প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে ঐকমত্যে পৌঁছেছে প্রথম কিস্তির অর্থের ব্যবহার দেখতে আসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিভিউ মিশন। এখন ১১ ডিসেম্বর আইএমএফ বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন পেলে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ভর্তুকি কমাতে বড় কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে না বলে আইএমএফকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য আগামী জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনের পর কঠোর সংস্কারের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে সরকার। আইএমএফও একমত হয়েছে- নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনা সম্ভব হবে না। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আইএমফকে আপাতত বোঝাতে সক্ষম হলেও তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের আগে অবশ্যই সংস্কারগুলো করতে হবে। তাদের মতে, এসব সংস্কার অনেক আগেই করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও তা শুরু করেছে সরকার।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য যে কাজগুলো অসম্পূর্ণ আছে- সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে এবং তা কতটা করবে সেটা নিয়ে নতুন করে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা হয়েছে। সেই সমঝোতাটা কি সেটা আমরা জানতে পারব ফাইনাল রিপোর্ট পাঠানোর পর। তিনি বলেন, মূল প্রোগ্রামে রিজার্ভ এবং রাজস্বের যে লক্ষ্যগুলো ছিল এগুলো সম্ভবত কিছুটা নামিয়ে আনা হবে। এছাড়া যেসব কাজ অসম্পন্ন ছিল, কিন্তু এগিয়েছে। যেমন- মুদ্রা বিনিময় হারের ক্ষেত্রে একীভূত করা হয়েছে, কিন্তু এখনো বাজারভিত্তিক করা হয়নি। তৃতীয় কিস্তির আগে এটাকে বাজারভিত্তিক করতে হবে। সুতরাং দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে আর কোনো বাধা আছে বলে মনে হয় না।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য এবং আইএমএফের বিবিৃতি থেকে ধারণা করা যায়, ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ছাড় হবে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। অর্থাৎ এবারের সফরে এসে যেসব আলোচনা হয়েছে তাতে সবটা সন্তুষ্ট না হলেও তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট হয়েছে। কিছু কিছু জায়গা যেমন-
রিজার্ভের পরিসংখ্যানে একটি টার্গেট ছিল। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের শর্ত ছিল। ছয়টি শর্তের গুরুত্বপূর্ণ দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাদের বুঝিয়েছে- নির্বাচনের আগে আগে এটা করতে যে উদ্যোগ, উদ্যম লাগবে, তা এখন সম্ভব নয়। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এসব সংস্কার আমাদের আরো অনেক আগে নেয়ার কথা ছিল। আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেই ছিল- রাজস্ব বাড়বে, ২০২০ সালে জিডিপি রেশিও ১৪ শতাংশে নেয়া হবে। আমাদের সংস্কার কর্মসূচিগুলো ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এটা আইএমএফের বলার বিষয় নয়; এটা আমাদের নিজেদেরই করা প্রয়োজন। ড. মোস্তাফিজ বলেন, আলোচিত সংস্কারগুলো অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি বলেন, মুদ্রা সংকোচন নীতি পালন করলেই হবে না, এর সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গুণগত মানও জড়িত। তিনি আরো বলেন, সংস্কারের মূল জায়গাগুলোই রয়ে গেছে। সুতরাং সেই জায়গাগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজস্ব বাড়াতে গেলে প্রত্যক্ষ করের দিকে নজর দিতে হবে। প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হলে যারা পাওয়ারফুল তাদের উপরে কর বেশি পড়বে। এসব জায়গাগুলোতে হয়তো সরকার নির্বাচনের এই সময়ে হাত দিতে চাচ্ছে না। কিন্তু আমি মনে করি এসব ক্ষেত্রে দেরি করা ঠিক নয়। কারণ দেরি করলে নির্বাচনের পর এগুলো আর হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আইএমএফও শর্ত দিয়েছে। সুতরাং এসব সংস্কার কাজ এখনই শুরু করতে হবে।
এদিকে, ঋণের শর্ত পরিপালনে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আর্থিক খাতের সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সংস্থাটি মনে করে, বৈশ্বিক সংকটের এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, জলবায়ু মোকাবিলায় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে- তা প্রশংসনীয়। আইএমএফ সমর্থিত প্রোগ্রামের অধীনে কাঠামোগত সংস্কারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। তবে ঋণ চুক্তির ছয়টি শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। দুটিতে ব্যর্থতা থাকলেও তা দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে বাধা হবে না। দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ে নতুন কোনো শর্তও দিচ্ছে না আইএমএফ। তবে চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ মানুষকে রক্ষায় সামাজিক নিরাপত্তায় জোর এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি চালু রাখার ওপর জোর দেয়া হয়। আইএমএফ পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
