কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

পথের ভোগান্তি ছাড়া ঢাকায় ফিরছে মানুষ : বাস ট্রেন ও লঞ্চে চাপ বাড়ছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গ্রামে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ ও নববর্ষ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন সবাই। সড়ক ও নৌপথসহ সব পথেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও ভোগান্তি ছাড়াই তারা ঢাকায় ফিরে আসছেন। দেশের কোনো মহাসড়কে যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নির্বিঘেœই সোমবার ভোররাত থেকে সদরঘাট টার্মিনালে ফিরতে শুরু করে। নিরাপদ যাতায়াতের মাধ্যম হওয়ায় রেলপথে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পূর্ণ আসনে যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দর ও কমলাপুর রেলস্টেশনে ফিরেছে সব ট্রেন।
টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার থেকে খুলেছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। গাবতলী টার্মিনালের সামনে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাড়তি ট্রিপের আশায় দ্রুত চলে যাচ্ছে বাসগুলো। রাজবাড়ী থেকে আসা মানিরুজ্জামান জানান, বাসে যাত্রীর চাপ রয়েছে। বেশির ভাগ বাসই পূর্ণ আসনে যাত্রী নিয়ে ফিরেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বেশির ভাগ যাত্রী সাভারের নবীনগর, পল্লী বিদ্যুৎ, সাভার বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর, আমিনবাজার নেমে গেছে। বাকিরা গাবতলী টার্মিনালে নেমেছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা ভোগান্তি হয়নি। বাস থেকে নেমেই যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও লোকাল বাসে উঠতে দেখা গেছে। অনেকেই সরাসরি অফিসে যাবেন বলে জানান। সুযোগ বুঝে সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকিয়েছে।
মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। এনা পরিবহনের চালক কামাল হোসেন জানান, শেরপুর থেকে পূর্ণ আসনে যাত্রী নিয়ে ফিরেছেন। গাজীপুর, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বেশির ভাগ যাত্রী নেমেছে। ১২ জন যাত্রী নিয়ে মহাখালী টার্মিনালে পৌঁছেছেন। পথে কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।
নিরাপদ যাতায়াতের মাধ্যম হওয়ায় রেলপথে গতকাল যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অধিকাংশ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। বিকাল পর্যন্ত ২৫টি ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ট্রেনে যাত্রীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। বিশেষ করে অফিসগামীদের ঢল নেমেছে স্টেশনে। বিভিন্ন কারণে দুয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। তবে কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি। অধিকাংশ ট্রেন সময়মতো ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সকাল ৭টায় খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুরে এসে পৌঁছায়। ব্যাংক কর্মকর্তা আজমল হোসেন বলেন, আজই কাজে যোগ দিতে হবে। তাই পরিবারকে গাড়িতে তুলে দিয়ে সরাসরি অফিসে ঢুকব।
ভোর থেকেই বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, চাঁদপুর থেকে লঞ্চগুলো বিপুলসংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় লঞ্চের যাত্রীরা স্বস্তিতে এবং দিনের শুরুতেই ঢাকা ফিরে এসেছেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সকাল থেকেই থেমে থেমে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোনো ভোগান্তির সৃষ্টি হয়নি। ঘাটে আসার পর অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রী ও যানবাহনকে পদ্মা পার করে দিচ্ছে ফেরিগুলো। এদিন ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি ছিল। অনেকে আবার লঞ্চেও নদী পার হয়েছেন। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, মূলত রবিবার ভোর থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় শুরু হয়। এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৮ ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় ঘাটে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ৩ হাজার ৯৪৪টি যানবাহন পদ্মা পার হয়েছে। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ৫২১টি, পণ্যবাহী ট্রাক ২৯২টি, ছোট ও মাঝারি গাড়ি ১ হাজার ৬১৭টি এবং মোটরসাইকেল ১ হাজার ৫১৪টি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়