আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

এমসিসিএইচএসএলে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডে (এমসিসিএইচএসএল) চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। দুর্নীতি আর অনিয়মই সেখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। সমবায় আইন লঙ্ঘন করে অনেকেই কমিটির এক একটি পদ বছরের পর বছর দখল করে রেখেছেন। এমনকি, প্রতিষ্ঠানটির অবৈতনিক চেয়ারম্যান পদ ১১ বছর ধরে রেখেছেন আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। তাকে কেন্দ্র করে পরিচালনা কমিটির অনেকেই গড়েছেন কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
স¤প্রতি সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশনসহ পরিচালনা কমিটির কয়েকজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেছেন সোসাইটির সদস্য অমূল্য লরেন্স পেরেরা। অন্যদিকে এমসিসিএইচএসএলের চতুর্থ মেয়াদে সেক্রেটারির পদে থাকা ইমানুয়েল বাপ্পি মণ্ডল, ট্রেজারার পদে থাকা বাদল বি. সিমস্যাং, পরিচালক পদে থাকা কল্পনা ফলিয়া ও ডেভিড প্রবিন রোজারিও এবং সিনিয়র ম্যানেজার (ল্যান্ড) রতন আর পেরেরার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আগষ্টিন পিউরিফিকেশন সোসাইটিতে বর্তমানে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদে আছেন। সমবায় আইন অনুযায়ী, একটানা তিন মেয়াদের অব্যবহিত পরবর্তী একটি মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থী হইবার যোগ্য নন। অথচ আগষ্টিন পিউরিফিকেশন অবৈধভাবে চতুর্থ মেয়াদে চেয়ারম্যান হয়েছেন। এ বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তরের ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট রিপোর্টে চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত দেখানো চেয়ারম্যানসহ চারজনকে অপসারণের নির্দেশনা দেয়া হয় এবং তাদের স্বাক্ষরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই।
সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন, সেক্রেটারি ইমানুয়েল বাপ্পি মণ্ডল, পরিচালক অর্থ ও প্রশাসন বাদল বি সিমস্যাং ও সদস্য কল্পনা মারিয়া ফলিয়া চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার জন্য অযোগ্য। দ্রুত তাদের ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে অপসারণ করার লক্ষ্যে সমবায় বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। অথচ রহস্যজনক কারণে এখনো আগষ্টিন পিউরিফিকেশনসহ অন্য চারজনকে অপসারণ করা হয়নি।
চতুর্থ মেয়াদে অবৈধভাবে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন অমূল্য লরেন্স পেরেরা। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট আইন বহির্ভূত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমবায় অধিদপ্তরকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আগষ্টিন এমসিসিএইচএসএল কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিগ অব বাংলাদেশ লিমিটেডে (কালব) অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সমিতিকে বানিয়েছেন নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমসিসিএইচএসএল বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে একা সব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।
সূত্রমতে, আগষ্টিনের বিরুদ্ধে সমবায় অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়