ডিবিতে অভিনেত্রী তিশার অভিযোগ : লুবাবার অভিযোগকারী আটক

আগের সংবাদ

সমঝোতা হলে পুনঃতফসিল : সুযোগ আছে সংবিধানে > আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের > সিদ্ধান্ত নিতে হবে ১০ দিনের মধ্যেই

পরের সংবাদ

শিক্ষা বাঁচানোর উপায় কী : হরতাল-অবরোধে আটকে আছে প্রায় ২ কোটি পাঠ্যবই, ঢাকায় শুক্র-শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষক সাফ বলে দিলেন, হরতাল-অবরোধে তোমরা ক্লাসে না এলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ রাস্তায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় আমরা নিতে পারব না। টানা হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনিতেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। সেখানে শিক্ষকের এমন মন্তব্যে উপস্থিতি আরো কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম বলেছেন, গত দুর্গাপূজার ছুটির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বহু শিক্ষার্থী এখনো ক্লাসেই ফিরেনি। তারমতে, টানা হরতাল-অবরোধের কারণে অভিভাবকরা সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক পরীক্ষা স্থগিত করে যাচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে সেশনজট। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস এবং পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।
শুধু এই কটি প্রতিষ্ঠানেই নয়, টানা অবরোধ-হরতালে রাজধানী ঢাকায় প্রায় সব স্কুলেই স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। সপ্তাহের কর্ম-দিবসগুলোতে টেনেটুনে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন চললেও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদান প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হচ্ছে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এর ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সবার মনেই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, আতঙ্ক আর হতাশা। এতে তাদের বর্তমান শিক্ষাজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবের বিষয়েও আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা হরতাল-অবরোধের কারণে শুধু চলতি বছরের শিক্ষা কার্যক্রমই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না; আগামী বছরের শুরুতেও শিক্ষাপঞ্জিতে ধাক্কা লাগছে। বছরের পয়লা দিন বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষাপঞ্জি শুরু হয়। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আগামী বছরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপিয়েও জেলা ও উপজেলায় পাঠাতে পারছে না। প্রায় ২ কোটি বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাখানাগুলোতে পড়ে আছে। সময়মতো বই শিক্ষার্থীদের হাতে না দিলে আগামী বছর নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাপঞ্জি শুরু হবে না। সব মিলিয়ে শিক্ষা বাঁচানোই এখন বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, ঢাকায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারতাল-অবরোধের কারণে শুক্র-শনিবার মূল্যায়ন ও

পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে ঢাকার বাইরে শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক আছে। দেশজুড়ে সমস্যা না হওয়ায় আমরা এখনো বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবছি না। সমস্যা হলে দেখা যাবে। তবে পাঠ্যবই নিয়ে সমস্যার কারণে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৫ জন মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে বৈঠকে হরতাল-অবরোধের কারণে আগামী বছরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই জেলা ও উপজেলায় পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানাই। এরপর সেই বৈঠক থেকেই বলা হয়েছে, যেসব পাঠ্যবই ছাপা হয়ে গেছে সেগুলো প্রতি শুক্র ও শনিবার বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই দশা থেকে মুক্তি পেয়েই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন, অটো পাস এবং সবশেষ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। তবে করোনার প্রভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিখন ঘাটতি দেখা দিয়েছিল মারাত্মক আকারে। সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠে আগামী বছর পূর্ণ সিলেবাসে ও পূর্ণ নম্বরে ফিরছে পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে আবার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কেন্দ্র করে আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে বিরোধী দলগুলো। এসব কর্মসূচি জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে, যার প্রভাব পড়েছে শিক্ষাঙ্গনেও। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। আবার সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন। সে কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধের দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হরতালের প্রভাব পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের ওপর। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের সমস্যা না হলেও পরবর্তী কর্মসূচিগুলো সহিংস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে কারণে বার্ষিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন ‘অসম্পূর্ণ’ রেখেই শিক্ষাবর্ষের ইতি টানতে হতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের।
দেখা গেছে, রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরেই হরতাল-অবরোধের প্রভাব বেশি। পরীক্ষা থাকলেও সন্তানদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসায় বেশি ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। সেই তুলনায় গ্রামাঞ্চলে রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব খুব বেশি নেই। তবে সারাদেশের স্কুল-কলেজ একই শিক্ষাপঞ্জি মেনে চলে এবং গ্রামের স্কুলগুলোতেও কাছাকাছি সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়। শহরের স্কুলগুলো নিজেরাই প্রশ্ন তৈরি করে। কিন্তু গ্রামে এখনো বেশ কিছু স্কুল একসঙ্গে একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয় বা শিক্ষকদের সমিতি থেকে প্রশ্ন কিনে নেয়। এজন্য একেক স্কুলের একেক দিন পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বেইলি রোড শাখার ক্লাস ওয়ানের এক ছাত্রীর মা কানিজ হুমায়রা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ক্লাস ওয়ানের একটি পরীক্ষা হয়েছে। আরেকটা হওয়ার কথা ছিল সোমবার (২০ নভেম্বর)। কিন্তু হরতালের কারণে সেই পরীক্ষা তিন দিন এগিয়ে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নেয়া হয়েছে। এতে তো বাচ্চাদের মানসিক চাপ পড়ে। আরেক অভিভাবক আবেদা রহমান বলেন, বাচ্চাদের জন্য নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যারা নতুন স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করাতে চান, তারা অনলাইনসহ অফলাইনে স্কুলের খোঁজখবর নিতে চান। হরতাল অবরোধ আমাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। আমরা বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আতঙ্কে থাকি। মনের ভেতর ভয় কাজ করে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেয়া রায় চৌধুরী বলেন, হরতালের কারণে আমরা বেশ কিছু পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার নিয়েছি এবং নেব। কিন্তু এরপরও নভেম্বরে পরীক্ষা শেষ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা-ও জানি না। সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অবরোধ শুরুর পর একাধিকবার অদল-বদল হয়েছে পরীক্ষা। আর অবরোধের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে হরতালের কর্মসূচি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেয়। প্রায় একমাস ধরে ধরে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি মোটামুটি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখন এই ব্যবস্থা চলছে। গত দুদিনে রাজধানীর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসে গিয়ে দেখা যায় কোনো শিক্ষার্থী নেই। শুধু শিক্ষক-কর্মকর্তারা রয়েছেন স্কুলে। তবে মঙ্গলবার গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেদিন হরতাল শিথিল করায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। হঠাৎ করেই একটি দিন হরতাল শিথিলের ঘোষণায় স্কুলে আসতে পেরে উচ্ছ¡সিত শিক্ষার্থীরা। শুধু দুদিন ক্লাস নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এই দুদিনে একসঙ্গে অনেক পরীক্ষাও দিতে হচ্ছে। কিন্তু মাত্র দুদিনের ক্লাসে নিজেদের সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে শিক্ষার্থীদের মনে। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সারাদিন ঘরে থেকে থেকে একঘেয়ে হয়ে গেছে দিন-রাত। আর স্কুলে দুদিনের ক্লাসে দ্রুত সিলেবাস শেষ করার জন্য শিক্ষকদের অতিরিক্ত চাপের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এবং বর্তমান সময়ে তাদের যেভাবে সময় কাটাতে হচ্ছে- তা নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা আরও বেশি। অনেক অভিভাবক বলছেন, বাইরে খেলতে যাওয়ারও সুযোগ বা স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। ফলে ৫টি দিনই ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে ছেলেমেয়েদের। অভিভাবক শাহীন বলেছেন, বাচ্চারা বাড়িতে সারাক্ষণ থাকলেও আগের মতো পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না। নিয়মিত পাঠদানের বদলে একগাদা হোম-ওয়ার্ক দিয়ে তো শিক্ষা হয় না। বাসায় সারাক্ষণ গেমস, কম্পিউটার এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকছে। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেছে, তা নয়। বাবা-মার ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
তবে ঢাকার বেশ কয়েকটি নামিদামি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানালেন, অভিভাবকরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে অন্য দিনগুলোতে ক্লাস নেয়ার বিপক্ষে। যারা দূরে থাকেন তারাও আসতে চান না। তবে অভিভাবকরা যাই বলেন না কেন, ঘাটতি পূরণে দুদিন ক্লাস নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু দুদিনের পাঠদানে কতটা পুষিয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন শিক্ষকরা? তাদের মতে, এতে স্বাভাবিক সময়ের মতো পাঠদান হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। এরকম অবস্থার পরিবর্তন না হলে গ্রীষ্মের ছুটিতেও ক্লাস নিতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই অস্থিরতার ফলে মেয়েদের বাল্যবিয়ে বেড়ে যেতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক বাবা-মাকে বাড়তি টাকা খরচ করে নতুন করে টিউটর কিংবা কোচিংয়ের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে মনে করছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এ বিপর্যয় কবে কাটবে সেটাই তাদের প্রশ্ন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ ভোরের কাগজকে বলেন, পরীক্ষা হচ্ছে না, ক্লাস হচ্ছে না, নির্ধারিত সময়ে বই পাবে না- সবই সহ্য করতে হবে। কারণ যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে তারা যদি জনগণের ক্ষতিটা না বুঝে তাহলে এমনই হবে। আর তারা এই ক্ষতি বুঝবে কি করে, বিদেশ থেকে অর্ডার আসে, তারা এখানে বাস্তবায়ন করে। তিনি বলেন, ২০১৪/১৫ সালে রাজনীতির নামে যে জ¦ালাও-পোড়াও করেছে তা এখন আবার করছে। জনদুর্ভোগের এসব কর্মসূচি যতক্ষণ বন্ধ না হচ্ছে ততক্ষণ শিক্ষার্থীরা রেহাই পাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সাবেক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগের ক্ষতি পোষানো যায় না। তবুও নানা উপায়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা হবে। কিন্তু সবটাই হবে গোঁজামিল। ফলে শিক্ষার ক্ষতি ক্ষতিই থেকে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়