পররাষ্ট্রমন্ত্রী : সোমবার ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

আগের সংবাদ

তাপপ্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে আমাদের করণীয়

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রিকশার শহর এবং মসজিদের শহরখ্যাত রাজধানী ঢাকা পরম মমতায় আগলে রেখেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। একসময়ের সবুজের আচ্ছাদনে মোড়ানো ঢাকা ক্রমেই যেন হারিয়ে ফেলছে তার শ্যামলীমার সৌন্দর্য। ঢাকাতে একদিকে যেমন বাড়ছে বায়ুদূষণ, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। গত বছর ১৫ এপ্রিল ঢাকায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০২৪-এর ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড তাপমাত্রা করা হয়েছিল যেটি ১৯৬৫ সালের পর অর্থাৎ ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। হঠাৎ করে এই দাবদাহ অনেকটা নাভিশ্বাস তুলেছে জনজীবনে। ঢাকার বর্তমান দাবদাহ পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের একটি ফলাফল। পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ু অনুযায়ী ঢাকা কতটা বসবাস উপযোগী সেটিই এখন মূল আলোচনা। গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বায়ুদূষণ নগর হিসেবে রেকর্ড করেছে ঢাকা। এখন রেকর্ড তাপমাত্রা যেন নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। যেখানে সারা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য লড়াই চলছে, ঠিক একই সময়ে গত ২০ বছরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সে.। দাবদাহের এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঢাকাসহ অন্য জেলা শহরগুলোতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য বা তারতম্য কমে আসবে, যার কারণে সব সময়ই গরম অনুভূত হবে। নগরাঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশেরই সমস্যা নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জলবায়ু ও পরিবেশগত পরিবর্তন ছাড়াও জনসংখ্যা ও তার ঘনত্ব এবং মানুষের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে কোন স্থানের তাপমাত্রা কেমন হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন যতটা দায়ী তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নগরে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা। প্রধানত বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় এই তিনটি কারণে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈশ্বিক কারণের ভেতরে রয়েছে পৃথিবীর ফুসফুস আমাজান ফরেস্ট নষ্ট হওয়া, উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে কার্বন নিঃসরণ ও ফুয়েল বার্ন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি বাণিজ্যিক কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য বাংলাদেশ খুব বেশি দায়ী না হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশের ওপরেই পড়ছে। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও চীন এই জোনে এক সময় প্রবহমান অসংখ্য নদী ছিল। কিন্তু দিনে দিনে এই নদীগুলোকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়েছে। ফলে নদীগুলোর সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে দৈর্ঘ্য প্রস্থ কমে গেছে। যেসব জায়গায় নদী কমেছে তার কয়েকটিতে বালু ভরাট করা হয়েছে আবার কোথাও স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে বালু থাকার কারণে মরুময় একটি অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে এবং এসব কারণে আশপাশের অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রথম আঞ্চলিক কারণ। দ্বিতীয় আঞ্চলিক কারণটি হলো হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া। হিমালয়ের বরফে রিফ্লেক্ট হয়ে তাপমাত্রা পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে যেত। কিন্তু এখন বরফ গলে যাওয়ার কারণে সেখানে কঠিন পাথর দেখা যাচ্ছে। ফলে এই পাথরে ধারণকৃত তাপমাত্রা বাতাসের মাধ্যমে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং এক ধরনের দাবদাহ সৃষ্টি করছে। এই অঞ্চলগুলোতে মেগাসিটি বা শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় বাড়ছে যানবাহন ও জনসংখ্যা। যেমন ভারতে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন চীনের সমপরিমাণ হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর মোট লোকসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশের বেশি মানুষ এই অঞ্চলে বসবাস করছে। এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যাকে তাদের নাগরিক সুবিধা দিতে গিয়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো স্থানীয় কারণ, যা স্থানীয়ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এই স্থানীয় কারণগুলোর মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো ঢাকা শহরের সবুজায়ন কমে যাওয়া। এক সময় বাংলাদেশে ২৫ ভাগের বেশি সবুজায়ন থাকলেও বর্তমানে এর পরিমাণ খুবই নগণ্য। গাছপালা পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড ও তাপ শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে বাতাসে অক্সিজেন ছড়িয়ে আশপাশের এলাকা শীতল রাখে। কিন্তু এখন শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে রাস্তার বিভাজনের বড় বড় গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প কমে গিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একই কারণে বৃষ্টিপাতও কমে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির দ্বিতীয় অন্যতম কারণ হলো জলাধার কমে যাওয়া। গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, ঢাকা শহরের জলাধার বা পুকুরের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। জলাধার মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এটিও তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ঢাকা শহরের ৩৬টি স্থান নিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব এলাকায় সবুজের উপস্থিতি রয়েছে সেসব এলাকায় তাপমাত্রা তুলনামূলক কম। এর মধ্যে ৯টি স্থানে ছিল তাপমাত্রা বেশি। কারণ এগুলোতে গাছপালা কম ছিল। আর বাকি ৯টি স্থানে বৃক্ষ বেশি থাকায় তাপমাত্রাও কম ছিল। আর অন্য ১৮টি স্থানে মধ্যমানের তাপমাত্রা ছিল। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল বোটানিক্যাল গার্ডেন ও জাতীয় চিড়িয়াখানায়। দ্বিতীয় কম তাপমাত্রার অন্য এলাকাগুলো ছিল- রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক পাড়, ক্যান্টনমেন্টসহ কিছু এলাকা। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার এলাকা ছিল- তেজগাঁও, মতিঝিল, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ কিছু বাণিজ্যিক এলাকা। এগুলোতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার তারতম্য ছিল। এতেই প্রমাণিত সবুজ জলাভূমি তাপমাত্রা কম কিংবা বৃদ্ধির অন্যতম উৎস।
