বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী মিয়ানমার

আগের সংবাদ

খেলাপি কমবে কোন পথে! পুনঃতফসিলকৃত ঋণ ফের খেলাপি হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর ভূমিকা চান অর্থনীতিবিদরা

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের মুখে নির্বাচন বগলে রাজাসন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন কে না চায়? কার না আকাক্সক্ষা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বাদ নেয়ার? এ আকাক্সক্ষার পারদ দেশের সীমানা মাড়িয়ে বিদেশিদেরও। যুক্তরাষ্ট্রের যেন আরো বেশি। যারপরনাই উতলা দেশটি। তাদের এ চাওয়ার রকমফের নিয়ে নানা কথার কচলানির সমান্তরালে প্রশ্নও অনেক। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভূ-রাজনীতি ও বিশ্ব কূটনীতির নতুন বাঁকে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর কাছে একটি হটস্পট। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, ক্রমে এগিয়ে যাওয়া, সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এবং বঙ্গোপসাগরের প্রতি আগ্রহের একটি রসায়ন এখানে বড় রকমের ফ্যাক্টর। তা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ভারত-চীন-রাশিয়াসহ আরো অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের আর তর সইছে না, মতিগতি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাঁধছে গোলমালটা। আসল টার্গেটের কথা না বলে তারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে নিয়েছে ছুুঁতা হিসেবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষমতা চায়? না, তা নয়। ক্ষমতার রাজাসনে পছন্দের সরকার চায়। এটি তাদের পররাষ্ট্রনীতির এজেন্ডা। বাইডেন প্রশাসনের বিশ্ব কূটনীতির অন্যতম অংশ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার’ পক্ষে কাজ করা। বাংলাদেশ সেই এজেন্ডার একটি অংশ মাত্র। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান তাদের সেই এজেন্ডার ক্যানভাসটা বড় করে দিয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে তাদের চাই-ই চাই। তা করতে হলে চীন-রাশিয়া বলয়ের ধরাছোঁয়া থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন রাখার বিকল্প নেই। একই চাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোরও।
বিশ্ব কূটনীতি-অর্থনীতিতে করোনা মহামারির ধকলের মাঝেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এ অঞ্চলে ভূ-রাজনীতির খোলনলচায় আঘাত হেনেছে। কেবল আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার চিত্র বদলেই দেয়নি, শত্রæ-মিত্রের সংজ্ঞা-উদাহরণও বদলে দিয়েছে। রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি সংগঠিত না থাকায় চীন-রাশিয়ার ঢু পড়ছে নতুন করে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা মর্মবেদনার, যা বাংলাদেশকে ঘিরে তিন-চার কেন্দ্রের প্রতিদ্ব›িদ্বতাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচন নয়, মূল গোলমাল সেখানেই। কিন্তু মৌসুম দৃষ্টে সামনে আনা হচ্ছে নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতাসহ আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়কে। সেখানে চীন একটি বড় ফ্যাক্টর। চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতার জাতভাই হলেও দিনে দিনে প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রশ্নে বাংলাদেশের বিশেষ উন্নয়ন সহযোগী চীন। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের অবস্থান অনেকটা একতরফা পর্যায়ে। আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে বড় বিনিয়োগ রাশিয়ার। সেই সঙ্গে স্বাধীনতাযুদ্ধে একান্ত সহায়তার কারণে ভারতের মতো রাশিয়াও বাংলাদেশের বিশেষ মিত্র। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রæতা নয়’ মন্ত্রে বর্তমান সরকার সবার সঙ্গেই মিতালি করে চলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র হাল বিশ্বকে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ তত্ত্বের ঘোরবিরোধী। নিরপেক্ষ থাকার দিনও শেষ করে দিয়েছে। শুধু তার পক্ষে থাকলেই বন্ধু বা সহযোগী, নইলে শত্রæ- এমন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে চলছে বিশ্বে একক রাজাসন গেড়ে বসা যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় বাজার। এই হাটের হাটুরি হতে আগ্রহ সুপার পাওয়ার প্রায় সব দেশেরই। তার ওপর যোগ হয়েছে বঙ্গোপসাগরসহ ভূ-রাজনীতি। এতে বাংলাদেশ না চাইলেও সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই সুবিধাও নিচ্ছে। চীন থেকে ব্যাপক আমদানি করে, আবার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে আমদানি-রপ্তানি দুটোই করে, যা চীন-রাশিয়া-মার্কিন দ্ব›েদ্ব বাংলাদেশকে লক্ষ্য না করলেও উপলক্ষ করে দিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী-সময়ে ৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর বিশ্বে একক পরাশক্তি হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের টানা সেই আধিপত্যে এখন চীন, রাশিয়াসহ কারো কারো হাত পড়ছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর মতো ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাবা পড়ে। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন-রাশিয়ার মধ্যে ঈর্ষা কেবল বাড়তে থাকে। এতে বাংলাদেশ ওই তিন-চার শক্তির পরোক্ষ কেন্দ্র হয়ে উঠতে উঠতে এখন বেশ প্রত্যক্ষ হয়ে উঠছে। মাত্রাগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তা বেশির চেয়েও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এর সরাসরি শিকার ক্ষমতাসীনরা। সরকারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে উতলা না হতে বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সদ্য সফরকারী তাদের প্রতিনিধি দলকেও। বরং নির্বাচন কেমন হয় সেদিকে নজর দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বানও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা মার্কিন পর্যবেক্ষক দলকে এ আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ?ও নিরপেক্ষ হবে। কোনোরকম পক্ষপাতিত্ব হবে না, কারচুপিও হবে না। নির্বাচনে যত সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকুক, তাদের স্বাগত জানানোর নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে।
