এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া রুটিন ফেসবুকে

আগের সংবাদ

‘খণ্ডিত জাপা’-আ.লীগ জোট না করার অনুরোধ রওশনের : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, অবৈধভাবে নেতৃত্ব দখল করেছে কাদের

পরের সংবাদ

জাদুর কাঠির ছোঁয়ায়! হলফনামায় দেয়া তথ্য > মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বেড়েছে ২ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিকুর রহমান : অলাভজনক পদে থেকেও কোনো এক জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় হু হু করে বেড়েছে তাদের আয় ও সম্পদ। এর পরিমান এত বেশি- মন্ত্রী-এমপি বা রাজনৈতিক দলের পদে থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ১৫ বছরে কারো কারো সম্পদ বেড়েছে ২০০ গুণ। আর ন্যূনতম দ্বিগুণ হয়েছে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের দেয়া হলফনামায় এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ প্রার্থীই হলফনামায় তাদের পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। সাধারণ ব্যবসায়ীদের লোকসান হলেও রাজনীতিকদের ব্যবসায় কোনো লোকসান নেই। যে ব্যবসাই করছেন তাতেই লাভ আর লাভ। শেয়ার ব্যবসায় তারা কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হননি। কৃষিখামার এবং মাছের ব্যবসাতেও কয়েক গুণ লাভ করেছেন। স্বামীদের ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে স্ত্রীরাও বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। জনসেবার পাশাপাশি ব্যবসা করে দুই গুণ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত সম্পদ বাড়িয়েছেন তারা। কেউ আবার পাঁচ বছরে ৭০০ গুণ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ব্যবসায় লাভ করেননি তারা। এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য গল্প।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সম্পদের হলফনামা জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও হলফনামা জমা দিয়েছেন তারা। গত ১৫ বছরে তিনটি সংসদ নির্বাচনে এমপিদের হলফনামা বিশ্লেষণে তাদের অঢেল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা যায়, নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের সম্পদ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা, শেয়ার ব্যবসা, কৃষিখামার এবং মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। তাদের কারো কারো সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর গতিতে। স্ত্রীরাও পাল্লা দিয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। তবে হাতেগোনা কয়েকজন মন্ত্রীর আয় কমেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গত ১৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণের বেশি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫ টাকা। বর্তমানে তিনি ৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার মালিক। তিনি বই লিখে বছরে আয় করেছেন চার লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে বছরে বেতন ভাতা বাবদ আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ বছরে আয় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২৪
টাকা।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের গত ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তবে সম্পদের বিপরীতে তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ রয়েছে প্রায় চার গুণ। হানিফ তার হলফনামায় বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেখিয়েছেন ১০২ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৭০০ টাকা।
এক দশকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ। আর একই সময়ে স্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ১৬ গুণ। নাছিমের নগদ টাকা ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার থেকে বেড়ে এখন ৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা হয়েছে। আর স্ত্রীর নগদ টাকা ১৮ লাখ ৯৬ হাজার থেকে বেড়ে তিন কোটি চার লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে তার জমা আছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগে ছিল ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ। ২০১৮ সালে লালমনিরহাট-৩ আসনে সংসদ নির্বাচনকালে নগদ টাকা ছিল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৩ টাকা।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে ৯ গুণ। ২০১৩ সালের নির্বাচনে তার মোট সম্পদ ছিল ২ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৭ টাকা। তার স্ত্রী রোকসানা কাদের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার সম্পদ ছিল ১ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৭৭৩ টাকা। ২০২৩ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৩ টাকা।
দলটির সাবেক সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার নগদ অর্থের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে প্রায় ১৬ গুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে তার। ২০১৮ সালে তার হাতে নগদ ছিল ২৭ লাখ ৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। পাঁচ বছরে নগদ অর্থ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার ৬২৮ টাকা।
ঢাকা-৬ আসনে প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদের গত পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২ গুণের বেশি। স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় সাত গুণ এবং স্থাবর সম্পদ বেড়েছে দুই গুণের বেশি।
বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলুর পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে ৭২৪ গুণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার আয় ছিল পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে তার আয় ৩৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। বলা যায়, শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।
১০ বছরের ব্যবধানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার কাছে নগদ টাকা ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার। এখন তার কাছে নগদ আছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা।
পাঁচ বছরে ব্যাংকের টাকা বেড়ে পাঁচ গুণ হয়েছে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশার। ২০১৮ সালে তার ব্যাংকে ছিল ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ টাকা। এখন আছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ২৪৫ টাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের এমপি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে বহুগুণ। ২০১৪ সালে তার কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিল। বর্তমানে তার নগদ আছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণও ১০ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা।
১৫ বছরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ। ২০০৮ সালে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে চার কোটি টাকার কাছাকাছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে। তার বর্তমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার কিছু বেশি।
