রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে : ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন পুতিন

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক ও ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) উদ্ভাবিত দেশের প্রথম স্মার্টফোনভিত্তিক ‘সূর্য বিদ্যুৎ’ অ্যাপের উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। স্মার্টফোন অ্যাপ ‘সূর্য বিদ্যুৎ’ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী আমি মনে করি, আমরা যদি শক্তি (বিদ্যুৎ) দিতে পারি, মানুষ জীবন বদলে ফেলতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিতে পারেন।
তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে সারাদেশ। তবে চাহিদা বাড়লে মাঝে মাঝে সংকট হয়। তখন মানুষ কষ্ট পায়। এতে সরকারও কষ্ট পায়। বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সেই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে।
২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (আরপিভি) উদ্বোধন করেন। আরপিভি ইনস্টলেশন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পারমাণবিক চুল্লির ৩৩তম দেশে পরিণত করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটও অনুরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
গত বছরের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর বলেছিলেন, আমরা লক্ষ্য পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা ২০২৩ সালে ট্রায়াল ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করতে পারব, তবে সরবরাহে যেতে পারব ২০২৪ সালে। এখন প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে, আগামী বছরের অক্টোবরে ট্রায়াল শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নে জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ মোট ব্যয় হচ্ছে ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৯৯% ভাগ অর্থায়ন করছে রাশিয়া। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ন্যূনতম ৬০ বছরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রচলিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থনৈতিক জীবন সাধারণত ২৫ বছর। দীর্ঘস্থায়ী পরিসেবার পাশাপাশি প্ল্যান্টটি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখবে এটি। বর্তমানে প্রকল্পে ৩৩ হাজার লোক কাজ করছেন। এদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার বিদেশি নাগরিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়