গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

মহাসড়কের অনেক স্থানে ভোগান্তির আশঙ্কা এবারো

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেব দুলাল মিত্র : ঈদ সামনে রেখে একটানা ১১ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পথের ভোগান্তি নিয়েই এবার ঢাকা ছাড়বে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবারের ঈদযাত্র স্বস্তির হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও, সড়কে ভোগান্তির বিষয়টি একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, সেতুর টোলপ্লাজায় যানজট, সড়ক প্রসস্তকরণের ফলে যানজটের বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তারা ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ মহাসড়কের একাধিক স্থানে এবারের ঈদযাত্রায় যানজট ও পথকষ্টের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন। সব মহাসড়কের শতাধিক স্থানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রা শুরুর আগেই মহাসড়ক ‘ক্লিয়ার’ রাখতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে, ব্যস্ত এলাকার ভিড় কমিয়ে চলাচলের পথ মসৃন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেছেন, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি দূর করতে হলে প্রতিটি সংস্থাকে একসঙ্গে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। সওজ, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঈদের সময় হঠাৎ করে মহাসড়কে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার যানজট হয়। কোথায় যানজট হয় তা চিহ্নিত করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি থেকে আমরা কেউই রেহাই পাব না। এ সময় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বেশি চলে, এগুলোকে প্রতিরোধ করতে হবে। রাস্তার সংস্কার কাজ আগেই শেষ করে ইদযাত্রার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
উত্তরবঙ্গের পথে ভোগান্তির আশঙ্কা : এবারের ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গের পথে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এই দীর্ঘ পথে ভোগান্তির সবচেয়ে বড় জায়গা হিসাবে ধরা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার সড়ক। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজায় টোল দেয়ার সময় যানবাহনের গতি থেমে যায়। এর ফলে ঈদযাত্রার আগে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর রেশ পড়ে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার সড়কে। ভোগান্তির এখানেই শেষ না। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত অন্তত ৩৫টি স্থানে এবার ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন বাস চালকরা। শ্যামলী পরিবহনের চালক কালাম বলেন, এই মহাসড়ক দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে। ঈদের সময় সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে। সড়কে ব্যাপক চাপ পড়বে। সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজে চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ধীরগতি, ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণকাজ, সড়কের ওপর বাজার-ঘাট বসার কারণে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলতে পারে না, যানজটের সৃষ্টি হয়। এই মহাসড়কের ৩৫টি স্থানে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার চান্দাইকোনা থেকে চাপড়িগঞ্জ পর্যন্ত বগুড়ার ৫০ কিলোমিটার সড়কেও যানজট হতে পারে। তবে পুলিশ রাস্তা ‘ক্লিয়ার’ রাখতে উত্তরের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।
নাবিল পরিবহনের বাসেরকর্মী জসিমউদ্দিন জানান, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পর্যন্ত ২০টি স্থানে মহাসড়ক স¤প্রসারণ, ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলছে। এক লেনে চলাচল করতে হয়। ধীরগতির কারনে যানজট হবে। এছাড়া ঘুরকা বেলতলা, ঘোগা বটতলা, ছনকা বাজার, শেরপুর সদর, মাঝিড়া, বনানী বাসস্ট্যান্ড, ফুলতলা, তিনমাথা

