মুজিবুল হক চুন্নু : মানুষ ভোট দিতে পারবে এই আস্থা নেই

আগের সংবাদ

শিক্ষা বাঁচানোর উপায় কী : হরতাল-অবরোধে আটকে আছে প্রায় ২ কোটি পাঠ্যবই, ঢাকায় শুক্র-শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা

পরের সংবাদ

ইসির ইঙ্গিত : বিএনপি চাইলে পুনঃতফসিলের বিবেচনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ যেসব দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে, তারা মত পাল্টে ভোটে আসতে চাইলে এবং সেই আগ্রহের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আলোচনা করে এ ধরনের সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা আছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যদি ফিরতে চায়, আমার জানামতে পূর্বেও তারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন।
নির্বাচন ভবনের নিজের দপ্তরে গতকাল সোমবার ইসি রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আগ্রহের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে নিশ্চয় আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। তারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করব। কখনোই চাইব না যে, তারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরায়ে দেব-এটা হবে না।
রাশেদা সুলতানা বলেন, বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। তারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসব। আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।
তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, এলে তো বিবেচনা করবই। অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।
এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পন্থা আছে, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে, তারা আসছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু তাদের জন্য একটু স্পেস (জায়গা) তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল (বিস্তারিত) আর কিছু বলব না।
জাতীয় পার্টি (জাপা) তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে। তফসিল একটু পেছানো যায় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলব না। বলা উচিতও নয়। তারা এলে আমরা ওয়েলকাম করব। এটার জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে, সেভাবে করব। কিন্তু আগেই বলব না।
রাশেদা সুলাতানা বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি তারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে, আমরা দেখব। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়াব। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস (জায়গা) আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না, এমন কোনো কথা নয়। যে কোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন, আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয় আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত রবিবার বলেছিলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে চাইলে এবং সহায়তা চাইলে ইসি সহায়তা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব আমাদের না। যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতাম, তাহলে তারা কোথায় সভা-সমাবেশ করবে কিংবা না করবে, সেগুলো আমরা বলে দিতাম। সেগুলো আমাদের আওতায় নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়