কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

নাবিকরা দেশে ফিরতে উদ্গ্রীব, স্বজনদের স্বস্তি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সোমালিয়ান জলদস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। জাহাজটি ১৯ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে, সেখানে কয়লা খালাস শেষে ফিরবে চট্টগ্রামে। জলদস্যুদের কবলে পড়লে ৩২ দিন আগে ১২ মার্চ মধ্য দুপুরে যে উৎকণ্ঠা শুরু হয়েছিল তার অবসান হয়েছে বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে। বাংলাদেশ সময় গত শনিবার রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে একে একে ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজ থেকে নেমে যায়। রাতের আঁধারে ৯টি বোটে করে চলে যায় তারা। যাওয়ার আগে নাবিকদের উদ্দেশে বলে যায়, ‘তোমরা এখন মুক্ত’। এর পরপরই এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন দেশে জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে তাদের মুক্তির বার্তা পাঠান। জাহাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। মুক্ত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নাবিকরা। উদ্বেগ কাটিয়ে পরিবারের মুখে ফুটে উঠে হাসির ঝিলিক।
এদিকে এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘গ্যারোয়ে অনলাইন’ জানিয়েছে, জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে দস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুন্টল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মির সঙ্গে জড়িত এই ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। গারোয়ে নামের অনলাইনে দস্যুদের গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে। তবে নাবিকদের মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে না অন্য কোনো পদ্ধতিতে মুক্ত করা হয়েছে এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দুই দস্যু জানিয়েছে, দুই দিন আগে মুক্তিপণ হিসেবে তাদের ৫০ লাখ ডলার দেয়া হয়। এই অর্থগুলো নকল কিনা পরবর্তী সময় সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে অর্থগুলো ভাগ করে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়। মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ছাড়িয়ে নেয়ার বিষয়টি দস্যুদের আরো জাহাজ ছিনতাইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুন্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ায় জিম্মি হওয়া নাবিকরা এখন পুরোপুরি মুক্ত। এই নাবিকরা এখন জাহাজে কাজ করবে কিনা বা কতদিন করবে সেটা নির্ভর করবে মালিকদের ওপর। মালিকরা বলছেন, নাবিকরা যা চাইবে সেভাবেই হবে। তবে, জাহাজের ২৩ নাবিক দুবাই থেকে ফিরে আসার পর আর জাহাজে কাজ করতে চান না। পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন। জিম্মি নাবিকের মুক্তিতে মুক্তিপণ দেয়ার ভিডিও চিত্র দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, এটা কোনো সিনেমার ছবিও (দৃশ্য) হতে পারে। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না। তিনি বলেন, জানতাম

পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস (ডলার) পানিতে ফেলে জানা ছিল না!
জাহাজের ক্রু লিস্ট থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহর মাস্টার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, থার্ড অফিসার ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির, চিফ ইঞ্জিনিয়ার নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার নেত্রকোনার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট ল²ীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী, ফায়ারম্যান চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।
এদিকে, মুক্ত হওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার (প্রধান কর্মকর্তা) আতিক উল্লাহ খান। ইংরেজিতে লেখা সেই পোস্টের সঙ্গে চারটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার এবং সমস্ত শুভাকাক্সক্ষীদের ধন্যবাদ, যারা পুরো যাত্রায় প্রার্থনা করেছেন। ইউনাভফোর অপারেশন আটলান্টাকে ধন্যবাদ। আর ধন্যবাদ বাংলাদেশকে। তোমাকে ভালোবাসি এবং তোমাকে মিস করছি, বাংলাদেশ।’
একটি সূত্রের দাবি, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এ সময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুণে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। আশপাশে কেউ আটক করছে কিনা সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।
এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরের মা জ্যোৎস্না বেগম জানান, ঈদের দিন কথা বলার পর তার ছেলের সঙ্গে আর কথা হয়নি। শনিবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে সে ফোন করে মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ভোর রাতে মুক্তির খবর পেয়ে কী যে আনন্দ লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মনে হচ্ছে আজকেই আমাদের ঈদ। ঈদের দিনতো আমাদের ঘরে কোনো আনন্দেই ছিল না। নাবিক আইনুল হকের মা লুৎফে আরা বেগম বলেন, আমার ছেলেরা মুক্ত হয়েছে, কেমন ভালো লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ঈদ গেলেও তাদের ঘরে কোনো আনন্দ ছিল না। ঈদের দিন আইনুলের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। তারপর দুই দিন আর কথা হয়নি। খুব শঙ্কায় ছিলেন, ছেলের মুক্তি নিয়ে।
উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গত রবিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাহাজের মালিকপক্ষ। এতে জাহাজ দস্যুদের কবলে পড়া থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কথা বলেন কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম। কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, এমভি আবদুল্লাহ তার গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ১৯ এপ্রিল পৌঁছাবে। সেখানে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ৪-৫ দিন পর বিমানে অথবা জাহাজে করে নাবিকরা দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। বিমানে নাকি জাহাজে তারা দেশে ফিরবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। জাহাজটি কয়লা খালাস শেষে চট্টগ্রামে ফিরবে। জাহাজে অস্ত্রধারী গার্ড না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে শাহরিয়ার জাহান বলেন, এটার কারণ হচ্ছে আমরা হাই রিস্ক অ্যারিয়ার বাইরে ছিলাম। সাধারণত ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতর হাইরিস্ক অ্যারিয়া হিসেব করা হয়। কিন্তু আমরা যাচ্ছিলাম মোটামুটি ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে। গত ৮-৯ বছরে ওই এলাকায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে আর্মড গার্ড নিতে হয়। একারণে আমরা আর্মড গার্ড নেইনি। তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে আমাদের মালিকানাধীন এমভি জাহান মণি দস্যুদের কবলে পড়েছিল। তখন আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। এ কারণে ওই জাহাজ উদ্ধারে একটু বেশি সময় লেগেছিল। এমডি আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে আমরা অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যেটা যেভাবে করা দরকার সেভাবে করেছি। জাহাজটা ওরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রথমে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে জাহাজে থাকা যন্ত্রের মাধ্যমে আজ পর্যন্ত আমরা সব লোকেশন ট্র্যাক করতে পারি। দস্যুদের কমান্ডারের সহকারী ইংরেজিতে কথা বলতে পারতেন। শুরুতে তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়। প্রথম দিনে আমরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, তাদের পক্ষ থেকে কে যোগাযোগ করবে এবং আমাদের পক্ষ থেকে কে যোগাযোগ করবে। এরপর প্রতিদিন ওদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কথার মূল উদ্দেশ ছিল নাবিকরা কেমন আছে এবং কত তাড়াতাড়ি আমরা মুক্ত করতে পারব? তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জাহাজ পরিচালনা করি; সেহেতু সবকিছু আমাদের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে কথা হতো জুমে এবং টেলিফোনে। আমরা আমাদের প্রস্তাবগুলো একজন আরেকজনের সঙ্গে শেয়ার করতাম। এভাবে আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেই।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই কোম্পানির মালিকানাধীন বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়