কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা চলেছে ১৯৭৫ সালের পর। তবে চেষ্টাকারীরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন তিনি। এখন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। দেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম সফলভাবে অংশ নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু অনিবার্যভাবে একে অপরের পরিপূরক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও একটি স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে তার নেতৃত্ব ও ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ তৈরি হয়েছিল। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ ও সাবেক সহকারী কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।