খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা উধাও

পরের সংবাদ

এক্সিমে একীভূত হচ্ছে পদ্মা

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : শরীয়াহভিত্তিক বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের সমস্যাসংকুল পদ্মা ব্যাংক। গতকাল এ দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সোমবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে শরিয়াভিত্তিক এক্সিম ও গতানুগতিক পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার পর তাদের নাম কী হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি খাতের এ দুই ব্যাংক আগামী সোমবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে। সেই আনুষ্ঠানিকতা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এতে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুই ব্যাংকের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভালো ব্যাংকগুলোর ওপরে কোনো নেতিবাচক প্রভাব যেন না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বলে মনে করেন তারা।
জানতে চাইলে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এখন রেড জোনে থাকা ব্যাংকগুলোকে সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে ভালোর দিকে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার এ প্রক্রিয়া খুবই মহতি উদ্যোগ। তবে কী শর্তে একীভূত হচ্ছে, সে বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। এই অর্থনীতিবিদের মতে, একটি ভালো ব্যাংক খারাপ ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে গিয়ে সে নিজেই খারাপ হয়ে না যায়; সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সা¤প্রতিক উদ্যোগের পর দুটি ব্যাংক একীভূত হওয়ার এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমাদের ব্যাংকের (এক্সিম ব্যাংক) পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কীভাবে এ একীভূত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও পরামর্শক্রমে দুই ব্যাংকের আইনজীবীরা মিলে ঠিক করবেন। এ জন্য আগামী সপ্তাহে একটি সমঝোতা চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই চুক্তির পর একীভূত কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, পদ্মা ব্যাকের ৬০টি শাখা ও ৬টি উপশাখা রয়েছে। ফলে আরো বেশি কাজ করতে পারব। এছাড়া ৬০ শাখায় ৬০ জন ম্যানেজার রয়েছেন। তাদের নিয়ে আরো ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করলে আশা করি খুবই দ্রুত ভালো কিছু হবে।
এ প্রসঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান বলেন. এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সব ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রক্রিয়া শেষ হলেই একীভূত হয়ে যাবে। তবে এজন্য কয়েক মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী দুই ব্যাংক একীভূত হবে। সেক্ষেত্রে দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একজনই হবে। বাকি সব কর্মকর্তা ঠিক থাকবেন।
স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানান, আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংককে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। সূত্র জানায়, এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের যৌথ ব্যবসা থাকায় একীভূত করার প্রক্রিয়ায় প্রথম এই ব্যাংক দুটিকে বেছে নেয়া হয়।
এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে; যা কিনে নেবে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। ফলে ব্যাংকটির সম্পদের (ঋণ ও

