রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের তদন্ত কমিটি গঠন : ল্যাবএইড হাসপাতাল

আগের সংবাদ

জলদস্যুদের সাড়ার অপেক্ষা : জাহাজে খাবার আছে ২০-২৫ দিনের > অতীত অভিজ্ঞতায় জিম্মিদশা থেকে মুক্তির আশা

পরের সংবাদ

রেজিস্ট্রার পদ থেকে স্বেচ্ছা অব্যাহতি ওহিদুজ্জামানের : নতুন দায়িত্বে ড. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি : ইউজিসির তদন্তে চাকরির গ্রেড কেলেঙ্কারির প্রমাণ নিয়ে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পারিবারিক কারণ দেখিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে। এর মাধ্যমে প্রথম কোনো শিক্ষক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালনের ইতিহাস গড়লেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম স্বাক্ষরিত পৃথক দুই অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, পারিবারিক কারণে পিআরএলে থাকা ছুটি ভোগ করতে চুক্তি বাতিল করার আবেদন করেন প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয় তার আবেদন গ্রহণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম এ দ্বায়িত্ব পালন করবেন। আগামীকাল (আজ) ১৩ মার্চ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যায়লয়ের সাবেক ট্রেজারার, জবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্রকল্যাণ পরিচালক। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আছেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পান তিনি। যোগদান করে ওই বছরেই সিলেকশন গ্রেড হিসেবে জাতীয় বেতন স্কেলের ২য় গ্রেড বাগিয়ে নেন। ইউজিসি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ২য় গ্রেডে বেতন দেয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সর্বোচ্চ ৩য় গ্রেডে বেতন পাওয়ার কথা। যে পরিমাণ বেশি টাকা নেয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে বলা হয় তাকে। এছাড়া ভোরের কাগজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, চাকরির অভিজ্ঞতা কম থাকা সত্ত্বেও মো. ওহিদুজ্জামান অনিয়ম করে সরাসরি ৭ম গ্রেডে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৪ বছরের জায়গায় ১০ বছরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ নেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অর্থবছরে একাধিক সম্মানি নেয়া, বাছাই বোর্ডে না থেকেও টাকা নেয়া, নিয়ম না মেনে ঋণ নেয়া এবং বদলি-পদোন্নতিতে ঘুষ নেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়