আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

ঐতিহাসিক বদর দিবস : গুরুত্ব ও তাৎপর্য > ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস। ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সম্মুখ সমর অনুষ্ঠিত হয় এই দিবসে। পৃথিবীতে ইসলাম থাকবে কি থাকবে না- এ ফয়সালা হয় বদরের রণাঙ্গনে ঐতিহাসিক এক যুদ্ধের মাধ্যমে। জেহালতের তিমিরাচ্ছন্নতার অবসান ঘটিয়ে একত্ববাদের ঝাণ্ডা নিয়ে শান্তি ও সফলতার চাদরে আচ্ছন্ন ঐশী নূরের আলোকে জগদ্বাসীর জন্য ইসলামের মতো মহান পবিত্র নেয়ামতের সুশীতল ঝর্ণাধারা প্রবহমান থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়েছিল বদরের প্রাঙ্গণ থেকেই; এজন্যই মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে তাই মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বদর দিবসকে ‘য়াওমুল ফুরকান’ তথা সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বস্তুত মহানবী (সা.) যুদ্ধপ্রবণ মানুষ ছিলেন না। কিন্তু তৎকালীন অমুসলিম শক্তির নানামুখী ষড়যন্ত্র, নির্যাতন আর ইসলামকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়ার অপপ্রয়াসের মোকাবিলায় রাসুলে পাক (সা.)-এর হাতে যুদ্ধ ব্যতিত আর কোনো বিকল্প ছিল না। তাওহিদ ও রেসালতের প্রতি আনুগত্যকারী মোহাজের ও আনসারগণের সমন্বয়ে অসম সাহসী সাহাবায়ে কেরামের এক প্রত্যয়-দীপ্ত বাহিনী বিশ্ব নবীর (সা.) নেতৃত্বে নজিরবিহীন বীরত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন বদরের প্রান্তরে। মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের সাথী হয়েছিল মহান আল্লাহপাক প্রদত্ত রহমত, মদদ ও সুসংবাদ সম্বলিত বার্তাবলির অমোঘ শক্তিমত্তা। পবিত্র কুরআনের সুরা আলে ইমরানে আল্লাহপাক ঘোষণা করেন- ‘ওয়ালাকাদ নাসারাকুমুল্লাহু বিবাদরিন ওয়া আন্তুম আযিল্লা’ অর্থাৎ সুনিশ্চিতভাবেই মহান আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যুদ্ধে, যেখানে তোমরা ছিলে ক্ষীণ-শক্তির দুর্বল এক পক্ষ। মূলত মুসলমানদের সংখ্যা, যুদ্ধাস্ত্র, সমর উপরণাদি, শক্তিমত্তা ও সমর-কৌশলের চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো মহান প্রভুর সাহায্য ও রহমতের বিষয়; যার ওপর প্রতিটি মুমিন সর্বাবস্থায় ভরসা করবে, নির্ভরতা পাবে। আল্লাহপাক সেজন্যই বলেছেন- ‘ওয়া কানা হাক্কান আলাইনা নাসরুল মুমিনিন’ অর্থাৎ মোমেনদের সহযোগিতা প্রদান করা আমি আল্লাহর জন্য অবশ্য কর্তব্য।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের ১ বছর ৬ মাস ২৭ দিনের মাথায় মদিনা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৮০ মাইল দূরত্বে অনুষ্ঠিত হয় বদরের যুদ্ধ; দিনটি ছিল ২য় হিজরির ১৭ রমজান শুক্রবার। পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণে দেখা যায়, মুসলিম বাহিনীর চাইতে অমুসলিম বাহিনীর সৈন্য-সংখ্যাই ছিল প্রায় তিন গুণ; অমুসলিমদের অন্যান্য রসদ ও উপকরণাদি ছিল আরো বেশি। অমুসলিম সৈন্য-সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও অধিক, সাথে ছিল ১০০ ঘোড়া, শতাধিক উঠ, ছয় শতাধিক লৌহবর্মসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। পক্ষান্তরে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন, সাথে যুক্ত ছিল ৭০টি উঠ ও মাত্র ২টি ঘোড়া; কিন্তু মুসলমানদের ছিল বিশ্বমানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মোহাম্মদের (সা.) নেতৃত্ব এবং মহান আল্লাহর সাহায্য। এই অসম যুদ্ধে কল্পনাতীত পরাজয় বরণ করে মহাসত্য অস্বীকারকারী কুফর প্রতিপক্ষ এবং অবিশ্বাস্য বিজয় লাভ করেন একত্ববাদের পতাকাবাহী আল্লাহপাকের অনুগত মজলুম বান্দারা। কুফরি শক্তির ৭০ জন হত্যার শিকার হয়, ৭০ জন মুসলমানদের হাতে বন্দি হয় এবং মানবেতিহাসে রচিত হয় মাআজ ও মোআওয়াজ নামের প্রত্যয়-দীপ্ত দুই কিশোর সহোদরের এক অতুলনীয় বীরত্বগাথা! যেই কাহিনীর সাথে জড়িয়ে আছে কাফেরদের সবচাইতে প্রভাবশালী নেতা আবু জেহেলের মৃত্যু; বদরের প্রান্তরে এই একটি হত্যাকাণ্ড ইসলামের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা অধিক তাৎপর্যের দাবি রাখে। কেননা ইসলামকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়া