমারের। যা হলো, এটা নিয়ে আমি এত হতাশ-এত বেশি বিরক্ত! আমাদের দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার শৃঙ্খলা।’ আমরা সবাই একমত যে তারা (জ্যাকসন ও মাদুয়েকে) ভুল করেছে। এই ধরনের আচরণ আমরা দেখাতে পারি না। কোনোভাবেই না। মনে হচ্ছিল ওরা স্কুলের বাচ্চা। কনর গ্যালাগার খুব ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে।’ এবারের মতো অবশ্য কোনো শাস্তি দেয়া হচ্ছে না ঘটনায় জড়িত থাকা ফুটবলারদের। তবে ভবিষ্যতে এরকম হলে কোনো রকম ছাড় না দেয়ার হুমকি দিয়ে রাখলেন কোচ। তিনি জানান, ‘আমাদের কাজ হলো ওদের দেখিয়ে দেয়া যে, এটা ভুল। এতে তারা শিখতে পারবে। এবার কোনো শাস্তি হচ্ছে না, তবে আবার এরকম হলে তা মেনে নেয়া হবে না। পালমার মাঠে থাকলে পেনাল্টি নেবে সে-ই। ওরা (জ্যাকসন ও মাদুয়েকে) অভিজ্ঞ ফুটবলার নয়, দুজনই তরুণ। তরুণ ফুটবলাররা কখনও কখনও দলের আগে নিজের কথা ভাবতে পারে। তবে ওদের দ্রুত শিখতে হবে যে, পারফর্ম করতে হয় দলের জন্য। পরের মৌসুমে এই ব্যাপারগুলো আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেব। তারা যদি শিখতে না পারে, তাহলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।’
মাঠে এমন বাজে ঘটনাকে ক্লাবের ভাবমূর্তির জন্য তো বটেই, ফুটবল খেলাটির জন্যও ক্ষতিকর বলে মনে করেন পচেত্তিনো। ফুটবলারদের করণীয় আবারও কড়া ভাষায় মনে করিয়ে লেন কোচ। তিনি জানান, ‘যে ছবিটি আমরা তুলে ধরেছি, প্রতিটি দেশের যারা দেখেছেন, সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এই আচরণ মেনে নেয়ার মতো নয় এবং অসাধারণ এক খেলাটিকে লজ্জায় ফেলার জন্য এটা নিয়ে কথা বলতে হবে আমাদের। গোল করার তাড়না অবশ্যই থাকতে হবে ফুটবলারদের, তবে সেটা এরকম পরিস্থিতির জন্ম দিয়ে নয়। আমি এটা মেনে নেব না, কথা দিচ্ছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়