গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

মাঠে সক্রিয় নেতাকর্মীরা : শতাধিক উপজেলায় প্রার্থী দেবে জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেবে নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শূরায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে না। শুধুমাত্র সম্ভাবনা আছে, এমন উপজেলাগুলোতে নির্বাচন করার গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়- অন্তত শতাধিক উপজেলায় প্রার্থী দেবে জামায়াত। উপজেলা নির্বাচনে যেহেতু আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে, নৌকা প্রতীক দিচ্ছে না, বিএনপিও ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করবে না। কাজেই প্রতীকবিহীন এই নির্বাচন জামায়াতের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছেন স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটির নেতারা। সর্বোচ্চ ফোরাম মজলিসে শূরার সাম্প্রতিক এক বৈঠকে জামায়াতের সংগঠন, নির্বাচন এবং সামনের দিকে করণীয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনকে নিজেদের সংগঠন গোছানো এবং জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবেও বিবেচনায় নেয়া হয়।
জামায়াত নেতারা বলছেন- যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউই দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছে না, তাহলে এখানে প্রার্থীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং এলাকায় তার অবস্থান বিবেচনা করা হবে। এ রকম নির্বাচনে জামায়াত ভালো করবে বলেই তাদের বিশ্বাস। আর এ কারণেই সর্বশক্তি দিয়ে জামায়াত উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত শতাধিক উপজেলায় কারা কারা প্রার্থী হবেন তাদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। আর দলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এছাড়া ইফতার পার্টিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে সংগঠিত হচ্ছেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
জামায়াত সূত্রগুলো বলছে- দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে আগে থেকেই জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি ভালো। এ কারণে এসব এলাকার নির্দিষ্ট কিছু উপজেলাকে টার্গেট করে তাদের প্রচারণা চালাবে এবং একটি সম্মানজনক ফলাফল নিয়ে আসার জন্য জামায়াত সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। এর মধ্যদিয়ে দলটি তাদের অবস্থান যে আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে, তা প্রমাণ করবে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, আমরা দলীয়ভাবে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন করছি না। জেলা ও উপজেলার নেতারা একমত হয়ে যদি নির্বাচন করতে চায়, করবে। না করলে কাউকে বাধ্য করা হবে না। অর্থাৎ কাউকে নির্বাচন করতে উৎসাহিতও করা হচ্ছে না, আবার বারণও করা হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, সবশেষ ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াতের শতাধিক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) হন। এর আগে, ২০০৯ সালের নির্বাচনে ২৪ উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে জামায়াত। দলের নিবন্ধন না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল জামায়াত নেতাদের। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে সেবার কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়