বিরোধীদের এক করতে তৎপর বিএনপি

আগের সংবাদ

পরিবহন খাতের সর্বনাশ : অবরোধ-হরতালে ৩৭০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, সব মিলিয়ে ক্ষতি সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

কোহলিময় বিশ্বকাপ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের ফাইনালে গতকাল অজিদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৫৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। নবমবারে মতো এবারের বিশ্বকাপে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঘরের মাঠে এদিন বিশ্বকাপে রিকি পন্টিংয়ের ১৭৪৩ রানের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। শচীনের পর তিনিও এখন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এর আগে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও নিজের দখলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
স্বপ্নের মতো একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে দলকে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাচের পর ম্যাচ জেতাতে। ব্যাট হাতে ১১ ম্যাচের ৯টিতেই পেয়েছেন রানের দেখা। ১১ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে প্রায় ৯৬ গড়ে ৭৬৫ রান করেছেন। যা এক বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটারের করা সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপের আগে কোহলির রান ছিল ১০৩০। এক আসরেই ৭৬৫ রান করে তার মোট রান এখন ১৭৯৫। আহমেদাবাদে গতকাল ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ চারে ৬৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকে ছাড়িয়ে যান তিনি। অজিদের দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের রানসংখ্যা ছিল ১৭৪৩। এর আগে ইডেন গার্ডেনে নিজের ৩৬তম জন্মদিনে এক দিনের ক্রিকেটে ৪৯তম শতরান করে শচীনকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন কোহলি। এরপর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে একদিনের ক্রিকেটে ৫০টি শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। সেই ম্যাচে ৮০ রান করার সঙ্গে সঙ্গে এক বিশ্বকাপে শচীনের সব থেকে বেশি রান করার রেকর্ডও ভেঙে দেন তিনি। এদিনই বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে এক বিশ্বকাপে ৬০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। পরে গড়েন একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৭০০ রান করার রেকর্ড। কোহলি এবারের আসরে মোট চার মারেন ৬৮টি, ছক্কা হাঁকান ৯টি। তার স্ট্রাইক রেট ৯০.৩৫। পরিসংখ্যান দেখেই অনুমান করা যায়, কতটা দারুণ ছন্দে রয়েছেন সাবেক এ ভারতীয় অধিনায়ক।
বিশ্বকাপে ভারত প্রথম ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে কোহলি করেছিলেন ৮৫ রান। পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫৫ রান করেন। পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৫ রান করেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতেই ৮৮ রান করেন তিনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে অপরাজিত ১০১ রান করেন। রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৫১ রানে ফিরে যান। এরপর সেমিতে কিউইদের বিপক্ষে খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস। এক আসরে সাতশ রান করা একমাত্র খেলোয়াড়ও এখন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়