রেজিস্ট্রার পদ থেকে স্বেচ্ছা অব্যাহতি ওহিদুজ্জামানের : নতুন দায়িত্বে ড. আইনুল ইসলাম

আগের সংবাদ

এক্সিমে একীভূত হচ্ছে পদ্মা

পরের সংবাদ

জলদস্যুদের সাড়ার অপেক্ষা : জাহাজে খাবার আছে ২০-২৫ দিনের > অতীত অভিজ্ঞতায় জিম্মিদশা থেকে মুক্তির আশা

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রীতম দাশ, চট্টগ্রাম থেকে : ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিকপক্ষ চেষ্টা করেও গতকাল পর্যন্ত জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। জাহাজটির মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার সকালে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। জাহাজটি এখন জলদস্যুদের পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা এটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমভি আব্দুল্লাহ’র চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, জাহাজটিতে এখন ২০-২৫ দিনের খাবার আছে। এছাড়া ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেশ ওয়াটার মজুত আছে। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজের ২৩ নাবিক এখন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। মুক্তিপণ না দিলে জলদস্যুরা তাদের একে একে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের স্বজনেরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। জাহাজটির মালিকপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করছেন এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা। তারা যে কোনো মূল্যে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার আকুতি জানাচ্ছেন। এদিকে জলদস্যুর কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিককে মুক্ত করার চেষ্টার ক্ষেত্রে ১৩ বছর আগে জলদস্যুদের কবলে পড়া একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’র অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে মালিকপক্ষ। এই জাহাজটিতে থাকা মোট ২৩ জন নাবিকের মধ্যে ১০ জন চট্টগ্রাম নগরী ও বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
সোমালিয়ান জলদস্যুরা মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের এই কয়লাবাহী জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। চট্টগ্রামের কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের

অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
এর আগে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতায় ১০০ দিন পর মুক্তি মিলেছিল তাদের।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গতকাল বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এমভি আবদুল্লাহ উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর নাগাদ এস আর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ হাইজ্যাক হয়েছে। সোমালিয়া কোস্ট থেকে প্রায় ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। পাইরেসি হওয়ার পরে ইউকেএমটিও এর যে অ্যালার্ম, সেটা এসেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে জাহাজটি উত্তর-পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল। গতকাল ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় সোমালিয়া উপকূলের দিকে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে সর্বশেষ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের যে অবস্থান জানা গেছে, তা জানিয়ে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, জাহাজটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে সোমালিয়ার দিকে।
কেএসআরএম কার্যালয়ে নাবিকদের পরিবারের আকুতি : এদিকে গতকাল বুধবার সকালে নগরীর বারেক বিল্ডিংয়ে কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করেন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উৎকণ্ঠিত পরিবারের সদস্যরা। এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমাকে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে কল দিয়ে আমার স্বামী বলেন তাদের জাহাজে জলদস্যু আক্রমণ করেছে। আমার স্বামী আমাকে জানান, তাদের অবস্থা অনেক খারাপ। তাদের অফিসে কল দিয়ে বিষয়টি জানাতে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের অফিসে কল দিয়ে জানাই। তিনি আমাকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে শেষবার ভিডিও কল দেন। মুক্তিপণ না দিলে ওদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলবে উল্লেখ করে আর্তনাদ করে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, একটি অডিও রেকর্ডে তিনি আমাকে জানান, ওদের অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারের কাছে আমার একটিই আবেদন, যেভাবে হোক আমার স্বামীকে এনে দেন। আমার টাকা চাই না, আমি আমার স্বামীকে চাই।’
জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদের মা জ্যোৎস্না বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটায় আমার সঙ্গে তানভীরের শেষ কথা হয়েছে। তখনও তাদের কোনো খাবার বা ইফতার দেয়া হয়নি। কীভাবে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে তাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে।
জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ’র আরেক নাবিক আইনুল হক অভির মা লুৎফে আরা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে মঙ্গলবার বিকালে কল দিয়ে বলে আম্মু ডাকাত আসছে। কিছুক্ষণ পর আবার কল দিয়ে বলে, আম্মু ডাকাত উঠে গেছে, আমাদের জন্য দোয়া করো। কিছুক্ষণ পর আবার কল দিয়ে বলে যারা এখানে উঠেছে তারা সবাই মুসলিম।
জাহাজে খাবার আছে ২০-২৫ দিনের : এমভি আব্দুল্লাহ’র চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ এক অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের জাহাজে ২০-২৫ দিনের প্রভিশন আছে অ্যাপ্রক্সিমেটলি। আর ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেশ ওয়াটার আছে। আমরা অলরেডি সবাইকে বলেছি ফ্রেশ ওয়াটার সেইফলি ইউজ করতে। আর প্রভিশনও আমরা সেভাবে হ্যান্ডেল করব।
মালিকপ্রতিষ্ঠানের বক্তব্য : জাহাজের জিম্মি নাবিকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় নাবিকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা সবাই নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন। জলদস্যুদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। তারা এখনও কোনো দাবি বা মুক্তিপণ চায়নি। তারা আগে জাহাজটি তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে তারপর হয়তো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করতে পারে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করা। এরপর জাহাজটি অক্ষত উদ্ধার করা।’
মাত্র ১৫ মিনিটেই জাহাজের দখল নেয় জলদস্যুরা : জলদস্যুর কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি জলদস্যুরা কীভাবে দখলে নেয় সে বিষয়ে মালিকপক্ষকে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ।
বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করা জাহাজটি থেকে তিনি জানান, জলদস্যুরা তাদের জাহাজে আক্রমণ করছে। এর ১৫ মিনিট পরই তিনি একটি ই-মেইল বার্তায় জানান, জলদস্যুরা জাহাজের দখল নিয়ে ফেলেছে। জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান চট্টগ্রামে মালিকপক্ষের কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠান।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে একটি দ্রুত গতির বোট আমাদের দিকে আসতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আল্যার্ম দিই। আমরা সবাই ব্রিজে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার আর জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা ব্রিজে ছিলেন তখন। আমরা এসওএস (জীবন বাঁচানোর জরুরি বার্তা) করলাম। ইউকে এমটিওতে (যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন) যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তারা ফোন রিসিভ করেনি। এরপর ওরা চলে এল। তারা ক্যাপ্টেন স্যার ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেলল। আমাদের ডাকল। আমরা সবাই এলাম। এ সময় কিছু গোলাগুলি করল। সবাই ভয় পেয়েছিলাম। সবাই ব্রিজে বসে ছিল। তবে কারো গায়ে হাত দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ সময় একটা স্পিডবোটে আরও কয়েকজন চলে এলো। এভাবে ১৫-২০ জন এলো জাহাজটিতে। কতক্ষণ পর একটি বড় ফিশিং ভেসেল এলো। তবে সেটির জ¦ালানি ফুরিয়ে গেছে। এখন আমাদের থেকে ডিজেল নিচ্ছে। আমাদের জাহাজটি থামিয়েছে তারা। জাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হতে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে : এবার জলদস্যুর কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিককে মুক্ত করার চেষ্টার ক্ষেত্রে এমভি জাহান মণির অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে মালিকপক্ষ। ওই সময়ে কবির গ্রুপের ব্রেভরয়েল শিপিংয়ের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম ‘জাহান মণি’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের জন্য জলদস্যুসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়েছিলেন। মেহেরুল করিম এখন ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিকপ্রতিষ্ঠান এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনিই জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে প্রথম কথা বলেন। নাবিকদের মুক্ত করার কাজটি এবারও তিনিই দেখছেন। জিম্মি মুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জলদস্যুদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা এবং মুক্তির বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করে মুক্তিপণের বিষয়টির সুরাহা করা।
অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরুল করিম।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জলদস্যুদের নিজস্ব চ্যানেল আছে। কয়েকটি গ্রুপ ভাগ হয়ে এ কাজটি করে, যারা জাহাজ ছিনতাই করেছে তারা সোমালিয়া বন্দরে নিয়ে গিয়ে অন্য পার্টির কাছে দিয়ে দেবে। তারাই মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত সেই ধরনের মেসেজ আসেনি। তাদের পদক্ষেপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
জাহাজে জিম্মি ২৩ নাবিক, চট্টগ্রামের ১০ জন : জাহাজটিতে মোট ২৩ জন নাবিক জিম্মিদশায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন নাবিক চট্টগ্রামের নগর ও বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ (৫৭)। তিনি নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মো. আবদুল গনির ছেলে। চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান (৩৮), চন্দনাইশ উপজেলার মো. নুরুল আলম খানের ছেলে। সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (৩৫) সাতকানিয়া উপজেলার। জাহাজের ক্রু মো. আসিফ-উর রহমান (২৪), মো. সাজ্জাদ হোসাইন (২৮) এবং মো. নুর উদ্দিন (২৮)। এর মধ্যে আসিফ-উর রহমান লোহাগাড়া উপজেলার, সাজ্জাদ হোসাইন এবং নুর উদ্দিন কর্ণফুলী উপজেলার। গ্রিজার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন (৩১) ও আইনুল হক (৩০)। এর মধ্যে সামুদ্দিন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার এবং আইনুল হক মিরসরাইয়ের জোররগঞ্জ থানার। জাহাজের ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সাকিল (২৪) মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার। জাহাজের চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৩) নগরের বন্দর থানার গোসাইলডাঙা এলাকার।
আর বাকি ১৩ নাবিক দেশের বিভিন্ন জেলার। তারা হলেন- থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম (২৮) ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন (২৪) টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর থানার মো. হারুন অর রশিদের ছেলে। চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান (৪৫) নওগাঁ সদরের মো. আবদুল কাইয়ুমের ছেলে। সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম (৩৮) খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার রোকোন উদ্দিন (৩২) খুলনা জেলার সোনাদাঙ্গা উপজেলার। ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ (২৯) ফেনী সদরের। ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান (২৩) ল²ীপুর জেলার রায়পুর থানার। ইলেক্ট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ (৩৫) ফেনী জেলার দাগনভূঞার। এছাড়া জাহাজে ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক (২৮) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার। জয় মাহমুদ (২৩) নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার। নাজমুল হক (২২) সিরাজগঞ্জ জেলার কামাড়–খান্দা থানার। জাহাজে গ্রিজারের মধ্যে রয়েছেন মো. আলী হোসাইন (৩৫) বরিশাল জেলার বানারিপাড়া থানার। জাহাজের ফিল্টারম্যান মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ (৪৭) নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়