তৃতীয়ত, ঢাকার অত্যধিক জনসংখ্যাও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ইউএস-ইপিএর মতে, সাধারণত প্রতি ১০ লাখ লোকের জন্য যে কোনো এলাকার তাপমাত্রা ১ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়তে পারে। আবার মানুষের শরীরের একটি নিজস্ব তাপমাত্রা রয়েছে যাকে বলা হয় মেটাবোলিক হিটিং এবং প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই তাপমাত্রার পরিমাণ ১০০ ওয়াট। অর্থাৎ একই স্থানে যত বেশিসংখ্যক মানুষ থাকবে, সেই স্থানের তাপমাত্রা ততই বেশি হবে। ঢাকা শহরের বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটিরও বেশি, যেটি প্রত্যক্ষভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। এছাড়া নগরের একটি বিশাল অংশের মানুষ রান্নার কাজে কাঠ পোড়ান। এর বাইরে নগরীতে প্রায় ২০ লাখ পরিবার রয়েছে, যাদের ২০ লাখ চুলায় গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা করে রান্নার কাজ চলে। ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির চতুর্থ কারণ হলো যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো। বর্জ্যরে ভেতরে থাকা প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বিভিন্ন রকম দূষিত গ্যাস ও মাইক্রো প্লাস্টিক বস্তুকণা বাতাসের সঙ্গে মিশে বাতাসকে দূষিত করছে। বাতাসে ভাসমান এই প্লাস্টিক কণাগুলো তাপ ধরে রেখে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তুলছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল প্লাস্টিক দূষণ। এ বছর পরিবেশ দিবসের ৫০ বছর শেষ হলো। গত ৫০ বছর ধরেই পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ৫ জুন পরিবেশ দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দিনে দিনে পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের পরিবর্তন হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের জীবনযাত্রার ওপর। তাপমাত্রার অসহনশীল পরিবর্তনই এর অন্যতম উদাহরণ।
পঞ্চমত, রাজধানীর অধিক যানবাহন ও যানজট সমস্যাও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ৫২ লাখ গাড়ি। যার এক-তৃতীয়াংশ ফিটনেসবিহীন চলাচল করছে। যানজটের কারণে গাড়িগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইঞ্জিন চালু করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড পরিমাণে তাপ নির্গত হয়, যা বাতাসের সাহায্যে ছড়িয়ে পড়ে শহরের পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে। ষষ্ঠ কারণের মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরের পিচঢালা রাস্তা। এই রাস্তা দিনের বেলা উত্তপ্ত হয় এবং রাতের প্রথমভাগ পর্যন্ত তাপ ধারণ করে থাকে। এরপর যখন তা রিলিজ করে তখন তা নগরে তাপ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এজন্য রাস্তার ডিভাইডারে গাছ প্রয়োজন। যা উত্তাপ কমাতে সহায়ক। কিন্তু এখন শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে ডিভাইডারের গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। তাতে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সপ্তম কারণ হলো নতুন করে তৈরিকৃত বহুতল ভবনগুলোতে অতিরিক্ত গøাসের ও এসির ব্যবহার এবং ভবনের ভেতরের সরু রাস্তা। এতে ভবনের ভিতরকার সরু রাস্তায় বায়ুর স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, যার ফলে দুপুরের চরম তাপ ভবনগুলোর মাঝে ট্র্যাপ হয়ে যায় এবং হঠাৎ করেই সন্ধ্যার পর ওই এলাকার তাপমাত্রা বেশি পরিলক্ষিত হয়। সব মিলিয়ে বলতে হয় বর্তমান নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও যোগাযোগব্যবস্থায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০৫০ সালের মধ্যে তাপপ্রবাহ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকার মারাত্মক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শহরে বসবাসকারী মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহ শহরগুলোর জন্য বেশি বিপজ্জনক এবং প্রতি বছর শহরে ক্রমাগত ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
ঢাকা শহরের এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বপ্রথম যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা হলো শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে। রাস্তার বিভাজনে শোভাবর্ধনকারী গাছ ছাড়াও ভূমির ধরনের ভিত্তিতে বিভিন্ন রকম উপকারী বৃক্ষ যেমন : বিভিন্ন ফলের গাছ, ঔষধি গাছ, কাষ্ঠল গাছও রোপণ করতে হবে। ছাদ বাগান বৃদ্ধি করতে হবে। একটি বনাঞ্চল সরাসরি তাপ এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস করে। ঢাকায় জলাভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি করতে হবে। দখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। জলাভূমি ভরাট করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণের সময়ও সচেতন হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং শহরাঞ্চল থেকে মানুষের আধিক্যতা কমাতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণের সময় সচেতন হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। যত্রতত্র প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্লাস্টিক বর্জ্যকে যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। শহরের স্থানীয়, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জননীতিকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। সর্বোপরি সবাইকে এই তাপপ্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার : অধ্যাপক, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়