রেলগেট, চারমাথা বাস টার্মিনালের সামনে, বারপুর মোড়, মাটিডালী মোড়, মোকামতলা উড়ালসড়কের নিচে, গোবিন্দগঞ্জ শহর মোড়, পলাশবাড়ী এলাকায় যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাসচালক মহিউদ্দিন জানান, এলেঙ্গা পর্যন্ত সড়কে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার যেতে দীর্ঘ সময় লাগে। এখানে মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে এখানেই ভোগান্তির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
অপর এক বাসের চালক শাহজাহান হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কে এবার ভোগান্তি হবেই। বগুড়ার তিনমাথা ওভারপাস এলাকা, বগুড়ার মাটিডালী ও ঠেঙ্গামারা এলাকায়ও যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের আগে একটি ওভারপাস খুলে দেয়া এবং সংস্কারকাজ শেষ দ্রুত শেষ করে উত্তরবঙ্গগামী সড়ক একমুখী করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদযাত্রা শুরুর আগেই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।
শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, দেশের সব রুটে আমাদের বাস চলে। এখনো মহাসড়কের অনেক স্থানে লেন বাড়ানো এবং সংস্থার কাজ চলছে। সড়ক ভালো না থাকায় গতি কমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া মহাসড়কের পাশের হাটবাজারের কারণেও যানজটের ফলে বাসের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চলাচল করতে চাই। হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় জোরালো পদক্ষেপ নিলে যানজট পরিস্থিতি সামল দেয়া সম্ভব হবে। এতে সবাই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানিয়েছেন, গত বছর ঈদের সময় দিনে সর্বোচ্চ ৫৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছিল। ঈদের সময় গাড়ির চাপ বেশি থাকে এবং টোল আদায়ে সমস্যা হয়। কখনো কখনো টোল আদায় বন্ধ থাকলে যানজট হয়। এবার সেতুর দুইপাশে ৯টি করে ১৮টি এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে ৪টি টোলবক্স বসানো হবে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মোড় এলাকায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক : এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৮টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো, মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচলের কারণে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ২১ মার্চ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) এক সভায় জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা অংশে ২৮টি এবং নারায়ণগঞ্জ অংশের ১১টি স্থানকে যানজটপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দির গোমতী সেতু টোলপ্লাজা, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, চান্দিনার মাধাইয়া বাজার, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, বুড়িচংয়ের নিমসার সবজি বাজার, সদর উপজেলার নাজিরা বাজার ইউটার্ন, ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা, পদুয়ার বাজার, সুয়াগাজী বাজার, চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় এবার ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
এসব জায়গায় মহাসড়কের ওপর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড একসঙ্গে রয়েছে। আবার আলাদাভাবেও বাজার ও বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। সংযোগ সড়ক থেকে ধীরগতির যানবাহন মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে। সংযোগ সড়কের যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। উল্টো পথেও যান চলাচল করে। তখন জটলা তৈরি হলে হাইওয়ের যানবাহনের গতি কমে যানজট হয়। যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে মেঘনা টোলপ্লাজায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
সড়ক ও জনপদ অধিপ্তরের কুমিল্লার কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের মহাসড়ক পুরোপুরি সচল রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সড়কের উন্নয়ন বা সংস্কার বন্ধ রাখা হবে। চান্দিনা ও গৌরীপুরে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সড়ক মনিটরিং করা হবে। সমস্যা হলে দুটি টিম দ্রুত পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের ১৫টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাঁচপুর সেতুর নিচে শ্যামবাজার বাসস্ট্যান্ড, তারাব চৌরাস্তা, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, ভুলতা, গোলাকান্দাইল মোড়ের মহাসড়ক লেগুনা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দখলে থাকে। এছাড়া যাত্রামুড়া বাজার ও তারাব থেকে ভুলতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ বাস ও ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়। রূপসী, বরপা, ভুলতা উড়ালসড়কের নিচের মহাসড়ক দখল করে গড়ে তোলা অন্তত ১২টি অবৈধ স্ট্যান্ড। এখানে শত শত যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া মহাসড়কের দুই পাশ হকারের দখলে থাকে। সিলেটে চলাচলকারী বাসের চালক আব্দুস সালাম জানান, এই মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের ভুলতা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে যানজট পোহাতে হয়। ঈদে ঘরমুখী লোকজনকে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তবে ঈদযাত্রা শুরু হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা হবে।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক : ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পদ্মাসেতুর টোল প্লাজায় ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পোস্তগোলা ও বাবুবাজার সেতু হয়ে হাজার হাজার যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ঈদযাত্রা শুরু করবে। ফলে টোলপ্লাজায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ঢাকা থেকে যানবাহনের বের হওয়া কঠিন হবে বলে। টোলপ্লাজায় কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি না হলে খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জের যাত্রীরা বেশ আরামেই গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। তকে সড়ক প্রশস্তকরন কাজ চলামান থাকায় বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালিগামী যানবাহনগুলোকে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তবে এবার সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। তবে এবার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে আর কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না। প্রকল্পের সওজ এর অংশের আওতায় নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে এবার ময়মনসিংহের পথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। টঙ্গী থেকে শুরু করে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত কোথাও খানাখন্দ বা ভাঙাচোরা নেই। তবে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে যানবাহনের জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের সৃষ্টি হতে পারে হোতাপাড়া এলাকায় পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি বড় পার্শ্ব রাস্তায়। বড় বড় শিল্পকারখানার যানবাহনগুলো এসব পার্শ্ব রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে ওঠার সময় প্রায়ই যানজট হয়। বাঘের বাজারের উত্তরে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ যানজট হচ্ছে প্রতিদিন।
পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে : ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে এবারো ঈদের আগে ও পরে ৬ দিন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। সম্প্রতি এক বৈঠক ট্রাক-ভারী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। শুধুমাত্র জরুরি পচনশীল খাদ্যদ্রব্য চলাচল করতে পারবে।
হাইওয়ে পুলিশ যা বলছে : হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন- ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রা চলাকালে মহাসড়কে ৭০০ পুলিশ সদস্য ও ৪ শতাধিক কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নষ্ট গাড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য রেকার থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পুলিশের টহল থাকবে। পাশাপাশি থানা পুলিশকেও কাজে লাগানো হবে। যানজটমুক্ত, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থা থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়