আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

সবাই নতুন প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত : ড. এম শামসুল হক. সাবেক পরিচালক, দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বুয়েট

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, রেলে বর্তমানে একমুখী উন্নয়ন চলছে, সবাই নতুন প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত। এতে কেন যেন আগ্রহ- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে রেলের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বহু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, নতুন নতুন লোকোমোটিভ, কোচ কেনাকাটায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু এতে যাত্রীসেবার মান বাড়ছে না। এই লোকোমোটিভ ও কোচ যখন দেশে আনা হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে যে, এগুলো পরিচালনার জন্য মানসম্মত লাইন নেই, অনেক সময় এক ধরনের ইঞ্জিন টেন্ডার করা হলেও পাঠানো হচ্ছে কম শক্তিশালী ইঞ্জিন।
তিনি বলেন, রেলকর্মীরা মনে করেন সরকারি কর্মীদের চাকরি সহজে যাবে না, তাই তারাও জবাবদিহিতার মধ্যে নেই বললেই চলে। তারা তো সময়মতো বেতন-ভাতা পাবেন। তবে বিমানে যেমন বেসরকারি দরজা খোলা হয়েছে, রেলওয়েকেও সরকারি পর্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে দেয়া উচিত। তাতে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়বে, সেবার মানও তেমনি বাড়বে। আর নতুন প্রকল্পের সঙ্গে পুরনো প্রকল্পগুলোয় বেশি জোর দিতে হবে, নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন।
ড. এম শামসুল হক মনে করেন, বিশ্বের বহু দেশে রেলওয়েকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আওতায় চালানো হচ্ছে। আমাদের সেই মান্ধাতার আমলের প্রযুক্তির মধ্যে থাকলে চলবে না। বিশ্বমানের হতে হবে, সিগনালিং ব্যবস্থা থেকে লাইনের কোনো ত্রæটি থাকলে আগেই সংকেত পাওয়ার সিস্টেম চালু করতে হবে। রেলকে ভায়াডাক্টের বা ওপর দিয়ে লাইন করার কথাও বলেন তিনি।
এই অধ্যাপক বলেন, দেশে ৩ হাজার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ। সেতু-কালভার্টও মান্ধাতার আমলের। এসব লাইন মেরামত না করেই নতুন কেনাকাটা করা হচ্ছে। যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে, কেনাকাটায় দুর্নীতির খবর আসছে, মানসম্মত মালামাল আসছে না অনেক সময়। এতে রেলের গতি বাড়ছে না বরং রেলের গতি কমছে। আগের চেয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, কর্মকর্তাদের নতুন রেললাইনের পাশাপাশি পুরনো রেললাইনগুলো মেরামত করতে মনোযোগ অনেকাংশে কম, এদিকে নজর দিতে হবে। আবার রেললাইন ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার নামমাত্র করা হচ্ছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা কেনাকাটায় মন না দিয়ে বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ সংস্কার করাটাই হবে প্রথম কাজ। আর রেলের যে যে পদেই থাকেন না কেন তাদের জবাবদিহির মধ্যে আনা জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়