দেশে ফিরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলটি সরকারকে যথারীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপসহ পাঁচটি প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। বলেছে, মিলেমিশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। এর জবাব বা প্রতিক্রিয়া দিতে একটুও দেরি করেনি সরকারি দল আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া আরো কড়া। তিনি বলেছেন, এর আগে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে।
তাহলে অর্থ কী দাঁড়াল। অনেকটা যেই লাউ, সেই কদুর মতোই। সবাই যার যার জায়গায় অটল। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানেরও হেরফের নেই
শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই মূল কথা হয়ে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের গতিপ্রকৃতিতে অবশ্যই তার ছাপ পড়বে। শিগগির তা স্পষ্টও হতে পারে। নইলে সরকারের দিক ভিন্নভাবনা হওয়াই স্বাভাবিক। তিক্ত কথাবার্তার ধারা বইতে থাকবে। গত কয়েক মাস ধরে তিক্ত কথা কম হয়নি। কাণ্ডকীর্তিও কম ঘটেনি। চলতি বছরের ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ভিসা রেস্ট্রিকশন কার্যকরের পদক্ষেপ। এতে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক মহল পুলকিত। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসেই বলে এসেছেন, এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা অযৌক্তিক। কথা নেই, বার্তা নেই, হঠাৎ আমাদের ওপর ভিসা স্যাংশন কোন কারণে- এ প্রশ্নও ছুড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ধরনের সাহসী উচ্চারণে যুক্তরাষ্ট্র ও নির্বাচন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছে- এমন কথা বলতেও ছাড়েননি তিনি। সরকারের একটি মহলের অভিমত, যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন-রেস্ট্রিকশন অবশ্যই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে কঠিন হবে না।
অবধারিতভাবে বিষয়টি এখন বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নেই। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে নানা পক্ষ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তৎপরতাকে ইঙ্গিত করে ঢাকার রুশ দূতাবাসের বিবৃতির মাঝেও এর ছাপ স্পষ্ট। বিবৃতিতে পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল এবং আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। রুশ দূতাবাসের বিবৃতিতে আমেরিকার নাম উল্লেখ না করে পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিককে ইঙ্গিত করে রাশিয়ার মতো আরেকটি দেশের দূতাবাস থেকে এ ধরনের বিবৃতি নজিরবিহীন। বাংলাদেশকে নিয়ে দুটি দূতাবাসের মধ্যে এ রকম কূটনৈতিক বচসার ঘটনা অতীতে দেখা যায়নি। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা নিয়ে কয়েক মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অসন্তুষ্টিও বাজে বার্তা দিচ্ছে। এমন অবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে।
শুধু বিশ্ব রাজনীতি নয়, এমন পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও দায়ী। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যেতে এবং থাকতে বরাবরই শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর আনুকূল্য প্রার্থী। যার এক কদাকার শোডাউন হয়েছিল বহুল আলোচিত-সমালোচিত ওয়ান ইলেভেনে। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রেসিয়া বিউটেনিস, ব্রিটেনের আনোয়ার চৌধুরী, জাতিসংঘের রেনাটা লক ডেসালিয়ানসহ বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিডর বইয়ে দিয়েছিল। বিউটেনিস-রেনাটা লকরা তখন সব দিকেই তাড়া দিয়েছেন। ২০০৬ সালের শেষ দিকে এবং ২০০৭ সালের প্রথম দিকে ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা দেশের কিছু কূটনীতিক ছিলেন বেশ তৎপর। রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য তারা দফায়-দফায় খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। উইকিলিকসে প্রকাশিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রেসিয়া বিউটেনিসের গোপন তারবার্তা থেকে জানা যায়, ঢাকার পশ্চিমা কূটনীতিকরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য নিজেদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক করতেন। যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘কফি গ্রুপ’। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তারা প্রায়ই বিবৃতি দিতেন। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবিকেও এক করে ফেলেছিলেন তারা। রাজনীতিকরাও ছুটে গেছেন তাদের কাছে। এতে কেউ বেনিফিশিয়ারি হয়েছেন, কেউ নিগৃহীত হয়েছেন। তাদের ল্যাঠা মেটাতে ঢাকায় এসেছিলেন জাতিসংঘের তখনকার মহাসচিবের বিশেষ দূত ক্রেইগ জেনেসও। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ওই রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। হয়েছে তা-ই। সেই ঘা ও ক্ষত কিন্তু এখনো শুকায়নি। তার ওপর এখন নতুন ঘা না পড়লেই হয়। তা নির্ভর করছে রাজনীতিকদের বোধ-বুদ্ধির ওপর।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক ও কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়