সৌদি ভিসা প্রসেসিং কেন্দ্র : ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে না পারায় বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

অস্থিরতার মূলে ডলার সংকট : ডলার মিলছে না ব্যাংক কিংবা খোলাবাজারে, দামে লাগাম টানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পরের সংবাদ

পদ্মার বুকে স্বপ্নের পারাপার : প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিল ট্রেন > উদ্বোধন করে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা গেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) থেকে : মধ্যদুপুরে কু-ঝিক-ঝিক, কু-ঝিক-ঝিক শব্দতরঙ্গ আর হুইসেলের শব্দের সঙ্গে একাকার হয়ে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল প্রমত্তা পদ্মার উন্মামাতাল জল কল্লোল। স্বপ্নজয়ের মুকুটে যুক্ত হলো আরেকটি পালক। ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ কামরার ওই বিশেষ ট্রেনটি যখন সর্পিল গতিতে ছুটছে, গর্বিত বাংলাদেশের ইতিহাসের খেরোখাতা যেন আনন্দে গেয়ে ওঠেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অমর উক্তি, ‘আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না।’ আর পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের নতুন দিগন্তের উন্মোচনকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আখ্যায়িত করেছেন- ‘স্বপ্ন পূরণের দিন’ হিসেবে। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশ জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে- এমন প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার পূরণ হয়েছে জাতির আরেকটি স্বপ্ন। দেশের মানুষের ওই স্বপ্ন পূরণের দিনে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী; নিজ হাতে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে বিশেষ ট্রেনে পাড়ি দেন পদ্মা। টিকেট কেনার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের কাছে এগিয়ে যান। তিনি সবুজ পতাকা নেড়ে ও হুইসেল বাজিয়ে সিগন্যাল দেয়ার পর শুরু হয় স্বপ্নের ট্রেন যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী আসন গ্রহণের পর ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বিশেষ উদ্বোধনী ট্রেন। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। ছিলেন মন্ত্রি, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
আনন্দঘন ৫৪ মিনিট : উন্মত্তা পদ্মা নদীর বুক চিড়ে ট্রেনের প্রথম যাত্রা শেষ হয় ৫৪ মিনিটে। আর পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগে আট মিনিটের মতো। বেলা ১টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি সেতুতে উঠে। অপর প্রান্তে ইঞ্জিনের দেখা মেলে ১টা ১৫ মিনিটে। ১৪ কোচের বিশেষ এই ট্রেনের দুই পাশেই ছিল দুটি ইঞ্জিন। ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেন পৌঁছে ভাঙ্গা স্টেশনে। পদ্মায় সড়ক সেতু উদ্বোধনের সোয়া এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেল পথ উদ্বোধনকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের ছিল উন্মুখ অপেক্ষা। ট্রেনটি যখন ছুটছিল, রাস্তার দুই ধারে ঝড়ো হওয়া উচ্ছ¡সিত মানুষ হাত নাড়ছিলেন। ভাঙ্গায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের স্বাগত জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বপ্ন পূরণের দিন : বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করতে গতকাল সকালে সড়কপথে মাওয়া রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা নদী রেলে করে পাড়ি দেয়া, আজকের দিনটি সেই স্বপ্ন পূরণের দিন। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েন এবং পরে নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথাও স্মরণ করান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি সামান্য একটি ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবে না বয়সের কারণে- সেটা বলার জন্য বিশ্বব্যাংক তার পক্ষে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম দুর্নীতি করতে আসিনি। মানুষের সেবা করতে এসেছি। শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করে না। আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিলে অনেকে বলেছিলেন, এটা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের টাকায় এই খরস্রোতা নদীতে সেতু করা সম্ভব নয়। আমি জানি অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আমার সঙ্গে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আছে। বাংলাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়, সেটাই আমরা করেছি। আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আজকে সেখানে রেল সেতু চালু করে দিলাম। বঙ্গবন্ধুর সুরে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।
এরপর তিনি আসেন রেলস্টেশনে। সেখানে প্রবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী কাউন্টারে দাঁড়ান এবং টাকা বের করে রেলের কাউন্টারের বিক্রয় কর্মীর কাছ থেকে টিকেট কেনেন। এ সময় শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও কাউন্টার থেকে টিকেট কেনেন।