পাঁচ বছরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের আয় বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা। শাহরিয়ার আলমের হাতে নগদ টাকাও বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০১৮ সালে নগদ ছিল ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ টাকা। এখন আছে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৩ টাকা।
সিলেট-৪ আসনের পাঁচবারের এমপি প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২২ গুণ। ২০০৮ সালে মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৪ লাখ ৭ হাজার টাকা, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫ হাজার ২৮ টাকায়।
খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর ২০১৮ সালে সম্পদ ছিল ৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকার। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। বার্ষিক আয় ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২ লাখ টাকা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে এমপি হওয়ার পর গত ১০ বছরে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সম্পদ বেড়েছে ৫৪ গুণ। গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। বর্তমানে তার বাৎসরিক আয় ৮ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ টাকা।
পাঁচ বছরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রায় দেড়গুণ বাড়লেও দুই কোটি টাকা ঋণ করেছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৭১ হাজার ৫২ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৭ টাকা।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে কামরুল ইসলামের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫৫ গুণ। একই সময়ের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ২৮ গুণ। ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩১ লাখ টাকারও বেশি।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের আয় কমলেও পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ। বর্তমানে তার বাৎসরিক আয় চার কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল চার কোটি ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার ২২১ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরের তার বার্ষিক আয় কমেছে ২০ লাখ ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। বর্তমানে অস্থাবর সম্পত্তি আছে ৯৭ কোটি ১৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৪ টাকার। ২০১৮ সালে ছিল ২৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৩১ টাকার।
গত পাঁচ বছরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের আয় বেড়েছে ৩৭ গুণ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুক বছরে আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। এবার হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা। ২০১৮ সালে জাহিদ ফারুকের স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ ছিল না। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানের আয় ১০ বছরে বেড়েছে পাঁচ গুণের বেশি। কিন্তু এই সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে। নির্বাচন কমিশনে এনামুর রহমানের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা জমা দেয়া অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তার বার্ষিক আয়ের উৎস কমে হয়েছে দুটি শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত (এফডিআর ও ব্যাংক থেকে সুদ) এবং চাকরি (প্রতিমন্ত্রীর সম্মানী ভাতা)। খাত কমলেও এখন তার আয় আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা; অর্থাৎ এক দশকের ব্যবধানে তার আয় বছরে পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে।
গত ১৫ বছরে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে সাত গুণের বেশি। বর্তমানে কামাল আহমেদ মজুমদারের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা সমমূল্যের। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা সমমূল্যের।
গত নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নামে কোনো নগদ টাকা না থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নগদ টাকা রয়েছে ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৬০৩ টাকা। তার স্ত্রীর নামে কোনো টাকা নেই হলফনামায় উল্লেখ করা হলেও বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়াসহ বেড়েছে তিন গুণ।
২০০৮ সালে জমা দেয়া হলফনামার চেয়ে সামশুল হক ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪১ গুণ। একই সঙ্গে নিজের আয় বেড়েছে প্রায় ২১ গুণ। দেড় দশকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪১ গুণ। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্য ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় হতো তার। ওই সময়ে স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না। বর্তমানে স্ত্রীসহ হুইপের বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৮ টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৮ টাকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের নগদ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে পাঁচ বছরের ব্যবধানে। কিনেছেন কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি। বেড়েছে স্ত্রীর অর্থও। ২০১৮ সালে গোলাপ নগদ টাকার ঘরে নিজের নামে ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা এবং স্ত্রীর গুলশান আরার নামে ১ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর আয় ও সম্পদ ৮ গুণ বেড়েছে। তার চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ২৫ গুণ। আগে তার সম্পদ ছিল না, এবার পৌনে ২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সম্পদের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার। তার বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ টাকা।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বার্ষিক আয় ২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আয়ের ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশই আসে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও ডিবেঞ্চার থেকে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশের বেশি অস্থাবর বন্ড, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার এবং লেটার অব ক্রেডিট। অর্থাৎ বার্ষিক আয়ের ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আসে ডিবেঞ্চার, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র ও শেয়ার থেকে। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা চৌধুরীর আয় ৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৩ গুণ করে বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৫২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৭ টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৮১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪১ টাকা। ২০১৮ সালে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার ১১৮ টাকার। বর্তমানে তার অস্থাবর সম্পত্তি ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৫ টাকার।