ও মহানবীকে (সা.) পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়ার জন্যে সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়েছে এই নিকৃষ্ট মানব আবু জেহেল। ইসলামের প্রথম যুদ্ধেই উপরিউক্ত দুই কিশোরের হাতে তার জীবনাবসান ঘটে। ফলে ইসলাম এক দুর্ধর্ষ, চতুর ও অমানবিক পাষণ্ডের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পায়। মাক্কি জীবনে রাসুলের (সা.) একান্ত অনুগত হাবশি বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ হজরত বেলালের সাথে অমানবিক নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন ও নির্মম নির্যাতন করেছিল তাঁর মুনিব উমাইয়া ইবন খাল্ফ; বদরের রণাঙ্গনে এই পাষণ্ড উমাইয়া তারই দাস নিপীড়িত ও মাজলুম হজরত বেলালের (রা.) হাতেই নিহত হয়। হজরত উমরের (রা.) হাতে নিহত হয় তাঁর আপন মামা; এভাবেই বদরের প্রান্তরে মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অংশগ্রহণকারী সদস্য পর্যন্ত সকলেই মহান প্রভুর সন্তুষ্টি বিধান, নবপ্রবর্তিত ইসলামের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করা এবং তাঁদের প্রাণাধিক প্রিয় রাসুলে আকরামের (সা.) নির্দেশনা বাস্তবায়নে নজিরবিহীন আনুগত্য ও বীরত্বের পরিচয় দেন।
নব-প্রবর্তিত ইসলাম, মহানবি (সা.) ও মহান আল্লাহপাকের জন্য জীবন উৎসর্গকারী কিছু মকবুল মানুষের বিশ্বাস, কর্তব্য-নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রæতির বিস্ময়কর মঞ্চায়ন ঘটেছিল বদরের যুদ্ধে। ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষার এ মরণপণ যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন নবীজির চাচা আমির হামজা (রা.), হজরত আলি (রা.) ও হজরত উবায়দা বিন হারেস (রা.)। যুদ্ধের সূচনাপর্বে ব্যক্তি-পর্যায়ে এই তিনজন বীর সেনানীকে মোকাবিলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল প্রতিপক্ষের শায়বা, ওয়ালিদ ও ওতবা; ইসলামের মহান তিন বীর প্রচণ্ড বিক্রমে এদের তিনজনকে শুরুতেই হত্যা করেন। এরপরই শুরু হয়ে যায় সর্বাত্মক যুদ্ধ; মহানবী (সা.) মুসলিম বাহিনীকে অমিত বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তেজোদীপ্ত, উজ্জীবিত ও প্রতিশ্রæতিবদ্ধ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কুফর বাহিনীর মাঝে চরম হতাশা, নৈরাশ্য ও পরাজয়ের লক্ষণ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে; তারা আর কোনোভাবেই টিকে থাকার শক্তি, সাহস ও রসদ খুঁজে পাচ্ছিল না। অবশেষে যুদ্ধের পরিণাম আরো স্পষ্টতর হয়ে যায়, এক পর্যায়ে সম্মিলিত কুফর বাহিনী করুণ পরিণতি বরণ করে; এর ফলশ্রæতিতে শুধু মক্কা-মদিনাতেই নয় বরং সমগ্র আরব উপদ্বীপে ইসলাম এক নতুন অভিনব শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং মুসলমানদের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বলতর হয়, যা থেকে পরবর্তীতে তাঁরা অধিকতর উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণামূলক অফুরান শক্তি লাভ করেন। মহান আল্লাহ ভবিষ্যতের জন্য তাওহিদবাদীদের এ যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সুরা আলে ইমরানে সুসংবাদ দেন যে, ‘বরং তোমরা যদি সবর এখতিয়ার করো, মহান আল্লাহকে ভয় করার নীতি অবলম্বন করে চলো, তবে বিপক্ষ শক্তি তোমাদের ওপর দ্রুত হামলা করলেও আল্লাহপাক তোমাদের ৫ হাজার ফেরেশতার এক সুবিন্যস্ত বাহিনী দ্বারা সহযোগিতা করবেন।’ মহান আল্লাহ প্রদত্ত ফেরেশতা বাহিনীর এই সহযোগিতার কথা সুরা আনফালেও এসেছে, ‘যদি তুমি দেখতে ফেরেশতারা অবিশ্বাসীদের মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করে তাদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এবং বলছে যে, তোমরা এবার দহন যন্ত্রণা ভোগ করো।’
