কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

সেরার তালিকায় মোস্তাফিজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্যই মোস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। ৩ মে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। মোস্তাফিজকে আইপিএল থেকে ফিরেই জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে। আইপিএলে এখন পর্যন্ত দারুণ ছন্দে আছেন মোস্তাফিজ। ৫ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১০টি। আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলারের তালিকায় বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি পেসার এখন আছেন ৩ নম্বরে। সমান ১০ উইকেট নিয়েও ইকোনমি গড়ে এগিয়ে থেকে এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দুইয়ে আছেন জাশপ্রিত বুমরা।
আইপিএল খেলার জন্য মোস্তাফিজুর রহমানের ছুটি বাড়িয়েছে বিসিবি। এখন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বাড়তি একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন মোস্তাফিজ। বিসিবির দেয়া অনাপত্তিপত্রের শর্তানুযায়ী, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজের আইপিএলে থাকার কথা।
একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেয়ায় মোস্তাফিজ ১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলতে পারবেন। সেদিন চেন্নাই খেলবে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। সব ঠিক থাকলে সে ম্যাচটি খেলে ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন মোস্তাফিজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিষানের কাছে পাত্তা পাচ্ছিলেন না চেন্নাই সুপার কিংসের কোনো বোলারই। ঘরের মাঠ ২০৭ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা বেশ সহজেই পাড়ি দেবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই দলকে ব্রেকথ্রæ এনে দেন মাথিশা পাথিরানা। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ হেলে যায় চেন্নাইয়ের দিকে। শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মার অপরাজিত সেঞ্চুরিও তাদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। আসরের প্রথম এল ক্লাসিকোতে মুম্বাইকে ২০ রানে হারিয়েছে তারা। যদিও মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য দিনটি খুব একটা মনে রাখার মতো ছিল না। ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে বাউন্ডারি লাইনে একটি ক্যাচের পাশাপাশি একমাত্র উইকেট হিসেবে টিম ডেভিডকে শিকার করেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মোস্তাফিজের করা বলে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছিলেন মাথিশা পাথিরানা। চলতি আইপিএলের শুরু থেকেই মোস্তাফিজ আর পাথিরানাকে একে অন্যের প্রতিপক্ষ ভাবা হয়েছিল। যদিও সেদিন পাথিরানা মুগ্ধ করেছিল সবাইকে। গতপরশু মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে সেই ক্যাচের প্রতিদানই যেন ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের পেসার।
মাথিশা পাথিরানার বলে ডিপ থার্ডম্যান সীমানায় দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মোস্তাফিজ। বিপজ্জনক ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে ফিরতে হয়েছে ফিজের সেই অসাধারণ ক্যাচের কল্যাণে। সূর্যকুমারের এই ক্যাচ চলতি আইপিএলের সেরা ক্যাচ হতেই পারে। পাথিরানার বলে তুলে দিয়েছিলেন থার্ডম্যানে। আর একটু হলেই ছয় হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মোস্তাফিজ সেই ক্যাচ ধরেন। ভারসাম্য সামলাতে না পেরে বল উপরে ছুড়ে দিয়েছিলেন। বাউন্ডারির ভেতরে একটি পা রেখে ভারসাম্য ফিরিয়ে আবার মাঠের ভেতরে এসে ক্যাচ লোফেন। রিভিউ দেখার পর আউট দেয়া হয়।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তারপরেও চেন্নাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রেখেছিল ফিজের ওপর। তিনি যে সেটার প্রতিদান খুব ভালো করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তা অবশ্য বলা চলে না। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ভুলে যাওয়ার মতোই রাত পার করেছেন ফিজ। পাওয়ারপ্লেতে দুবার তার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ। দুবারই দলকে হতাশ করেছেন। দিয়েছিলেন ২৩ রান। ১৮তম ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ১৯ রান। আর শেষে এসে ১৩ রান দিয়েছেন রান সহায়ক পিচে। চিপাকের সেøা উইকেটের বাইরে এখন পর্যন্ত দুবার বল করেছেন মোস্তাফিজ। দুবারই ছিলেন খরুচে। এই নিয়ে আলোচনাও কম হচ্ছে না। যদিও পরিসংখ্যান বলছে এখন পর্যন্ত আইপিএলের বোলারদের তালিকায় ওপরের দিকেই আছেন ফিজ।
ইকোনমি বিবেচনায় ফিজ অবশ্য কিছুটা পিছিয়েই থাকছেন। আইপিএলের এবারের আসরে ৮ বা তার অধিক উইকেট পেয়েছেন এখন পর্যন্ত ১০ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনের ইকোনমিই ফিজের তুলনায় ভালো। মোস্তাফিজ বল করেছেন ৯.১৫ ইকোনমি রেটে। তারচেয়ে বেশি ইকোনমি শুধু আর্শদ্বীপ সিং, জেরাল্ড কোয়েটজে এবং মোহিত শর্মার।
এর আগে এবারের আইপিএলে দুই দফায় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির ‘পার্পল ক্যাপ’ মাথায় পরেছেন মোস্তাফিজ। তার দল চেন্নাইও ভালো করছে। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই এখন আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়