প্রাথমিকে বৃত্তি প্রদান : পরীক্ষায় নয়, নানা অলিম্পিয়াডে হতে পারে মেধা যাচাই

আগের সংবাদ

দিল্লির আন্তরিকতার বার্তা স্পষ্ট :চীন নিয়ে উদ্বেগ দূর করল বাংলাদেশ > স্থিতিশীলতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস ভারতের

পরের সংবাদ

হাসিনা-মোদি বৈঠকে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা : তিন সমঝোতা স্মারক সই, স্থিতিশীলতা ও সম্পর্কে গুরুত্ব

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘রাজনীতি থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’- সবই ছুঁয়ে গেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে। দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক, খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই বৈঠকে আরো একবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও মৈত্রীরই প্রতিফলন ঘটেছে বলে জানা গেছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের একপর্যায়ে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্তে কিছু সময় কথা বলেন। বৈঠকসূত্রে এসব কথা জানা গেছে। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময়) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবন ‘পঞ্চবটী’তে দুই নেতার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফলপ্রসূ বৈঠকের খবর নিজেই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশও তার আনন্দময় বার্তা জানায়। সবমিলিয়ে নির্বাচনের কয়েকমাস আগে প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে এমন বার্তাকে ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৈঠক শেষে মোদি নিজের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে বাংলায় লিখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি ও আরো অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। অপরদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারত স্থিতিশীলতায় গুরুত্ব দিয়েছে।
জানতে চাইলে কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী গতকাল রাতে ভোরের কাগজকে বলেন, বৈঠক শেষে শীর্ষ পর্যায় থেকে যখন সন্তোষজনক বার্তা আসে তখন এই বার্তাকে ইতিবাচকভাবেই নিতে হয়। এছাড়া আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রেও উন্নতির ধরন অব্যাহত থাকবে। তার মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রসহ বৈশ্বিকভাবেই সেই গুরুত্ব বহন করে। সবকিছু মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দেয়। দুই নেতার বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার আশা করা যায় কীভাবে? ভারত তো স্থিতিশীলতার মোড়কে অনেক কিছু বলে দিয়েছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথা দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কথাই বলে। সবমিলিয়ে এসব কথা থেকেই সব বুঝে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব আনাম খান ভোরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে এমন একটি বৈঠকের দরকার ছিল। এতে বর্তমান সরকারের প্রতি প্রতিবেশীর আস্থা ফুটে উঠেছে। আর বাংলাদেশ আস্থার জায়গাটি ঝালিয়ে নিয়েছে। তবে দুটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, প্রথমটি বাংলাদেশের নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে নির্বাচনের আগে দুই প্রতিবেশী একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিল। সম্পর্কের ধারাবাহিকতাও থাকল। পাশাপাশি জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে দেখা হবে। এতে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈশ্বিক সম্পর্ক জোরদারেরও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ফলে নির্বাচনের আগে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং নির্বাচনের আগে এসব অর্জনের দরকার ছিল বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। গতকাল বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করে বলেছেন, মনে রাখা দরকার খুব ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী হিসেবে আমরা জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পৌঁছেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) সঙ্গে সম্মেলনের আগেই বৈঠক করেছেন। আমি মনে করি এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, একঝাঁক বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এ বছর অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান দেশগুলোর জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত সরকার। তাই

গোটা বিশ্বের চোখ এখন নয়াদিল্লিতে। এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শুক্রবার দুপুরে দিল্লির মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। উষ্ণ অভ্যর্থনায় তাকে বরণ করে নেয়ার পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক শীর্ষ পর্যায়ের আলাপচারিতা। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন হাসিনা-মোদি। প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এই বৈঠকের দিকেই আগ্রহ ছিল সবার। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত দুই বন্ধুরাষ্ট্রের এমন বৈঠক পেয়েছে কূটনৈতিক অনন্যমাত্রা। এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে পৌঁছান নয়াদিল্লিতে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই তাকেসহ সফরসঙ্গীদের বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোশ। ছিল শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনা। সেখান থেকে সরাসরি হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যে এবারের জি-২০ সম্মেলনে দুটি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে সম্মেলনস্থল দিল্লির প্রগতি ময়দান। সম্মেলন শুরুর আগে ব্রিফিংয়ে আয়োজক ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, এবারের জি-২০ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য থাকবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিকে, আর গেøাবাল সাউথের কণ্ঠ তুলে ধরা। সম্মেলন শেষে সদস্যদেশগুলোর যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এই সফর।
দুপুরে পৌঁছেই কয়েকঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ৭ লোককল্যাণ মার্গে গাড়িবহর নিয়ে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। এরপর শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠকের পর এক টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক। আমাদের আলোচনায় এসেছে- কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযোগের মতো আরো অনেক ক্ষেত্রগুলো।
হাসিনা-মোদি বৈঠকে ‘নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি’ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা জানিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিনটি সমঝোতা সই হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যার মধ্যে আছে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক লেনদেন আরো সহজ করা।
শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্ব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি বৈঠকে খুবই গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ইস্যু যেটা, সেটা হলো আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা বারবার এই কথাটা বলছি, ভারতও একই কথা বলছে। এই জিনিসটা নষ্ট হলে আমাদের উভয় দেশে তো বটেই, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতেই তার প্রভাব পড়বে। আমরা এই কথাটা বৈঠকে বলেছি, ভারতও তার সঙ্গে একমত হয়েছে, জানান এ কে আবদুল মোমেন। ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অনুরোধ রাখতেও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা অনুরোধ জানিয়েছেন বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আদান-প্রদানের লক্ষ্যে এবং রুপি ও টাকায় বাণিজ্যিক লেনদেনের পথ প্রশস্ত করতে বৈঠকে তিনটি সমঝোতাও স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেগুলোর কথা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ঠিক এক বছরের ব্যবধানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যে শেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে, যখন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন। আর গতকালের এই বৈঠক হল এমন একটা সময়ে যখন বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাত্র তিন বা সাড়ে তিন মাস বাকি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনকে যেহেতু খুব জোরালো একটা বিষয় বলে মনে করা হয়, তাই সে দেশে নির্বাচনের ঠিক আগে দুজনের এই বৈঠকের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক তাৎপর্যও ছিল অপরিসীম। এই পটভূমিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভারতের দৃঢ় সমর্থন ও সাহায্যের অঙ্গীকার অক্ষুণ্ন থাকবে- ভারত বৈঠকে এই আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে।
দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে উভয় দেশের পক্ষ থেকেই যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল বেশ আগে থেকেই। বিশেষত মাত্র দুসপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যেহেতু দুজনেই উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে কোনো বৈঠক হতে পারেনি, তাই দিল্লিতে এই বৈঠকের একটা আলাদা গুরুত্বও ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়