কাগজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ভেন্যুগুলো হচ্ছে- ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি, ফ্লোরিডার ব্রোয়ার্ড কাউন্টি এবং নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করে আইসিসি। সূচি চূড়ান্ত না হলেও আগামী বছরের ৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২০টি দল নিয়ে আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বৈশ্বিক আসরটির।
আগামী বছর প্রথমবারের মতো যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি ২০টি দলও অংশ নেবে আসরটিতে। এর আগে বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজিত হলেও এরকম মেগা টুর্নামেন্ট এবারই প্রথম। বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য ভেন্যু চূড়ান্ত করতে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র সফর করে আইসিসির প্রতিনিধি দল। গতকাল আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস ভেন্যুর নাম ঘোষণা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাজার এবং এই ভেন্যুগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া বাজারে আমাদের ছাপ রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।’
ভেন্যু তিনটিতে সুবিধা বাড়াতে ‘মডিউলার স্টেডিয়াম সলিউশনস’ প্রয়োগ করা হবে বলে জানায় আইসিসি। মডিউলার স্টেডিয়ামকে বলা হয় মাটির উপর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ব্যয়কার্যকর অবকাঠামো, যা দ্রুত নির্মাণ করা যায়। নিউইয়র্ক ছাড়াও ডালাস ও ফ্লোরিডায় মডিউলার সলিউশনসের মাধ্যমে আসনসংখ্যা, মিডিয়া ও হসপিটালিটি এলাকা দ্বিগুণ করার কথা রয়েছে। স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামো তৈরির কাজ আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে শুরু করে মে মাসে শেষ হবে। আগামী বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটিতে অংশগ্রহণকারী ২০ দলের মধ্যে ১৫টি দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। দুই আয়োজক হিসেবে সরাসরি সুযোগ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ আসরের সেরা আট দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা এবং র?্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও পেয়েছে সরাসরি সুযোগ। এছাড়া টিকেট নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় বাছাইয়ের সেরা স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের বাছাইয়ের বিজয়ী পাপুয়া নিউগিনি। বাকি পাঁচ দলের দুটি করে আসবে এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাই পর্ব থেকে, অন্যটি আমেরিকা থেকে। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা।