ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

কাউনিয়ায় আমনে সোনালি স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : আর কদিন গেলেই সবুজ মাঠ থেকে সোনালি ধান ঘরে আসবে। তাই কাউনিয়া উপজেলার লাখো কৃষক এখন সোনালি স্বপ্নে বিভোর। চলতি আমন মৌসুমে প্রকৃতির বৈরিতার পরেও সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। প্রখর রোদ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চারা রোপণের পরপরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় রোপণ করা চারা দ্রুত বেড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ৯৫০ হেক্টর, ঊফশী জাতের ১ হাজার ৫০ হেক্টর ও দেশি জাতের ১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে ধান চাষের বিষয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে। নিজপাড়া গ্রামের ধান চাষি বাসুদেব বলেন, এ বছর চারা রোপণের সময় পানির অভাবে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি। এখন অবশ্য দু-এক দিন পরপর বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাতত ভালোই দেখা যাচ্ছে। তবুও যাতে কোনো রকম ক্ষতি না হয় সে জন্য নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করছি। তা ছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে পার্চিং করায় পোকার হাত থেকে বাঁচা গেছে। টেপামধুপুরের বিশ্বনাথ গ্রামের কৃষক মো. বাতেন মিয়া, ঢুষমারা চরের কৃষক কোব্বাত বলেন, চলতি আমন মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে সার ও স্বল্পমেয়াদি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড এজেড এবং বিনা-১৭ জাতের ধানবীজ দিয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শ মতো বীজ বপন ও রোপণ করেছি। বর্তমানে ক্ষেতের চেহারা খুব ভালো। আশা করি অন্যান্য বারের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারব।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন বলেন, আমি নিজে এবং সব উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছি। চলতি মৌসুমে লাইফ পার্চিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং ডেড পার্চিং করা হয়েছে ৫ হাজার ৭৮ হেক্টর জমিতে। তিনি জানান, উপজেলায় ১১ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৯২ টন। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়