যুদ্ধ শেষে বিজয়ীর বেশে মুসলিম বাহিনী ৩ দিনের মাথায় মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে মহানবী (সা.) যে সদ্ব্যবহার ও সুন্দর আচরণ করেছিলেন তা মানবেতিহাসের এক অনবদ্য নজির হয়ে আছে। সাহাবায়ে কেরাম বন্দিদের সঙ্গে নবীর নির্দেশনা অনুযায়ী সদাচার চালিয়ে যান। ইতোমধ্যে যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে করণীয় বিষয়ে রাসুলের নেতৃত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়; হজরত উমর (রা.) সে বৈঠকে যুদ্ধবন্দি সকলকে হত্যার পক্ষে মত দেন। অন্যদের মধ্যে বৈঠকে হজরত আবু বকর (রা.) যে বিজ্ঞজনোচিত মতামত প্রদান করেছিলেন, রাসুলে পাকের কাছে তাই গ্রহণযোগ্য হয়েছিল; সেটি ছিল, মুক্তিপণ নিয়ে বন্দিদের ছেড়ে দেয়া। সেমতে বৈঠকে মুক্তিপণ দিয়ে যুদ্ধবন্দিরা মুক্ত হতে পারবে, এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাসুল (সা.) ১ থেকে ৪ হাজার দিনার পর্যন্ত মুক্তিপণের অর্থ নির্ধারণ করে দেন। যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিপণের ব্যাপারে মহানবী (সা.) তাঁর দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ চিন্তাধারার আলোকে এক শিক্ষাবান্ধব মন-মানসের পরিচয় দিয়েছেন; সেটি হলো, বন্দিদের মধ্যে যারা শিক্ষিত তারা মুক্তিপণ হিসেবে প্রতিজন মদিনার ১০ জন অশিক্ষিত ব্যক্তিকে শিক্ষাদানের শর্ত লাভ করেন। অবশ্য অপরাধীর ধরন ও অবস্থা বিবেচনায় রাসুলে পাক (সা.) বেশ ক’জন বন্দিকে কোনো প্রকার মুক্তিপণ ব্যতিরেকেই ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন এবং নাদার ইবনে হারিস ও উকবা ইবনে আবু মুআইত নামে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।
স্বল্প সংখ্যক প্রত্যয়ী, বিশ্বাসী ও আত্মনিবেদিত মানুষ যে বিশাল শত্রæপক্ষের মোকাবিলায় বিজয় লাভে সক্ষম হতে পারে, ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসলাম বদরের সিঁড়ি বেয়ে এভাবেই মহান আল্লাহর রহমত ও মদদে অত্যন্ত দ্রত বেগে সম্মুখ পানে এগিয়ে চলেছিল এবং পরিণত হয়েছিল জগতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এক জীবন-বিধান রূপে। আল্লাহপাকের বাণী- ‘নাসুরম্ মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব’ অর্থাৎ আল্লাহর সাহায্য ও তোমাদের বিজয় অত্যাসন্ন, অতি নিকটে; ইতিহাস সাক্ষী, স্বল্পকালের ব্যবধানেই মহান রবের এ ঘোষণার পরিপূর্ণ সফল বাস্তবায়ন জগদ্বাসী প্রত্যক্ষ করেছিল।
আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ‘আল বদর’ নামে একটি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দালালি, বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা নিধনযজ্ঞে সহযোগিতা এবং মহান মুক্তিসংগ্রামে বাঙালির বিজয়কে রুখে দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে; কিন্তু ওই দেশদ্রোাহীরা বাহিনীর নামটি দিয়েছিল বদরের যুদ্ধের ঐতিহাসিক চেতনাবোধ থেকে। বস্তুত ধর্মের দোহাই দিয়ে এবং ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব পালনের কথা বলে তারা নিজস্ব সমাজ, দেশ, ধর্ম ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল। ইসলামে ‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’ বিবেচনা করলেও এরা পাকিস্তান-প্রেম দেখাতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইসলামেরই ক্ষতিসাধন করেছে। বদরের মতো ইসলামের এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ নামকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে গাদ্দারি করেছে; নিঃসন্দেহে ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের স্বার্থান্ধ ও মতলববাজ কার্যকলাপ খোদ ইসলামকেই বিতর্কিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার নামান্তর। পৃথিবীর যেখানেই পবিত্র ইসলামকে স্বীয় স্বার্থসিদ্ধি বা গোষ্ঠীগত ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার বানিয়ে নেয় এবং যখনই ইসলামকে ধর্ম-ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের অপপ্রয়াস চালায়, মহান আল্লাহ তাদেরই সমুচিত শিক্ষা দিয়ে থাকেন; এটি যেমন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ঠিক তেমনি সমসাময়িক কালেও দেখতে পাচ্ছি। তাই আমাদের প্রত্যাশা, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের প্রভাব, গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলব্ধি করে আমরা নিজেদের চিন্তা ও কর্মের মধ্য দিয়ে শান্তি, কল্যাণ ও মানবতার ধর্ম ইসলামের মহানত্ব ও মূল্যবোধকে বিশ্বসমাজে উচ্চকিত করে তুলি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়