ঢাকা জেলার সোয়া ৫ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে আজ

আগের সংবাদ

রেললাইনে ভয়াবহ নাশকতা : গাজীপুরে ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লণ্ডভণ্ড > নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক > তিন তদন্ত কমিটি গঠন

পরের সংবাদ

‘খণ্ডিত জাপা’-আ.লীগ জোট না করার অনুরোধ রওশনের : গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, অবৈধভাবে নেতৃত্ব দখল করেছে কাদের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ রুহুল আমিন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হাতে আছে এক মাসেরও কম সময়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে গোনায় ধরার মতো রয়েছে একমাত্র জাতীয় পার্টিই (জাপা)। অথচ এই জাপাকে নিয়েই ভোটের মাঠে তৈরি হয়েছে এক ধরনের ধæ¤্রজাল। আসন সমঝোতা নিয়ে সরকারের সঙ্গে জাপা নেতাদের নানান পর্যায়ে আলোচনা ও এ নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার বোমা ফাটালেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। জাপা চেয়ারম্যান (রওশনের দেবর) জি এম কাদেরের সঙ্গে রওশনের টানাপড়েন পুরনো। দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে এই দ্ব›দ্ব নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে রওশন এরশাদ ও তার পুত্র সাদ এরশাদসহ অনুসারী নেতাদের অনেকে দলীয় মনোনয়ন নেননি। নির্বাচনে অংশ নেয়াও হচ্ছে না তাদের। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল হঠাৎ করেই গতকাল গণভবনে যান রওশন এরশাদ। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সাদ এরশাদ, জাপার সাবেক মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, দলটির নেতা কাজী মামুনুর রশীদ ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ। রওশন এরশাদ এসময় জি এম কাদেরের নেৃতত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে ‘খণ্ডিত অংশ’ উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। জি এম কাদের অবৈধভাবে পার্টির নেৃতত্ব দখল করেছে বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতীয় পার্টি যাতে এককভাবে সারাদেশে প্রতিযোগিতামূলকভাবে নির্বাচন করে, সেটি নিশ্চিত করতেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন তিনি। যা পরে সাংবাদিকদের জানান, কাজী মামুন।
তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণভবন থেকে বেরিয়ে রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেছেন কিনা- জানতে চাইলে রওশন বলেন, এখন তো আর সময় নেই। আর কী বলবেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতি সমর্থন আছে কিনা, তা জানতে চাইলে রওশন বলেন, ঠিক আছে। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। আমার ছেলের জায়গায় তিনি ইলেকশন করছেন। তার কথা তার মনে নেই। জাতীয় পার্টির নেতাদের প্রতি সমর্থন আছে কিনা, তা জানতে চাইলে রওশন বলেন, আমাদের ইচ্ছা করে বাদ দিয়েছে। কেন সমর্থন থাকবে?
রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, রওশন এরশাদ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তিনি আরো বলেন, জি এম কাদের নেতৃত্ব সূলভ আচরণ করেনি। তিনি নিজেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে শাদ এরশাদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তার ভাবীর সঙ্গে বেইমানি করেছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি।
এদিকে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করতে পারছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। স্বয়ং দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে গতকাল দিনভর জাতীয় পার্টির ‘রহস্যময়’ আচরণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে। রাজনীতির অভিজ্ঞ মহলের মতে, গত ১৫ বছরের মিত্র জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কী এমন ঘটেছে, যার কারণে দলটিকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান

