ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

সাবিনাদের প্রত্যাশা নেপাল বধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসের বড় ক্রীড়া আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। চীনের হাইজুতে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের উদ্দেশে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বেন সাবিনারা। গত বছর সেপ্টেম্বরেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতায় তাদের সামনে খুলে গেছে এশিয়ান গেমসের দুয়ার। তবে প্রথম অংশগ্রহণেই বাংলাদেশের মেয়েরা পড়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের সামনে। গ্রুপে আছে সর্বশেষ নারী বিশ্বকাপ খেলা ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ এশিয়ার দল নেপাল। তাই এশিয়ান গেমসে অন্তত নেপালের বিপক্ষে জেতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন কোচ সাইফুল বারী টিটু।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল বেশ ভালো করছে। তবে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবল দলের ওপর দিয়ে বেশ ঝড় বয়ে গেছে। অর্থের অভাবে অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইয়ে খেলতে পাঠানো হয়নি সাবিনাদের। বেশ কিছুদিন ধরে নারীদের ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও তা গড়ায় নি। এছাড়া সাবিনাদের বেতন ভাতা নিয়েও অভিযোগ ছিল বহুদিন। গতমাসে সেই সমস্যার সমাধান দেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এছাড়াও কয়েকজন ফুটবলার অন্যদেশে খেলার প্রস্তাব পেলেও তাদের অনুমতি দেয়নি বাফুফে। জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন ও ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন। এছাড়া দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন নারী ফুটবল জাগরণের অন্যতম কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও। ছোটনের চলে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কোচশূন্য নারীদলকে এশিয়ান গেমসের জন্য প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাইফুল বারী টিটুকে। পুরুষ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচের অধীনেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়েরা।
এশিয়ান গেমসে পুরুষ ফুটবল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে তিনজন সিনিয়র খেলানোর নিয়ম থাকলেও নারীদের দলে নেই বয়সের সীমারেখা। তাই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হওয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপের দল নিয়েই এশিয়ান গেমসে অংশ নিচ্ছে জাপান ও ভিয়েতনাম। সাবিনাদের প্রথম প্রতিপক্ষ জাপান এবারের নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল স্পেনকে গ্রুপপর্বে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ভিয়েতনাম কোনো জয় না পেলেও দারুণ ফুটবল উপহার দেয়। তাই জাপান ও ভিয়েতনাম পূর্ণশক্তির দল নিয়ে গেমসে অংশ নিলে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে। তাই প্রথম অংশগ্রহণে নারী ফুটবল দল প্রধান টার্গেট করেছে নেপালকে। কারণ নেপালকে হারিয়েই গতবছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে গত জুনে ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে সাবিনারা। প্রথম ম্যাচটি ড্র হওয়ার পরও দ্বিতীয় ম্যাচটিও শেষ হয় সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী টাইব্রেকারে সাবিনাদের হারিয়ে সাফের হারের প্রতিশোধ নেয় নেপালের মেয়েরা। তবে দুই ম্যাচেই দারুণ পারফর্ম করা সাবিনারা নেপালের বিপক্ষে জয়ের আশা করতেই পারে। নেপালকে হারাতেই হবে- এমন মানসিকতা নিয়েই ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে চীনের উদ্দেশে উড়াল দেবে নারী ফুটবল দল। নারী দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ সাইফুল বারী টিটুও পাখির চোখ করেছেন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচকে। তিনি জানান, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা জেতাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। জাপান ও ভিয়েতনাম অন্য লেভেলের দল। বিশেষ করে জাপানের মেয়েরা। তারা ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে। ভিয়েতনাম এবার প্রথম বিশ্বকাপ খেললেও সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডসের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের।’ তবে জেতার লক্ষ্য না থাকলেও জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেললে দারুণ অভিজ্ঞতা হবে আমাদের মেয়েদের বলে জানান সাইফুল বারী টিটু। তিনি জানান, ‘নেপালের বিপক্ষে জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব আমরা। জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলতে হবে অন্য কৌশলে। আমরা তাদের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই। আমরা সাফের ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছি, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছি। তাই এশিয়ান গেমসেও তাদের হারাতে চাই। সবাইকে সেই মানসিকতায়ই তৈরি করছি।’ এশিয়ান গেমসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাপানের মেয়েদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে আরেক কঠিন প্রতিপক্ষ ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলবে ২৫ তারিখ। গ্রুপ ‘ডি’ তে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে সাবিনাদের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এদিকে ইন্ডিয়া ওমেন্স লিগে খেলানোর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের কয়েকজন ফুটবলার নিতে চায় ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বাফুফেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হলেও ভারতের এই লিগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোনো মেয়ের খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ। এর কারণ হিসেবে তিনি লেবাননের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ, ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ ও প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ত শিডিউলের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়