ভোটের দিন বাইক চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা : ইসির অতিরিক্ত সচিব

আগের সংবাদ

ভিডিওবার্তায় তামিম ইকবাল : নোংরামিতে থাকতে চাইনি > কখনো বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না > তীর ৩ শীর্ষ কর্মকর্তার দিকে

পরের সংবাদ

৬ অনিয়মে বন্ধ প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট : ৭ দিনের অভিযানে ১৬৪টি ক্লিনিক বন্ধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। গত ১৮ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহে অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল ২ হাজার ৮৩টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৪৯ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। বন্ধ করা হয়েছে ১৬৪টি ক্লিনিক। কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৬ জনকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়।
বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ এবং এক্ষেত্রে মালিকপক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের বিরুদ্ধে আইন অমান্য এবং অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আপত্তিকর, মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা এমন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বপ্রথম গত ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনকালে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অমান্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জনগণের হয়রানি, মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভিযোগের সত্যতা পায়। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ এবং লাইসেন্স স্থগিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করা এবং কার্যক্রম বন্ধ করার কারণে আদালতে রিট পিটিশন (৬৫৬১/২০২৩) দায়ের করে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করা ও কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে আপিল আবেদন করে তারা। পরে আদালত রুলটি খারিজের জন্য তারিখ ঘোষণা করলে সময়ের জন্য আবেদন করে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর সম্পূরক জবাব দায়ের করলে আদালত মূল কোর্টের জন্য নির্দেশনা দেন এবং সাত দিনের মধ্যে প্রার্থীর আবেদন নিষ্পত্তির জন্য রুল জারি করেন। অন্য আদালতে পুনরায় রিট পিটিশন দায়ের করে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশনার কারণে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করে তারা। এরপর আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
৬ অনিয়মে বন্ধ প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট : লাইসেন্সবিহীনভাবে রক্ত পরিসঞ্চালন কার্যক্রম পরিচালনা করা, যা নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন-২০০২ এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করা। সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়। মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও বিদেশগামী যাত্রীদের পরীক্ষার সনদ দেয়া। হাসপাতালের লাইসেন্স ব্যতিত জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালু রাখা। অদক্ষ ও প্রশিক্ষণবিহীন জনবল দিয়ে ল্যাবরেটরিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং রোগীদের ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারিত করা।
প্রসঙ্গত, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে বনানীর এই প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলমান অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেয় অধিদপ্তর। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অবৈধভাবে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দখলের পাঁয়তারা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়