রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না তাসলিমার

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস আগে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে মেজো মেয়ে বিউটি বেগমের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
তাসলিমা বেগমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগরের উদ্দেশে দুই কন্যাসহ নাতি-নাতনিদের নিয়ে সকাল ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা থেকে রওনা হন। বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার মালিগ্রাম ফ্লাইওভার সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সাতজন দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গতকাল শনিবার দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় বোয়ালমারী উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা নিহতের বাড়িতে পৌঁছালে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারে। এ সময় হৃদয়বিদারক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত তাসলিমার মেজো ভাসুর নুরু শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী দেড় মাস আগে ঢাকায় মেয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসা শেষে ঈদকে সামনে রেখে দুই মেয়ের পরিবারসহ বাড়ি ফিরছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, তারা ফেরার পথে ভাঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
শনিবার বিকাল ৫টায় এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার একটি বার্তার মাধ্যমে জানতে পারি নিহতরা সবাই বোয়ালমারীর বাসিন্দা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নিহতের বাড়ি শনাক্ত করি যে, নিহতরা গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশসহ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে ফরিদপুর হাসপাতাল মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
নিহতদের পরিবারকে সান্ত¡না জানাতে নিহতের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন, ওসি আব্দুল ওহাব, গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই শোক সইবার নয়, অত্যন্ত মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি নিহতদের আল্লাহ জান্নাত দান করুন। ইউএনও মোশারেফ হোসাইন বলেন, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার স্যারের নির্দেশনায় নিহতদের শনাক্ত করতে ফেলাননগর গ্রামে যায়। সেখানে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শনাক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা পরবর্তী সময়ে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়