যারা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কামরার যাত্রী : পদ্মা সেতুর ওপর রেল উদ্বোধনের সময় তার সহযাত্রী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, পাটকল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৫০ জন যাত্রী। জানা গেছে, এর মধ্যে- চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, চারজন প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রী, একজন প্রাথমিক শিক্ষক, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দুইজন প্রতিনিধি, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, একজন রিকশাচালক, একজন নারী কৃষক, একজন ফেরিচালক, একজন মাঝি, একজন মেট্রোরেল কন্ট্রোলার, টিটিই একজন, ট্রেনচালক একজন, স্টেশন মাস্টার, ওয়েম্যান, বাসচালক, হকার, সবজি বিক্রেতা এবং পাটকল শ্রমিক। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নানা পেশাজীবীদের প্রতিনিধিরাও সঙ্গে ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন জেলা আনসার ও ভিডিপির একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, পুলিশ একজন, স্কাউট থেকে একজন, বিএনসিসির একজন, র‌্যাবের একজন, রেল পুলিশ একজন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন, বিজিবির একজন, কোস্ট গার্ড-আরএনবি সদস্যদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কামরায় যান এবং সহযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চোখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। আর সহযাত্রীদের চোখেমুখে ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার অনুপম উচ্ছ¡াস।
কমবে দূরত্ব, বাঁচবে সময় : পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল বদল ঘটে গেল। এছাড়া ঢাকা ও কলকাতায় যাতায়াতের জন্য যারা রেলপথ ব্যবহার করেন তাদের সময় বাঁচবে অনেক। সব মিলিয়ে দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। এতদিন ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে থেকে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস চলত বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে। এখন এই ট্রেনগুলো গন্তব্যে যাবে পদ্মা সেতু হয়ে। এছাড়া মধুমতি এক্সপ্রেসের গোয়ালন্দ-ঢাকা রুট বদলে ফেলা হচ্ছে। এই ট্রেনটি পদ্মা সেতু ব্যবহার করে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচল করবে। ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ঘুরে যশোরে ট্রেন যেতে রেলের সূচি অনুযায়ী সময় লাগে ৭ ঘণ্টা ৫০ মিনিট, যদিও ৯ ঘণ্টার কমে যাওয়া যায় না। কখনো কখনো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও লেগে যায়। পদ্মা রেল সংযোগ পুরোপুরি চালুর পর এই পথ তিন ঘণ্টায় পাড়ি দেয়া যাবে। দূরত্ব সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার থেকে কমে হবে ১৬৯ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ঘুরে খুলনা যেতে সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়া যাবে সাড়ে চার ঘণ্টায়। ঢাকা-কলকাতা রুটের ট্রেনও চলতে পারবে পদ্মা রেল সংযোগ হয়ে।
প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ শতাংশ : প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্মা রেল সংযোগে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে। কমবে আঞ্চলিক অসমতা। পদ্মা রেল সংযোগে দ্বিতীয় ব্রডগেজ লাইন নির্মাণের সুবিধা রাখা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে ডাবল লাইনে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে এই পথের গুরুত্ব আরো বাড়বে। মোংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইনের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ শেষে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য রেলে ঢাকায় আসার পথ খুলবে। দক্ষিণবঙ্গে অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা। সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্মা রেল সংযোগ হবে ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের অংশ। এতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন সুবিধা বাড়বে।
পদ্মা রেল সংযোগ ঘিরে বিশাল কর্মযজ্ঞ : ১৬৯ কিলোমিটার ছাড়া আরো তিন কিলোমিটার মূল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে প্রকল্পের অধীনে। ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার সাইড এবং লুপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বমোট নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার। ৬৬টি বড় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে এই রেলপথে। ২৪৪টি ছোট সেতু এবং কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। মাওয়ায় একটি সড়ক ওভারপাসসহ ২৯টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা হয়েছে। এ রেললাইন পুরো পথে কোথাও গাড়ি চলাচলে বাধা হবে না। ১৪টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো ৬টি স্টেশনের খোলনলচে বদলে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ঢাকা-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা অংশে স্টেশন সংখ্যা ৯টি। ২০টি স্টেশনই চলবে কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক্ড সিগন্যাল পদ্ধতিতে। এক হাজার ৭৯৬ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে।
প্রসঙ্গত, গতকাল উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরো দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে রাজশাহী, খুলনা ও বেনাপোলের পথে তিনটি ট্রেন চলাচল করবে। মধুমতি এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এই রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পুরো পথে থাকবে মোট ২০টি স্টেশন। এর মধ্যে ১৪টি স্টেশন নতুন করে করা হচ্ছে। বাকি ছয়টি স্টেশন আগে থেকেই ছিল। সেগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এই রেলপথের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান ভাঙ্গা-পাচুরিয়া রাজবাড়ী সেকশনটি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়