ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে বাংলার কিশোরীরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের নারী ফুটবল উত্থানের গল্প শুরু হয় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে বাছাই পর্ব উতরে মূল পর্বে খেলার মাধ্যমে। এ আসরে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সেরা আটে খেলে বাংলাদেশ দল। করোনার কারণে ২০২১ সালের আসর না হওয়ায় দীর্ঘ ৫ বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে এবারের আসর। ২০২৪ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ আসরের বাছাইয়ের প্রথম পর্বের বাধা পেরোয় বাংলার কিশোরীরা। এবার ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়ানো দ্বিতীয় পর্বে ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইনের বিপক্ষে খেলতে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
চলতি বছরের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম পর্বে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। প্রথম পর্বের আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন দল দ্বিতীয় বাছাইয়ে দুটি গ্রুপে খেলবে। এ দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ দল আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ায় মূল পর্বে খেলবে। গত আসরের তিন শীর্ষ দল উত্তর কোরিয়া, চীন ও জাপান সরাসরি মূল পর্বে অংশ নেবে। দ্বিতীয় ধাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাছাই পর্ব খেলতে বাংলাদেশ দল ১৮ সেপ্টেম্বর রওনা হবে। এ উপলক্ষে গতকাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রুমা আক্তার সরাসরি মূল পর্বে খেলার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা তিনটি ম্যাচই জিততে চাই। জিতে মূল পর্ব খেলতে চাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ তবে কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর কণ্ঠে সতর্কতার স্বর। তিনি বলেন, ‘গ্রুপের তিন দলই আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিং ও শক্তিমত্তায় এগিয়ে। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।’ চার দলের গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরের পর্বে খেলবে।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের সঙ্গে খেলাটিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। তিনি বলেন, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভিয়েতনামের বিপক্ষে সুন্দর সূচনা করতে চাই। এটি হলে টুর্নামেন্টে ইতিবাচক ফল আসতে পারে।’ সিনিয়র জাতীয় দলের র‌্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে পার্থক্য অনেক হলেও জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ভিয়েতনামকেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরও কোচ খুব একটা আশাবাদী নন। তিনি বলেন, ‘আগের দলগুলোর সঙ্গে এই দলগুলো মেলানো ঠিক হবে না। তারা দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। এই দলের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বলতে সিঙ্গাপুর বাছাই আর সাফের টুর্নামেন্ট। সানজিদা-কৃষ্ণাদের তুলনায় এই দলের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে।’ ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে দেখভাল করেছেন ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। সঙ্গে ছিলেন প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। দুজনই বাফুফে ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে লিটুর ওপর বাড়তি চ্যালেঞ্জ কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাড়তি চাপ মনে করছি না। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছি। এবার দেশের বাইরে হেড কোচ হিসেবে যাচ্ছি। নিজের দায়িত্ব ভালোমতো পালন করতে চাই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়