নির্বাচন নিয়ে ডিএমপির সঙ্গেমার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক : মধ্যাহ্নভোজ করালেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু নির্বাচনে তিন চ্যালেঞ্জ : ভোটার উপস্থিতি, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা, প্রার্থীদের বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

ফের দেশসেবার সুযোগ দিন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো দেশ সেবার সুযোগ চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দীর্ঘ এই চলার পথে সবটুকু অর্জনই আপনাদের অবদান। নইলে এ অর্জন সম্ভব হতো না। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় চলার পথে নিজের ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে আমরা বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগ পাব। এই নির্বাচনে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে ফের আপনাদের সেবা করার সুযোগ চাই।
প্রায় ২৪ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান। ১৫ বছরে সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে। প্রায় ২৪ মিনিটের লিখিত ভাষণে জাতির সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি।
সংবিধান ব্যাহতের উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না : সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার মতো কোনো উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না, ইন্ধন যোগাবেন না। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার কমিশনকে সব ধরনের

সহযোগিতা দিচ্ছে। গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করে। জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ব্যাপক হারে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়।
যুদ্ধ নয়, আওয়ামী লীগ শান্তি চায় উল্লেখ করে দলটির সভাপতি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি। এই নীতি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করে উন্নত করেছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। প্যালেস্টাইন ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হোক আমরা সেটাই চাই। প্যালেস্টাইনে চলা গণহত্যার অবসান চাই। আমরা সব সময় প্যালেস্টাইনের জনগণের পক্ষে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুলভ স্বাস্থ্যসেবা ও ইশতেহারের আলোকে জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮, ১৪ ও ১৮ সালের ইশতেহার অনুযায়ী দেশ পরিচালনায় আমরা সফল হয়েছি। ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেয়া কয়েকটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রসার, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, সবার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া, উৎপাদন বাড়ানো, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলা, গ্রাম পর্যায়েও অবকাঠামো ও শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হবে। ব্যাংক বিমা ও আর্থিক খাতের সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও ইশতেহারে তুলে ধরা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হবে।
২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের অগ্রযাত্রা শুরু : ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণের পথে জাতিকে অগ্রসরমান রেখেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে এই অগ্রযাত্রা শুরু হবে। উন্নয়নশীল দেশ গড়ার সুযোগ কার্যকর ও চ্যালেঞ্জ একমাত্র আওয়ামী লীগই মোকাবিলা করতে পারবে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, সে লক্ষ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ সমাজ হবে এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হাজির হয়েছি। এই উন্নয়নকে টেকসই করা, আপনাদের জীবনমান উন্নত করা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ চাই। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে আমরা কী কী কাজ করব সেই ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছি। আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরেকটিবার সরকার গঠন করতে পারলে আমাদের নেয়া কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করে আপনাদের জীবনমান আরো উন্নত করার সুযোগ পাবো।
২০০১ সালে একমাত্র আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে : বিএনপি আমলের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ৯৬ সালের দায়িত্ব নিয়ে ৫ বছর মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই দেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগই সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন। হত্যা করা হয় আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুঃশাসন। আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। জেলায় জেলায় বোমা হামলা করা হয়। মানুষের অনিশ্চিত জীবন ছিল সাধারণ চালচিত্র। সরকারের মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপি করতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করে এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। এসব কর্মকাণ্ড দেশকে ধাবিত করে অন্ধকারের পথে। দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। ইয়াজউদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাদের ওপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে ও আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠনের চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। আমাদের দাবি অনুযায়ী সরকার ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বাতিল ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। আমরা এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হই। বিএনপি এককভাবে মাত্র ৩০টি আসনে জয়ী হয়। বাকি আসনগুলো উভয় জোটের শরিকেরা পায়।
মানুষ এখন স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের, সুন্দরভাবে বাঁচার : ১৫ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার। বিএনপির আমলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫ গুণ, বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ গুণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বেড়েছে ১৩ গুণ। জিডিপির আকার বেড়েছে ১২ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩৬ গুণ। রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ গুণ। বার্ষিক রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬ গুণ। বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই বেড়েছে ৫ গুণ। একজন কৃষি-শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ। শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৯ গুণ। দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ গুণ। সুপেয় পানি ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। শিশু মৃত্যুহার হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ জন। মাতৃ মৃত্যুহার প্রতি লাখে ৩৬০ জন থেকে কমে ১৫৬ জন। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে ৮ গুণ। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। স্বাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বেড়েছে ২২ গুণ। দানাদার শস্য উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ।
বর্তমান সরকারের আমলে নেয়া বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করেছি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছি, পাতাল রেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। উদ্বোধন করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ- ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ করেছি। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন স্থাপন করে ঢাকা-কক্সবাজার রেলরুট চালু করেছি। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা কিছু মানুষের চরিত্র : দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনীতির যে কোনো সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বহুগুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের আমলে মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত মন্দ ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে মন্দ ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা; যা মোট প্রদত্ত ঋণের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। যারা সমালোচনা করেন- দুঃখের বিষয়, তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। আমি বাবা, মা, ভাই সব হারিয়ে দুঃখ-বেদনাকে সম্বল করে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝে খুঁজে পেয়েছি- আমার বাবার ¯েœহ, মায়ের মমতা এবং ভাইয়ের মায়া। আপনারাই আমার পরিবার, আমার ওপর ভরসা রাখুন। আসুন, সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন পূরণ করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়