এর আগে প্রতিনিধি দলটি সকালে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং দুপুরে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে তাদের এবারের সফরের শেষ বৈঠকে মিলিত হয়। দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্রতিনিধি দলটির সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে অর্থবিভাগ। ওই অনুষ্ঠানে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ অর্থবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে আসে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় বাংলাদেশে অবস্থান করার সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে মিলিত হয় দলটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ছাড়ার কথা।
আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঋণ দেয়ার শর্তে বাংলাদেশ যেসব সংস্কারমূলক কার্যক্রম নিয়েছে তা চ্যালেঞ্জিং। এ অবস্থায়ও সরকারের পক্ষথেকে বেশকিছু নীতিগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে ঋণ দিয়ে যে সহযোগিতা করা হয়েছে- ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে আইএমএফ। বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা, স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধার অধীনে প্রথম পর্যালোচনাতে স্টাফ লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ। তবে স্টাফ দলের বিবৃতি যা একটি দেশে সফরের পর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে। এ বিবৃতিতে প্রকাশিত মতামতগুলো আইএমএফের কর্মীদের এবং তা আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে না। এই মিশনের প্রাথমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কর্মীরা একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন- যা অনুমোদনের লক্ষ্যে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
মিশন শেষে রাহুল আনন্দ বিৃবতিতে বলেন, বাংলাদেশ সরকার, আইএমএফ সমর্থিত প্রেগ্রামের অধীনে কাঠামোগত সংস্কারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের ঘরে নেমে আসতে পারে। এছাড়া রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে এবং মধ্যমেয়াদে প্রায় চার মাসের সম্ভাব্য আমদানিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সামাজিক ব্যয় এবং বিনিয়োগের জন্য রাজস্ব বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই পদ্ধতিতে কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য সমন্বিত কর নীতি এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। ভর্তুকি যৌক্তিককরণ, ব্যয় দক্ষতা উন্নত করা এবং আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অতিরিক্ত ব্যয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে। সুদের হার নির্ধারণে করিডোর ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং একীভূত একক বিনিময় হার গ্রহণ ভালো পদক্ষেপ হবে। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত সুদের হার টার্গেটিং কাঠামো সম্পূর্ণরূপে চালু করা এবং ধীরে ধীরে একটি নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় চলে যাওয়া।
রাহুল আনন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অপারফর্মিং ঋণ হ্রাস, তত্ত্বাবধান বাড়ানো, শাসনব্যবস্থা জোরদার করা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর উন্নতি আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়াবে। অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজারের বিকাশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সহায়তার জন্য অর্থায়ন জোগাড় করতে সাহায্য করবে। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের স্থিতিতে পৌঁছানোর জন্য কর্তৃপক্ষের উচ্চাকাক্সক্ষাকে সমর্থন করার জন্য কাঠামোগত সংস্কার এজেন্ডাকেও কেন্দ্রীভূত করেছে। বাণিজ্য স¤প্রসারণ, আরো এফডিআই আকর্ষণ করা, বিনিয়োগের পরিবেশ বাড়ানো এবং নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বর্পূ। এছাড়া জলবায়ু মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়ানোও জরুরি হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের গতকালের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তি?নি জানান, আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত ছিল। এর মধ্যে ৬টি শর্ত নি?য়ে কাজ ক?রে?ছি। শ?র্তের বেশকিছু সফল হ?য়ে?ছে, কিছু পূরণ হয়?নি। বৈঠ?কে উভয়পক্ষ বেশকিছু বিষয়ে একমত হ?য়ে?ছে। এর পরিপ্রে?ক্ষিতে বলা যায়, ঋণের দ্বিতীয় কি?স্তি ৬৮১ মি?লিয়ন (৬ কোটি ৮১ লাখ মা?র্কিন ডলার) আমরা পাব। ডিসেম্বরে আইএমএফ তা?দের বোর্ড মি?টিং?য়ে সিদ্ধান্ত নে?বে। ডি?সেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কি?স্তি পা?বে বলে প্রত্যাশার কথা জানান কেন্দ্রীয় ব্যাং?কের মুখপাত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, আইএমএফ ঋণ অনুমোদনের সময় আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে বেশকিছু শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দুয়েকটি জায়গায় ব্যর্থতা আছে। রিজার্ভ কিছু কম আছে। রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। তবে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করেছে। বিপিএমসিক্স অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার প্রবর্তন করা হয়েছে। সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। আইএমএফ বেশকিছু বিষয়ে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। দেশে ডলার সংকট চলাকালে আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।