উদ্দেশ্য ‘দোয়া’ নেয়া : কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় সাঈদ খোকন

আগের সংবাদ

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর জনসভায় শেখ হাসিনা : নৌকাতেই দেশের উন্নয়ন

পরের সংবাদ

দেশের নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি প্রেক্ষাপট

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল ও হিংসাত্মক হচ্ছে ক্রমশ। বাংলাদেশের নির্বাচন ইতিহাস সরল পথে এগিয়ে যেতে পারেনি- ইতিহাসে স্থান পেয়েছে জটিল অবস্থা বারবার। এরও আগে পাকিস্তান সৃষ্টির ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার হাত ধরেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টির মূল ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ১৯৭৩-এর মার্চে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়ী হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনে দেশে একদলীয় শাসন ঘোষণা করে একমাত্র শাসক দল বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর কয়েক মাস পরই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। এরপর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান এবং সামরিক শাসকের তত্ত্বাবধানে আরো দুবার নির্বাচন হলেও তার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হতে পারেনি। সামরিক সরকারের প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের জন্য ১৯৯০-এ গঠিত হয় অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার ১৮ বছর পরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হয় এবং তাতে জয়ী হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। ১৯৯৬ সালে বিএনপির শাসনে ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হয়, রিগিংয়ের অভিযোগে সব বিরোধী দল তা বয়কট করে। দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং ১২ দিন পর সেই বিএনপি সরকার পদত্যাগ করে। পুনরায় গঠিত হয় অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ১৯৯৬-এর জুনে নতুন নির্বাচন। আর ঠিক এ সময়েই নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীসহ আইনে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ২৪ বছর পর ১৯৯৬-এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায়। ২০০১-এ জয়ী হয় বিএনপি এবং ২০০৮-এ আওয়ামী লীগ। এরপর আওয়ামী লীগ ২০১১ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এর প্রতিবাদে ২০১৪-এর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণে বিরত থাকে। ওই নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল মাত্র ২২ শতাংশ। বিএনপিহীন খেলার মাঠে একাই আওয়ামী লীগ গোল করে জয়ী বলে ঘোষণা নিয়ে নেয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জালভোটের অভিযোগ মাথায় নিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে শাসন ক্ষমতায়। আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন দাবি করে নির্বাচন বর্জন করে যাচ্ছে। এই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে একটি অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের এটিই হলো দেশীয় প্রেক্ষাপট।
পাশাপাশি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি প্রেক্ষাপট। কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা বাংলাদেশের মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছে। ২০২১-এর ১০ ডিসেম্বর আমেরিকা সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের কয়েক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরই আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসানীতি ঘোষণা করে। আমেরিকা জানায়, বাংলাদেশের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপে যেসব সরকারি কর্মকর্তা, শাসক বা বিরোধী দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা বাধা দেবে, তাদের এবং তাদের পরিবারের লোকজনকেও আমেরিকা সরকার ভিসা দেবে না। আমেরিকার একই অবস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে ভারতে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের টু-প্লাস-টু (বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের) বৈঠকে। সেই বৈঠকে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকাকে কী বলেছে, তা ব্যাখ্যা করতে বৈঠক শেষে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা স্পষ্ট করেন এই বলে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে দেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গি আমেরিকাকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও বৈঠক শেষে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনবিষয়ক আলোচনায় যে কোনো মতৈক্য হয়নি, যৌথ বিবৃতিতে কোনো বক্তব্য না আসাই তার ইঙ্গিত বহন করে।
ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বাংলাদেশ। তাই গাজা বা ইউক্রেনের যুদ্ধের চেয়েও বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কার ঘটনা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে- এটা ভাবাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এই দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গি যে আলাদা, তা-ই যেন মনে করিয়ে দেয় তাদের যৌথ বিবৃতি কোনো ঘোষণা নেই দেখে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কিংবা আমেরিকার যে কোনো আগ্রহ নেই, তা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমেরিকা প্রকাশ্যেই শেখ হাসিনা সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে একাধিকবার। হাসিনা সরকার আর আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে সম্প্রতি মানবাধিকার ইস্যুতে। অন্যদিকে হাসিনা সরকার ভারতের মোদি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শরিক। প্রতিবেশী নীতিমালায় ভারত অনেকখানিই স্বস্তিবোধ করে শেখ হাসিনার সরকারের কারণে। তাই বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মোদি সরকারের বিশেষ নজর থাকবে, এটা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যে দেশি প্রেক্ষাপট থাকবে এবং সেই প্রেক্ষাপট জটিল হবে- তা বোঝাটা কঠিন কোনো ব্যাকরণ নয়। ২০১৪ এবং ২০১৮-এর নির্বাচন এখনো প্রশ্ন হয়েই আছে। সরকার গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি, যেখানে প্রশ্নগুলোর সমাপ্তি ঘটতে পারে। কিন্তু যেটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে তা হলো, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের বিশেষ করে আমেরিকার এত মাথাব্যথা কেন! ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক দৃঢ় হয়েছে, তা দৃশ্যত প্রতীয়মান। সেই সম্পর্কের মাঝেও ভারত বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার সঙ্গে দ্ব›েদ্ব যেতেও পিছপা হয়নি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকাও অনেকটাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গি যে আলাদা, তা তারা দৃঢ়ভাবেই প্রকাশ করেছে। আমেরিকা বারবার বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে, নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশের মানের গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই, এমন অনেক দেশের সঙ্গেই আমেরিকা দিব্যি সম্পর্ক রেখে চলেছে কোনোরকম উচ্চবাচ্চ্য না করেই। গণতন্ত্রের নাম-গন্ধ নেই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম মোড়ল চীনেও। এদের নিয়েই তো জাতিসংঘের সব কার্যকলাপ চলছে; পাশাপাশি বসছে আমেরিকা। একটি শব্দও বের হচ্ছে না আমেরিকার মুখ দিয়ে। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এতটা হৈ চৈ বাঁধিয়ে বসছে কেন আমেরিকা? উত্তর খোঁজাটা সহজ নয়। তবে একটি রাজনৈতিক কারণ যে এতে বিদ্যমান, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তা হতে পারে চীন। বাংলাদেশ যেন চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে আরামে থেকে চীনের দিকে ঝুঁকে না যায়, সেই চিন্তায় তারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চায়। বিশেষজ্ঞ কারো কারো মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের অতি ভারতপ্রীতি সম্পর্ক এবং নির্ভরতা আমেরিকাসহ পশ্চিমা দুনিয়া পছন্দ করছে না। তাই আজ বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তারা কথা বলছে; কাল ভারতের নির্বাচন নিয়েও তারা কথা বলবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে যখন আমেরিকা সফর করেছিলেন, তখন ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লেখা একটি চিঠিতে জানান, তিনি যেন মোদির সঙ্গে আলোচনায় ভারত সরকার সংখ্যালঘু ও বিরোধীদের ওপর যে নিপীড়ন চালাচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। অক্টোবর মাসে ডেমোক্র্যাট এক সদস্য কংগ্রেসে এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবও এনেছিলেন। কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান সংবাদমাধ্যমে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, একাডেমিক অঙ্গনে ভারত সরকার কর্তৃক গণতন্ত্রবিরোধী তৎপরতা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে সমালোচনা চলছে। বাংলাদেশকে টোকা দিয়ে আমেরিকা বোঝাতে চাচ্ছে- সামনের ভারত নির্বাচনেও তারা একই অবস্থান ও ভূমিকা নিতে পারে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জটিল থেকে জটিলতর অবস্থা নিয়েছে। এ দেশের রাজনীতিবিদ এবং সরকারকে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, এ দেশের রাজনীতি, এ দেশের মানুষ, এ দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সবটাতেই তাদের দায় রয়েছে। পরিস্থিতি জটিল করে আত্মসুখ লাভ করার সুযোগ নেই। ভূরাজনীতির হিসাব কোনোদিনই সহজ ছিল না, আজো নেই। সেখানে আমেরিকা-ভারত-চীন-রাশিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো কিছুটা জটিল। বাংলাদেশ বিশ্বরাজনীতির খেলায় কোনোদিন বড় কোনো ভূমিকায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি। এবার যেন একটু ভিন্ন অবস্থা। বাংলাদেশের ভূ-অবস্থান, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের আগ্রহ- সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনার সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্বরাজনীতিতে। ভারত এবং চীনের পাশেই পাকিস্তান- একেবারে মাথাব্যথার কারণ ভারতের। ভারত এবং চীনের প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ভারত এবং আমেরিকার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বন্ধুর মালা উপহার দিতে চীন সবসময়ই প্রস্তুত। এদিকে ভারত তার তিনদিকের প্রতিবেশী বাংলাদেশকে কোনোভাবেই চীনের দিকে ঝুঁকে যেতে দিতে চায় না। আমেরিকারও তেমন একটা চিন্তা বাংলাদেশকে নিয়ে। ভারতের দিকে ঝোঁকো, অসুবিধা নেই; কিন্তু চীনের দিকে এগিও না। বাংলাদেশকে তাই বেশ গুনে গুনে পা ফেলতে হবে। তার যেমন ভারতকে চাই, তেমনি আমেরিকাকেও চাই; আবার চীন-রাশিয়াকেও চাই। অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মারপ্যাঁচে দেশের মূল স্বার্থের দিকটি ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশকে।

সুধীর সাহা : কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়