ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

দেশান্তরী হতে চান বিপ্লব

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে জাতীয় দলের গোলরক্ষকের দায়িত্ব সুনামের সঙ্গেই পালন করেছেন বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। ১৯৯৯ সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী সাবেক এ ফুটবলার গত চার বছর জাতীয় দল, একাডেমি ও ক্লাব পর্যায়ে কোচিং করিয়েছেন। তবে, স¤প্রতি কোচিংয়ের সুযোগ পাওয়া দূরের কথা উল্টো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চরম হতাশা ও সংকট প্রকাশ করে কাজের সন্ধানে দেশ ছাড়তে চান এ কোচ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে একটি হতাশাজনক পোস্ট দেন বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। যেটির অর্থ দাঁড়ায়, যোগ্যতা ও সার্মথ্য থাকার পরেও দেশের ফুটবলে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। স্ট্যাটাস সর্ম্পকে গণমাধ্যমকে বিপ্লব বলেন, ‘আসলে আমি খুব হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমার যোগ্যতা-সামর্থ্য সবই রয়েছে সব পর্যায়ে গোলকিপিং কোচিং করানোর কিন্তু কাজের সুযোগ পাচ্ছি না। অনেক জায়গায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছি।’ কাজ না পাওয়ার পেছনে কিছু সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যক্তিকে দায়ী করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এ কোচ। বিপ্লব বলেন, ‘কিছু সিন্ডিকেটের মানুষের জন্য কোথাও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি না, যে স্বপ্ন নিয়ে গোলকিপিং কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম, তা অসাধু মানুষের জন্য আর সম্ভব হবে না। হয়তো অন্য কোনো পেশা নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ছাড়তে হবে।
দেশের শীর্ষ ফুটবল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, মারুফুল হক, সাইফুল বারী টিটু ও জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু চার জনই আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে কোনো দলের সঙ্গে চুক্তি করেননি এখনো। অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত কোচদের এ অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে বিপ্লব নিজের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘মানিক ভাই একটু দূরে রয়েছেন, বাকি যারা রয়েছেন তারা কোথাও না কোথাও কাজ করছেন। আমিও কাজ করার অধিকার রাখি কিন্তু সেই সুযোগ আমাকে কোথাও দেয়া হচ্ছে না।’
বিপ্লব জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি বাফুফের এলিট একাডেমি ও নারী দলকেও কোচিং করিয়েছিলেন তিনি। বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির অধীনে ভালোই সময় যাচ্ছিল তার। এরপর আচমকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে যোগ দেন। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনের আমি কাজের সুযোগ ভালোই পেয়েছি কিন্তু এত পরিশ্রমের পরেও পারিশ্রমিক সেই অর্থে পাইনি।’
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে ফুটবলের চেয়ে জীবিকা নির্বাহই বড় চিন্তার বিষয় বিপ্লবের জন্য। তিনি বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে কোনো কাজ করছি না আমি। অন্য কোনো ব্যবসা বা চাকুরিতে যাইনি। এখন ফুটবল নিয়ে কাজ করতে পারছি না। অথচ এক সময়ই ফুটবলই ছিল ধ্যান-জ্ঞান। পরিবার চালাতে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বা প্রয়োজনে দেশেও অনাকাক্সিক্ষত পেশায় দেখলে আপনাদের অবাক হবার কিছু থাকবে না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়