উদ্দেশ্য ‘দোয়া’ নেয়া : কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় সাঈদ খোকন

আগের সংবাদ

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর জনসভায় শেখ হাসিনা : নৌকাতেই দেশের উন্নয়ন

পরের সংবাদ

রুশ রাষ্ট্রদূত : বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া। পশ্চিমারা কী করছে বা কী করতে পারে মস্কো কেবল তা তুলে ধরছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
বাংলাদেশে ‘আরব বসন্তের’ মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার স¤প্রতি দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তারপরও আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে, তারা (পশ্চিমারা) কী করেছে, আর কী করতে পারে; সেটা আমরা (রাশিয়া) তুলে ধরেছি। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বিষয়ে মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা শুধু এটাই বলছি যে দেখ তারা কী করছে বা কী করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের পরে সবচেয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রদূত জানান যে দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল মস্কোতে মুখপাত্র সেই তুলনা ঢাকার সঙ্গে করেছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ’ বিষয়ে এক বিবৃতি দেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে ‘আরব বসন্তের’ মতো করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে। বিবৃতিতে বাংলাদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সরাসরি সম্পর্কের কথা বলেন রুশ মুখপাত্র। ওই বিবৃতির দুই দিন পর ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্তের’ সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল রাশিয়ার নৌবাহিনী। সে সময়ের রাশিয়ার নৌবাহিনীর দুই সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। রাশিয়ার নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। সে সময় কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুব সহযোগিতা করেছিল। বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫০ বছর পর এসে নতুন এক বাংলাদেশ দেখছি। এখানে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটা দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়