কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

টেকনাফ সীমান্ত : ১০ দিন ধরে বিস্ফোরণের শব্দ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শহীদ উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে : মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে সর্বশেষ কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মানুষ গত ৫ এপ্রিল থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে আসছে। টানা ১০ দিন পর্যন্ত সীমান্তের এপারে প্রতিদিন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর আড়াইটা) থেমে থেমে শব্দ শুনতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীমান্তের মানুষ। সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, পুরানবাজার, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, রঙ্গিখালী, লেদা, মুচনী, দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া, জালিয়াপাড়া থেকে শুরু করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের নাফনদীর ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ হচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের বলিবাজার, নাকপুরা, দক্ষিণে হাস্যুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, মাঝামাঝি সিকদারপাড়া, দলিয়াপাড়া, কদিরবিল, নুরুল্যাহপাড়াকে ঘিরে মর্টার শেলসহ নানা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মানুষের ধারণা এবং টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই এখন আরাকান আর্মির দখলে। সম্ভবত এই বিস্ফোরণের শব্দ এলাকা পুনঃরুদ্ধারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী চেষ্টার কারণে হচ্ছে। এর জের ধরে হামলা হচ্ছে। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ১০ দিন ধরে হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঈদের দিনেও অনেক বেশি গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে টেকনাফের মানুষ।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, ১০ দিন ধরে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফনদীর ওপারে আবারো সংঘর্ষ চলছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল বলেন, ১০ দিন ধরে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। দ্বীপে বসেই শোনা যাচ্ছে এসব শব্দ। দুই পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘাত শুরু হয়েছে। সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। এদিকে আবারো গত রবিবার আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১৪ বিজিপি সদস্য। টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার সকালে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি দিয়ে ৩ জন ও ঝিমংখালি সীমান্ত দিয়ে ৬ জন প্রবেশ করেছে। সংঘাতের কারণে সরকারি বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরো ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। তারা সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরো ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়