শেখ হাসিনা। এমন হিসাবনিকাশের মধ্যেই গতকাল দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেই কৌতূহলের পারদ আরো চড়া হতে শুরু করে। যদিও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এই দেখা করাকে খুব একটা আমলে নিতে নারাজ। তিনি বলেন, মাঠ থেকে চলে যাওয়ার জন্য নির্বাচনে আসেনি জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টি কখন কী করে, তার ঠিক নেই; ওরা নির্বাচনে থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে, তাদের বিশ্বাস নেই- সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এমন মন্তব্য এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছ থেকে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নিয়েও তিনি কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের বরাত দিয়ে গতকাল গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করার জন্য এসেছে। নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য আসেনি। এমন আলোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমার মাত্র ৫ দিন আগে জাতীয় পার্টি ও জি এম কাদেরকে ঘিরে এই আলোচনা শেষ পর্যন্ত কী বার্তা দিচ্ছে? তা নিয়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে। এই কয়েকদিন সময়কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কি করবে জাতীয় পার্টি, তা নিয়ে আস্থা-অনাস্থার দোলাচালে এখন দলটির অবস্থান।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোট পেয়ে সরকার গঠন করবে জাতীয় পার্টি। সেই সম্ভাবনায় কয়েকটি বাদে প্রায় তিনশ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। কারো সঙ্গে কোনো আসন সমঝোতা না করার বিষয়েও দৃঢ় অবস্থানের কথা আসে দলটির পক্ষ থেকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না লাঙ্গলের প্রার্থীরা- এটি দলটির নেতারাও বিশ্বাস করেন। সেজন্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছে জাপার শীর্ষ নেতারা। ৩০ থেকে ৪০টি আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন দলটির নেতারা। এসব আসনে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানায় দলটি। আওয়ামী লীগ মাত্র ২০ থেকে ২৫টি আসনে ছাড় দেয়ার আভাস দিয়েছে। এসব আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করতে সম্মত হলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলটি কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় জাপাকে। জাপা নেতারা মনে করছে, ছেড়ে দেয়া আসনগুলোতে নৌকা প্রত্যাহার করা হলেও আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে কাজ করবে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। দলটি কাক্সিক্ষত আসনে বিজয়ীও হতে পারবে না। তখন সংগঠন হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নড়েবড়ে হয়ে যেতে পারে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির দুই জন প্রেসিডিয়াম সদস্য এই প্রতিবেদককে জানান, আওয়ামী লীগ অনেক বড় একটি দল। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। আওয়ামী লীগে সঙ্গে মহাজোট করে গত তিন মেয়াদে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। প্রথম মেয়াদে আমরা যৌথভাবেই সরকার গঠন করেছি। পরের দুই বার বিরোধী দলের আসনে ছিলাম। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে যেমন জাতীয় পার্টির প্রয়োজন হয়েছে। জাতীয় পার্টির জন্যও আওয়ামী লীগ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। আগামী নির্বাচনে আমরাই বিরোধী দলের আসনে বসব। সেরকম আসনও তো আমাদের পেতে হবে। আগের নির্বাচনগুলোতে যেখানে লাঙ্গলের প্রার্থী ছিল, সেখানে নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়নি। কিন্তু এবার নৌকা ও লাঙ্গল দুই প্রতীকের প্রার্থীই থাকছে। এমনটা হলে জাতীয় পার্টির বিজয়ী হয়ে আসার সম্ভাবনা কম। আর আগামী নির্বাচনকে বিতর্কিতমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে অবশ্যই জাতীয় পার্টি সরকারের জন্য একটা ‘ফ্যাক্টর’। তাই সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় পার্টিকে সম্মানজনক আসন দেয়া হবে, এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি। যেসব আসনে আমাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আমাদের দাবি সেসব আসনে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তাহলে আমাদের বিজয় সহজ হবে। আমরা নির্বাচনে থাকব। আর যদি সেটা করা না হয়, তাহলে তো আমাদের বিজয়ের সম্ভাবনা খুব একটা থাকবে না। আমরাও নির্বাচনে থাকব কী থাকব না, সেটাও আলোচনার বিষয় রাখে।
এদিকে গতকাল বিকালে তেজগাঁওয়ে একটি সভায় জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও একটা শঙ্কা আছে। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে, এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলব, তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
এদিকে জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং গণভবনে রওশন এরশাদের সাক্ষাতের বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস করবেন কিনা, করেন কিনা, সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনো কমেন্টস নেই। জাতীয় পার্টি নির্বাচন করার জন্য এসছে। নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য আসেনি। আমরা শুধু ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। এটা নিশ্চিত করা হলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনো অবকাশ আমাদের নেই। রওশন এরশাদের গণভবনে যাওয়ার বিষয়ে চুন্নু বলেন, তিনি গণভবনে যেতেই পারেন। যে কোনো মানুষের যাওয়ার সুযোগ আছে। রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধ দলের নেতা। তিনি সংসদের নেতার সঙ্গে যে কোনো সময়, যে কোনো বিষয়ে দেখা করতেই পারেন। রওশন এরশাদ গণভবনে যেতেই পারেন এটা খুব ইজি বিষয়, আনকমন বিষয় নয়।
এ বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রওশন এরশাদ এখনো বিরোধী দলের নেতা। কারণ আমাদের পার্লামেন্ট সুপ্ত আছে, ঘুমন্ত আছে এটা কিন্তু ভেঙে দেয়া হয়নি। সে হিসেবে বিরোধী দলের নেতা সংসদীয় দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। সেখানে তিনি তার দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক শুধু একটা কথাতেই টানাপড়েন আসবে এমন সিদ্ধান্তের এখনো সময় হয়নি। কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ তার ক্ষোভের কথা জানাতে পারেন। তার সঙ্গে যারা নেই তাদের বিরুদ্ধে তিনি বলতে পারেন। কিন্তু দল হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনো জোট থাকবে না বা আমরা ইলেকশন করব না এমন কোন সিদ্ধান্ত আমাদের পার্টিতে বা আমাদের নেত্রীও আমাদের কিছু বলেননি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা এখন শেষ কথা বলতে পারছি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়