রুশ রাষ্ট্রদূত : বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়

আগের সংবাদ

স্বতন্ত্রের চাপে নৌকার প্রার্থীরা

পরের সংবাদ

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর জনসভায় শেখ হাসিনা : নৌকাতেই দেশের উন্নয়ন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও ফারুক আহমদ, সিলেট থেকে : ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটে দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দু’হাত তুলে এবং কন্ঠে গগণবিদারী নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে তাদের সমর্থনের কথা জানান উপস্থিত লাখ লাখ মানুষ।
প্রথম নির্বাচনী জনসভায় নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনের নামে জ¦ালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুটো আগুন দিলে সরকার পড়ে যাবে, অতো সহজ না। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে- এত সাহস কোথা থেকে পায়। সামান্য মনুষ্যত্ব থাকলে এরা (বিএনপি) ট্রেনে আগুন দিয়ে ছোট শিশুসহ মাকে পুড়িয়ে অঙ্গার করতে পারত না। এসব বোমাবাজ, অগ্নিসন্ত্রাসী ও

নাশকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। অতীতেও অগ্নিসন্ত্রাস নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, এবারো পারবে না।
আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো আওয়ামী লীগকে দেশসেবার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নৌকা হচ্ছে নূহ নবীর নৌকা। এই নৌকাতেই মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন রাব্বুল-আলামিন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে, আমরা দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছি, এই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেই দেশের উন্নতি হয়, আমরা তা প্রমাণ করেছি। এ সময় জনসমুদ্রের সামনে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন কি না জানতে চাইলে জনসভায় উপস্থিত লাখ লাখ মানুষ দুহাত তুলে তাদের সম্মতির কথা জানান এবং নৌকা মার্কার গগনবিদারী স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিমানযোগে সিলেট পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। সিলেটে নেমে সরকারি প্রটোকল ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে হযরত শাহজালালের (র.) এবং পরে হযরত শাহ পরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভাস্থলে উপস্থিত হন তারা। এর আগেই লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো মাঠ উপচে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। পুরো সিলেটই পরিণত হয়েছিল নির্বাচনী মিছিলের নগরীতে। সভামঞ্চে এসে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পতাকা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপর আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানায় সিলেটবাসী।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও অধ্যাপক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বিশাল এই নির্বাচনী জনসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিলেট-১ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুুুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমূখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোটকন্যা শেখ রেহানা, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সালমান এফ রহমান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় এবং সিলেট জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
বিশাল নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে ‘কুলাঙ্গার’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। অত ভাত দুধ দিয়ে খায় না। যারা লুটেরা, খুনি, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী- তারাই এদেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে। সেটা হলো- আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী দিয়েছি তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের কাছে এটাই আমার আহ্বান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দেশের মানুষ বারবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। ক্ষমতায় আনা হলো বিএনপিকে। ভোট চোর, জনগণের সম্পদ চোরকে ক্ষমতায় বসালো ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। যার কারণে তার পিঠে বাহ্বা দিয়ে ক্ষমতায় বসাল। ফলাফল হলো দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি আর দুঃশাসন।
নতুন করে গ্যাসের সঙ্গে তেল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যে কূপ খনন করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে আমরা সেই কূপ খনন করে কেবল গ্যাস নয়, তেলও পেয়েছি। আল্লাহ জন বুঝেই ধন দেয়। আল্লাহ জানেন, ওদের কাছে দিলে সব নয়-ছয় করবে। আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে। ঠিক কিনা বলেন? কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এইভাবে আগুন নিয়ে মা-সন্তানকে পোড়াতে পারে? বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে জনসভায় উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্য করে এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আগুন দিয়ে বাস পোড়াচ্ছে, রেল পোড়াচ্ছে। ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকাতে অগ্নিসংযোগ করে, গাড়ি পোড়ায়। তাদের আগুনে ৩ হাজারের মতো মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচশর মতো মানুষ মারা যায়। তবে অগ্নিসংযোগ করে তারা ২০১৩ সালের নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এলো। কিন্তু ভোট করবে কী? ওই লন্ডনে বসে একটা নমিনেশন দেয়। গুলশানে বসে একটা দেয়, আর পল্টন বসে আরেকটা। নমিনেশন বাণিজ্য শুরু করে দিলো। এই সিলেটেও বাণিজ্য করেছে। বাণিজ্য করেই তাদের নির্বাচন শেষ। দোষ কার? দোষ তো তাদের।
সিলেট অঞ্চলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটবাসী সবসময় আমাদের পাশে আছে। আমরা সিলেটে যত উন্নয়ন করেছি, জানি না সিলেটবাসী সেটা মাথায় রাখবেন কিনা? সিলেটে মেট্রোরেল স্থাপনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত ছয়-লেনের মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারই সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত, রেলস্টেশন নির্মাণ করেছে। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০০ বেডের বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। এই সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও আমরা করে দিয়েছি।
ভোটে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই : এর আগে হযরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ তাদের ভোট দেবে। এতে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। ভোট দেয়া থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার এবং হত্যা করার অধিকার কারো নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেউ মেনে নেবে না। কেউ এটা করলে একদিন দেশের জনগণই তাদের ছুঁড়ে ফেলবে, এটাই বাস্তবতা। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান রেলে সা¤প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি কোন করুণা দেখানো হবে না। আমাদের অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচাল করতে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে চাইছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ নির্বাচন ও ভোটের পক্ষে। বিএনপির হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে? বরং জনগণ তাদের শেষ পর্যন্ত ঘৃণা করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে তখনই জনগণের কল্যাণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকার একে একে জনগণের সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ‘নৌকা’ (আওয়ামী লীগকে) প্রতীকে ভোট দিলে এবং আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি তাহলে জনগণের বাদ বাকি চাহিদাগুলোও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কারো নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়াটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হবে কেন? রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা এবং রেলের বগিতে আগুন দেয়া সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড, কারণ সরকারি সম্পত্তি গণমানুষেরই সম্পত্তি। বিএনপি-জামায়াত জোট সেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড করছে।
ট্রেনের আগুনের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এক শিশু ও তার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। আবেগাপ্লæত কণ্ঠে তিনি বলেন, এই দৃশ্যের মতো বেদনাদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। একজন মানুষ কীভাবে এটা করতে পারে? প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, পুলিশ, সাংবাদিক এবং জনগণের ওপর হামলা করাটা কোনো ধরনের রাজনীতি?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়