এমসিসিএইচএসএলে দুর্নীতির অভিযোগ

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে দুষ্ট চক্রের থাবা

পরের সংবাদ

স্মলির স্থলাভিষিক্ত হলেন টিটু

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাফের বয়সভিত্তিক দুটি আসরে কোচ সাইফুল বারী টিটুর অধীনেই শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে টানা দুই ম্যাচে। কিন্তু কোচের ভূমিকার পরিবর্তে টিটুকেই পরবর্তী ১ বছরের জন্য টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় সাইফুল বারী টিটুকে এক বছরের জন্য ওই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করবেন তিনি।
এর আগে গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশিদের প্রাধান্য থাকার কথা উল্লেখ করে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাতে আবাহনীর সাবেক ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচ, বিকেএসপির সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রেপার, ব্রাদার্সের সাবেক কোচ রেজা পার্কাসসহ আরও সাতজন বিদেশি আবেদন করলেও দেশের দুই শীর্ষ কোচ মারুফুল হক ও জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু আবেদন করেননি। দেশীয়দের মধ্যে আবেদন করেছিলেন শুধু সাইফুল বারী টিটু। তাই টিটুর নিয়োগে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল, টেকনিক্যাল কমিটির সভায় একপর্যায়ে টিটু এসেছিলেনও। সেখানে মূলত আলোচনা হয়েছে সম্মানী নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকা মাসিক সম্মানী নির্ধারিত হয়েছে তার। অধিক যোগ্য বিদেশি প্রার্থী থাকলেও তড়িঘড়ি করে দেশি একজনকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের মহিউদ্দিন আহমেদ মহী বলেছেন, ‘বিজ্ঞপ্তির মেয়াদের ব্যাপারে আমাদের কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। ফিফার একটা নির্দেশনা রয়েছে দেশিদের মধ্যে থেকেই একজনকে এই পদে দেয়ার ব্যাপারে। আমরা তাই দেশিকে প্রাধান্য দিয়েছি।’
যদিও বাফুফের নীতি ক্ষণেক্ষণে পরিবর্তন হয়, এর আগে এলিট একাডেমিতে দেশের একজন শীর্ষ কোচ আবেদন করেছিলেন। সেখানে ব্রিটিশ একজনকে নিয়োগ দেয় ফেডারেশন। তিন মাস পরই সেই ব্রিটিশ কোচকে এখন একাডেমি থেকে সরিয়ে নারী দলে এবং নারী দলে কাজ করা টিটুকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পাশাপাশি একাডেমির দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। কোচিংয়ে এত রদবদল পুরোটাই হয়েছে সভাপতি একার ইচ্ছাতেই। এমনকি অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে সভা ছাড়াই।
উল্লেখ্য বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদ আনুষ্ঠানিক সৃষ্টি হয়েছে কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে সভাপতি হওয়ার পরে। ২০০৯ সালে দেশের অন্যতম সাবেক গোলরক্ষক শহিদুর রহমান চৌধুরী সান্টু টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিতে আসেন সুদূর আমেরিকা থেকে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও দেড় বছরের বেশি থাকেননি তিনি। সান্টুর বিদায়ের পর কিছুদিন বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু এই পদে কয়েক বছর ছিলেন। ২০১৬ সালে এসেছিলেন ব্রিটিশ পল স্মলি। তিনি ২০২০ সালে চলে গেলেও আবার তাকে ফিরিয়ে আনে ফেডারেশন। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি তিনি আবার চলে যাওয়ার পর পদটি খালি ছিল কয়েকমাস। এবার সেই পদেই আসীন হচ্ছেন টিটু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়