বিনিয়োগ) যে মান খারাপ হয়ে পড়েছে, তা আর থাকবে না। এরপর ভালো সম্পদগুলো নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে এক্সিম ব্যাংক। এর ফলে এক্সিম ব্যাংকের সূচক খারাপ হয়ে পড়ার কোনো শঙ্কা নেই। জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকের ১ লাখ ৫০ হাজার হাজার গ্রাহক রয়েছে। আমানতের পরিমাণ ৬ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। খেলাপি ৬২ শতাংশ। আর এক্সিম ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশ।
যেসব ব্যাংকের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ সেগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার কথা বলে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সপ্তাহেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেরা উদ্যোগ নিয়েই অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারবে খারাপ অবস্থানে থাকা ব্যাংকগুলো। এরপর চাপ দিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে তাদের পরিচালকরা একীভূত ব্যাংকে পরিচালক থাকতে পারবেন না বলেও জানানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
আলোচনায় পদ্মা ব্যাংক : ২০১৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে অনুমোদন পায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংক। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকের মধ্যে এই ব্যাংকেই বড় ধরনের আর্থিক কেলেংকারির ঘটনা ঘটে কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যে। প্রথমে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরের উদ্যোগে এর যাত্রা শুরু। এরপর নানা কেলেংকারিতে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকটির পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ফারমার্স ব্যাংকের নাম বদলে করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ২০১৭ সালে এ ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত হয় সরকারি একাধিক ব্যাংক ও সংস্থা। কিন্তু তাতেও ব্যাংকটির অবস্থার উন্নতি হয়নি। কিছুদিন আগে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফতও পদত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেশের ১২টি ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ৯টি ব্যাংক ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। অন্য ৩টির অবস্থান ইয়েলো জোনে অর্থাৎ রেড জোনের খুব কাছাকাছি।
এক্সিম ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে এটি ইসলামী ধারার একটি ব্যাংক। ২০০৪ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল শেয়ারবাজারে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১০ টাকা। এদিন ব্যাংকটির শেয়ারের দাম এক শতাংশের মতো বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তাগিদ : ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে গভর্নর জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একীভূত (মার্জার) করতে একটি রোডম্যাপ ঠিক করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন’ বা পিসিএ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার, মূলধনের পর্যাপ্ততা, নগদ অর্থের প্রবাহ, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আর্থিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচক ঠিক করে দেয়া হয়েছে। সেই সূচকে কাক্সিক্ষত মানদণ্ডের নিচে থাকা ব্যাংকগুলোকে ‘দুর্বল’ শ্রেণিভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংক টেনে তোলার শেষ পদক্ষেপ হিসেবে অন্য ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়টি আসবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এরপর আগামী বছরের মার্চে নীতিমালা অনুযায়ী যারা দুর্বল তালিকায় পড়বে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আন্তর্জাতিক চর্চা অনুসরণ করে কোন পদ্ধতিতে ও কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংক একীভূত হবে, তা নিয়ে প্রণয়ন করা হবে নীতিমালা। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একীভূত হবে। এক্ষেত্রে আমানতকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান তিনি। মেজবাউল হক বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হোক না কেন, এতে আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও দেখা হবে। এছাড়া চাকরিজীবীদের চাকরি হারানোর কোনো ভয় নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, যেসব ব্যাংক একীভূত হবে, ওই ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য ভালো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এরপরই একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ব্যাংক একীভূত হলে তা হবে যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। একীভূত হলে ভালো ব্যাংক যাতে দুর্বল না হয় এবং দুর্বল ব্যাংক যাতে ভালো হয়- দুটিই দেখা হবে
ব্যাংক একীভূত বা মার্জারের ইতিহাস : সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই ব্যাংক মার্জারের নজির রয়েছে দেশে। সর্বপ্রথম ব্যাংক একীভূত করার ঘটনা দেখা যায় ১৯৭২ সালে। আর সর্বশেষ ২০০৯ সালে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (জাতীয়করণ) অধ্যাদেশ, ১৯৭২’-এর ক্ষমতাবলে পূর্ব পাকিস্তানে কার্যরত মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক, অস্ট্রেলেশিয়া ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক একীভূত করে নাম দেয়া হয় রূপালী ব্যাংক। তিন ব্যাংকের সব দায় ও সম্পদ এক করে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যাংকটি। সে সময় রূপালী ব্যাংক ছিল শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানার প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৬ সালে এর ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকারের কাছে রেখে অবশিষ্ট শেয়ার বাজারে ছেড়ে ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ব্যাংকটির ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ার ফের সরকারের মালিকানায়।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে শিল্প খাতের বিকাশে ‘বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক’ ও ‘বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা’ নামে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ২০০৯ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে একীভূত করে সরকার। নতুন নাম হয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড।
সাবেক হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও সাবেক কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বাংলাদেশে থাকা সব সম্পদ ও দায় সমন্বয় করে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে গঠন করা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। একই আদেশে ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড মিলিয়ে একই বছরে গড়া হয় জনতা ব্যাংক। একই বছরে সোনালী ব্যাংক গঠন করা হয় তিনটি ব্যাংক নিয়ে- ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক অব বাহওয়ালপুর ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।
শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৭ সালের ২০ মে আল-বারাকা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালে মালিকানা পরিবর্তন করে এ ব্যাংকের নাম দেয়া হয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। ৬৫০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির কারণে ২০০৬ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অধিগ্রহণ করে প্রশাসক বসায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটির ৫২ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মালয়েশিয়ার মালিকানাধীন আইসিবি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ হোল্ডিংস এজির কাছে বিক্রি করা হয়। ২০০৮ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড রাখা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়