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সম্পদ ও ঋণ দুটোই বেড়েছে। ২০১৮ সালে ছিল ৩৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট। পাঁচ বছরে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক। তবে এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যক্তিগত ঋণও রয়েছে তার।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের অস্থাবর সম্পত্তি ১০ বছরে ৩ গুণের বেশি বেড়েছে। এ সময়ে তিনি সাড়ে ১২ গুণের বেশি কৃষি জমির মালিক হয়েছেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তিও। ২০১৪ সালে শামীম ওসমান নগদ ছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ১০ বছরে তার অস্থাবর সম্পত্তি ৩ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এবার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে শামীম ওসমান বছরে আয় দেখিয়েছেন ৭৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৭ গুণ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের কৃষি খাতে আয় এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত এবং ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ১৮ হাজার ৯৯৮ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে সম্মানি ভাতা ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। নগদ রয়েছে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা। ২০১৮ সালে মন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১০৪ টাকার।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, গোলাম দস্তগীর গাজীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। নগদ টাকা আছে ৯ কোটি ৬২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৬ টাকা। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুলের আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামার তথ্য বলছে, বাৎসরিক কৃষি থেকে তার আয় হয় ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৭ টাকা, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক আমানত থেকে ৪ লাখ ২৮ হাজার ২০১ টাকা। এছাড়া পারিশ্রমিক, ভাতা, সম্মানী হিসেবে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৫ টাকা আয় করেন। নগদ রয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৬ টাকা। অথচ পাঁচ বছর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় কৃষি খাত থেকে তার আয় ছিল ৪ লাখ টাকা। শেয়ার/সঞ্চয়পত্র ছিল ১৫ হাজার ৩৫৩ টাকা। জমির পরিমাণ ছিল ৫১ শতক।
স্ত্রী, কন্যা ও নাতি-নাতনিদের দান করায় গত পাঁচ বছরে কুমিল্লা-১০ আসনের এমপি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ২৪ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ কমেছে। ২০১৮ সালে তার সম্পদমূল্য ছিল ৬২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১৫৩ টাকা। পাঁচ বছর পরে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তার মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩৮ কোটি ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৩ টাকার। সেই হিসেবে তার সম্পদ কমেছে মোট ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩০ টাকার।
নড়াইল-২ আসনের এমপি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বর্তমান বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা।
গত ৫ বছরে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের আয় ও স্থাবর সম্পত্তি কমেছে। এমপি হওয়ার আগে ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকা মূল্যের একটি জমির (বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট) মালিক ছিলেন। বর্তমানে ওই সম্পত্তিও নেই। গাড়ি বাবদ ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬২ টাকা ঋণ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অর্ধকোটিরও বেশি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি কমেছে তার।
বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি হলফনামায় লিখেছেন নগদ ২ কোটি ৯০ হাজার ২৩৬ টাকা, বন্ড, শেয়ার ও ঋণপত্রের ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকাসহ সব সম্পত্তি রয়েছে তার। গত নির্বাচনের হলফনামায় তার নামে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ টাকা ও কৃষিজমি ছিল না। চাকরি খাতে তার আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে টিপু মুনশি নগদ দুই কোটি ৯০ হাজার ২৩৬ টাকার মালিক।
গৃহিণী থেকে ব্যবসায়ী মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রীরা : স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনে মন্ত্রী ও এমপিদের চেয়ে তাদের স্ত্রীরা এগিয়ে রয়েছেন। বেকার ও গৃহিণী থেকে ব্যবসায়ী বনেছেন তারা। কোনো কোনো এমপি বা মন্ত্রীর আয় ও সম্পদ কমলেও পাঁচ বছরে তাদের স্ত্রীদের বেড়েছে বহু গুণ।
২০০৮ সালে চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরীর স্ত্রীর কোনো সম্পদ ছিল না। এবার তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ ১৭ হাজার ১৭২ টাকার। জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের নগদ টাকা বেড়েছে। ২০১৮ সালে তিনি ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকার মালিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকার মালিক।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের স্ত্রী জুলেখা মান্নানের আয় বেড়েছে প্রায় কোটি টাকার। হলিক্রস কলেজ থেকে অবসরে যাওয়া জুলেখা মান্নানের অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৮৮৫ টাকার। আগে তার নামে ছিল শুধু ৫ দশমিক ৬৮ একর কৃষিজমি। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের স্ত্রী লায়লা শামীম আরার ২০১৮ সালে সম্পদ বলতে ছিল ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার। এবারের হলফনামায় তা বেড়ে ২ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকার বেশি অস্থাবর এবং কোটি টাকা বেশি মূল্যের নাল জমি, ভিটাবাড়ি ও দুটি স্থাবর সম্পদে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৪ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৫ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল ২ কোটি ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১ টাকা।
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২ গুণের বেশি বেশি। ২০০৮ সালে তার অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৫২২ টাকা। ১৫ বছর পর তার অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৪ টাকা।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘পদ-পদবি জাদুর কাঠি। এসবের মাধ্যমে অর্থকড়ি অর্জনের পথ তৈরি হয়। এই পথে অনেকে নিজেরা যেমন সম্পদ আহরণ করেন, তেমনি স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজনদেরও তার অর্থ-বিত্তের অংশীদার করে তোলেন। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা অবৈধ পথে এসব অর্থসম্পদ অর্জন করে থাকেন। তিনি বলেন, কেউ যদি কোনো একটা ব্যবসা করেন; তাহলে ব্যবসাতে তার ধাপে ধাপে উন্নতি হয়, ঝুঁকি থাকে। কিন্তু রাজনীতি বোধ হয় এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোন ঝুঁকি নেই এবং লোকসান হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়