নব্বইয়ের ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যু

আগের সংবাদ

সংলাপসহ পাঁচ দফা সুপারিশ : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশংসা মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী মিয়ানমার

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে ৫টি দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, সেই ৫টির মধ্যে একটি মিয়ানমার। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে মিয়ানমার আগ্রহী। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শমী কায়সার ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারের তাগিদ দেয়া হয়।
মাহবুবুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে আসছে। একসময় চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পন্ন হতো। কিন্তু বেশ কিছু কারণে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার কমে এসেছে। দুই দেশের সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। রোহিঙ্গা সমস্যাসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে।

এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, সিরামিক, পাট, চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ। এছাড়া এদেশের জ্বালানির চাহিদা পূরণে মিয়ানমার এগিয়ে আসতে পারে। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়